ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তির নামে বিএনপির মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ : আলাল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন আলাল পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে সহযোগীতা করতে গিয়ে অশান্তির সৃষ্টি যেনো কেউ না করে সেদিকে চোখ রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সে অনুরোধ রইল। আপনাদের ইউনিফর্মে, ব্যাজে আপনাদের মনোগ্রামে আওয়ামী পুলিশ লীগ লিখা নাই।

আছে বাংলাদেশ পুলিশ লিখা, বাংলাদেশ র‌্যাব, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী লিখা। তাই বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বেশি বাড়াবাড়ি কখনোই কারো জন্য ভালো হয়নি। রাজপথ, কারাগার, গুমখুন আমাদেরকে এমন ভাবে শিখিয়েছেন এখন এগুলোকে আমরা তোয়াক্কা করি না।

 

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজারে অস্থিতিশীলতা ও বর্তমান ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসুচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তামনে প্রতিটি ঘরের মা তাদের ছেলেদেরকে বলে, যাও যা হবার হবে, যেভাবে বেঁচে আছি এর চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। এর থেকে করবে থাকাও নিরাপদ। আর সে কাজে আপনারা যদি সহযোগিতা করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ইউনিফর্ম পড়ে। তাহলে সেটা কষ্ট দেয় মানুষকে।

 

মানুষ কিন্তু আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকলকে আমরা দোষারোপ করি না। যাঁরা বেশি করছেন তাঁরা ভবিষ্যতে সর্তক হন। না হলে যেটা হবে আপনাদের নামও তালিকাভুক্ত করছেন ওয়ার্ল্ডে। পাশাপাশি ইউনিয়নে, থানায়সহ দেশের বিএনপির নেতাকর্মীদের কাকে কখন গ্রেপ্তার করলেন। কাকে কখন খুন করলেন সেটাও তালিকা হচ্ছে।

মোজাম্মেল হোসেন আলাল বলেন, শান্তির নামে গতকালকেও আওয়ামী লীগ নওগাঁয় বিএনপির পোগ্রামের মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির ইফতারের আয়োজন পুড়িয়ে দিয়ে, জ্বালিয়ে দিয়ে তারপরও সেখানে শান্তির কথা বলে। এজন্য ১৯৭১ এর শান্তি কমিটির কথা আমাদের মনে পড়ে।

 

তিনি বলেন, অবস্থান কর্মসুচী আমরা রমজানের মধ্যে করছি। কিন্তু যারা রমজানের মধ্যে ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছিল, রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, চট্টগ্রাম পোর্ট বন্ধ করেছিল, মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে তাদের লাশের উপর দিয়ে নাচানাচি করেছিল তাঁরা এখন শান্তির কথা বলে।

আওয়ামী লীগ আমাদের শান্তির কথা বলে এটা আবার কোন শান্তি? ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কি সে শান্তি কমিটির ভুমিকায় নেমেছে? সেখানে কি পুলিশের একাংশ সহায়তা করছে? আজকে সেটা মানুষের কাছে বড় একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ৪৫ বছর পর যদি জাতীয় নেতা শেখ মুজিবের হত্যার বিচার হতে পারে। তাহলে আজকে যাঁরা অপকর্মকারী তাদের অপকর্মের বিচার হবে না এ কথা কিভাবে বিশ্বাস করেন? যারা খেলা হবে খেলা হবে বলে হুমকি দেন, ধমক দেন, তাঁরা শুনে রাখুন সে খেলার খেলোয়াড় আপনারা হবেন না। যারা খেলবে তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ বুঝবে।

বাজারে গেলে মানুষের ব্লাড প্রেশার হয়ে যায়।অসুস্থ হয়ে যার মানুষজন। এবারের রোজায় কয়টি পরিবার ভালো মন্দ খেতে পেরেছেন? গতবছরের মতো কয়টি পরিবার ইফতার করতে পারছে, সেহরিতে শান্তিমত খেতে পাড়ছে? বাজার গেলে বাসায় ফিরে মানুষ স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যায়।

আজকের কর্মসুচীতে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছে খালেদা জিয়াকে জয়ী করার জন্যে? না এখানে যারা জড়ো হয়েছে তাঁরা সাধারণ জনগণেরর মুক্তির জন্য হয়েছে। সারাদিন ভিক্ষা করেও যে মানুষ জীবনযাপন করে তারও প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করার ক্ষমতা আছে। কারণ সংবিধানে উল্লেখ আছেন এটি।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির শহিদুল ইসলাম টিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জুয়েল আহম্মেদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম, সদস্য সচিব কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনির খন্দকার, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সভাপতি বাছির উদ্দিন বাচ্চু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ জিকো, জেলা কৃষক দলের সভাপতি ডা. শাহিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কায়সার রিফাতসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তির নামে বিএনপির মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ : আলাল

আপডেট সময় ০৪:০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন আলাল পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে সহযোগীতা করতে গিয়ে অশান্তির সৃষ্টি যেনো কেউ না করে সেদিকে চোখ রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সে অনুরোধ রইল। আপনাদের ইউনিফর্মে, ব্যাজে আপনাদের মনোগ্রামে আওয়ামী পুলিশ লীগ লিখা নাই।

আছে বাংলাদেশ পুলিশ লিখা, বাংলাদেশ র‌্যাব, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী লিখা। তাই বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বেশি বাড়াবাড়ি কখনোই কারো জন্য ভালো হয়নি। রাজপথ, কারাগার, গুমখুন আমাদেরকে এমন ভাবে শিখিয়েছেন এখন এগুলোকে আমরা তোয়াক্কা করি না।

 

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজারে অস্থিতিশীলতা ও বর্তমান ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসুচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তামনে প্রতিটি ঘরের মা তাদের ছেলেদেরকে বলে, যাও যা হবার হবে, যেভাবে বেঁচে আছি এর চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। এর থেকে করবে থাকাও নিরাপদ। আর সে কাজে আপনারা যদি সহযোগিতা করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ইউনিফর্ম পড়ে। তাহলে সেটা কষ্ট দেয় মানুষকে।

 

মানুষ কিন্তু আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকলকে আমরা দোষারোপ করি না। যাঁরা বেশি করছেন তাঁরা ভবিষ্যতে সর্তক হন। না হলে যেটা হবে আপনাদের নামও তালিকাভুক্ত করছেন ওয়ার্ল্ডে। পাশাপাশি ইউনিয়নে, থানায়সহ দেশের বিএনপির নেতাকর্মীদের কাকে কখন গ্রেপ্তার করলেন। কাকে কখন খুন করলেন সেটাও তালিকা হচ্ছে।

মোজাম্মেল হোসেন আলাল বলেন, শান্তির নামে গতকালকেও আওয়ামী লীগ নওগাঁয় বিএনপির পোগ্রামের মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির ইফতারের আয়োজন পুড়িয়ে দিয়ে, জ্বালিয়ে দিয়ে তারপরও সেখানে শান্তির কথা বলে। এজন্য ১৯৭১ এর শান্তি কমিটির কথা আমাদের মনে পড়ে।

 

তিনি বলেন, অবস্থান কর্মসুচী আমরা রমজানের মধ্যে করছি। কিন্তু যারা রমজানের মধ্যে ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছিল, রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, চট্টগ্রাম পোর্ট বন্ধ করেছিল, মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে তাদের লাশের উপর দিয়ে নাচানাচি করেছিল তাঁরা এখন শান্তির কথা বলে।

আওয়ামী লীগ আমাদের শান্তির কথা বলে এটা আবার কোন শান্তি? ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কি সে শান্তি কমিটির ভুমিকায় নেমেছে? সেখানে কি পুলিশের একাংশ সহায়তা করছে? আজকে সেটা মানুষের কাছে বড় একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ৪৫ বছর পর যদি জাতীয় নেতা শেখ মুজিবের হত্যার বিচার হতে পারে। তাহলে আজকে যাঁরা অপকর্মকারী তাদের অপকর্মের বিচার হবে না এ কথা কিভাবে বিশ্বাস করেন? যারা খেলা হবে খেলা হবে বলে হুমকি দেন, ধমক দেন, তাঁরা শুনে রাখুন সে খেলার খেলোয়াড় আপনারা হবেন না। যারা খেলবে তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ বুঝবে।

বাজারে গেলে মানুষের ব্লাড প্রেশার হয়ে যায়।অসুস্থ হয়ে যার মানুষজন। এবারের রোজায় কয়টি পরিবার ভালো মন্দ খেতে পেরেছেন? গতবছরের মতো কয়টি পরিবার ইফতার করতে পারছে, সেহরিতে শান্তিমত খেতে পাড়ছে? বাজার গেলে বাসায় ফিরে মানুষ স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যায়।

আজকের কর্মসুচীতে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছে খালেদা জিয়াকে জয়ী করার জন্যে? না এখানে যারা জড়ো হয়েছে তাঁরা সাধারণ জনগণেরর মুক্তির জন্য হয়েছে। সারাদিন ভিক্ষা করেও যে মানুষ জীবনযাপন করে তারও প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করার ক্ষমতা আছে। কারণ সংবিধানে উল্লেখ আছেন এটি।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির শহিদুল ইসলাম টিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জুয়েল আহম্মেদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম, সদস্য সচিব কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনির খন্দকার, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সভাপতি বাছির উদ্দিন বাচ্চু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ জিকো, জেলা কৃষক দলের সভাপতি ডা. শাহিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কায়সার রিফাতসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।