ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ছিলো একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম ক্লাস। তিনটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচিতিমূলক ক্লাস করছিলেন শিক্ষকরা। ওই সময় ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছিলো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উভয় গ্রুপ চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজন আকন, হাসিবুর রহমান, স্বরন, স্নাতক পাস কোর্সের শিক্ষার্থী কাজী সুজন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ আহত হন। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে ছাত্রলীগের নেতারা এক শিক্ষককে মারধর করেন। ওই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর নতুন কমিটিতে জায়গা পেতে দুই গ্রুপই লবিং গ্রুপ করেছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর এবং আরেক পক্ষের নেতৃত্ব আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদউজ্জামান।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন কলেজে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করছিলো। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এসময় নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়।

আর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগে কোনো গ্রুপিং নেই। কলেজের ঘটনায় বিএনপির লোকজন ও কিছু বহিরাগত জড়িত। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস চলছিল। তখন ছাত্রলীগের ছেলেরা ক্যাম্পাসের বাইরে মারামারিতে জড়ান। এমন ঘটনা কেন ঘটানো হলো, তা খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে কোনো ছাত্র জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। নেতাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ বিশৃঙ্খলা না করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬

আপডেট সময় ০৪:৪১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ছিলো একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম ক্লাস। তিনটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচিতিমূলক ক্লাস করছিলেন শিক্ষকরা। ওই সময় ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছিলো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উভয় গ্রুপ চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজন আকন, হাসিবুর রহমান, স্বরন, স্নাতক পাস কোর্সের শিক্ষার্থী কাজী সুজন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ আহত হন। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে ছাত্রলীগের নেতারা এক শিক্ষককে মারধর করেন। ওই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর নতুন কমিটিতে জায়গা পেতে দুই গ্রুপই লবিং গ্রুপ করেছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর এবং আরেক পক্ষের নেতৃত্ব আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদউজ্জামান।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন কলেজে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করছিলো। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এসময় নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়।

আর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগে কোনো গ্রুপিং নেই। কলেজের ঘটনায় বিএনপির লোকজন ও কিছু বহিরাগত জড়িত। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস চলছিল। তখন ছাত্রলীগের ছেলেরা ক্যাম্পাসের বাইরে মারামারিতে জড়ান। এমন ঘটনা কেন ঘটানো হলো, তা খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে কোনো ছাত্র জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। নেতাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ বিশৃঙ্খলা না করে।