ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‌্যাবের অভিযানে ১৪জন আটক, দাবি ‘পাসপোর্ট দালাল চক্র’

ফতুল্লায় পাসপোর্ট দালাল চক্রের দুইজন মূলহোতাসহ ৪জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। তাদের দাবি আটককৃতরা পাসপোর্ট দালাল চক্রের সাথে সম্পৃক্ত। বুধবার (১৫ মার্চ) ফতুল্লার সাইনবোর্ড বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের পার্শে সামাদবানু ভবনের দ্বিতীয় তলায় মা ডিজিটাল কালারল্যাব দোকানের সামনে এবং তৃষা আদর্শ কর্পোরেশন মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

পাসপোর্ট দালাল চক্রের অভিযুক্ত দুই মূলহোতা, নড়াইল লোহাগড়ার পাংখার চর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. মুকুল মোল্লা (৩০) ও চাঁদপুর মতলব দক্ষিণের গাবুয়া এলাকায় মো. সোলায়মানের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৮)।

এছাড়া আটক করা হয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি এলাকার মো. রাকিব (২৫), সোনারাগাঁও বাঘরি এলাকার মো. আলমগীর (৩২), পটুয়াখালি গলচিপার পূর্বপাড় ডাকুয়া এলাকার মো. নবীন (১৮), মাদারীপুর সদরের মো. শফিকুল ইসলাম রানা (৩৫), নোয়াখালী সোনাইমুড়ি শিমুলিয়া এলাকার মো. সাখায়েত উল্লাহ (৩০), বন্দর একরামপুর উইলসন রোড এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), বরিশাল বানারি পাড়ার সোনাহাট এলাকার মো. ইমরান হোসেন সুজন (৩৪), নীলফামারী সৈয়দপুরের গার্ডপাড়া এলাকার মো. সিরাজ উদ্দিন সাজু (৩৯), লক্ষীপুর রামগঞ্জের নান্দিয়ারা এলাকার হাসান ইকবাল (৩৬), ফতুল্লা আল্লামা ইকবাল রোড এলাকার মো. জাহিদ (৪৫), সোনারগাঁও মঙ্গালের গাঁও এলাকার মো. মফিজুল (৩৫) ও কিশোরগঞ্জ তারাইলের কাজলা এলাকার মো. সজিব (৩২)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি পাসপোর্ট, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লীপ-৪৮৭ কপি, এনআইডি কার্ড ১৯ টি, রাবার সীল ৮ টি, মোবাইল ফোন ২০ টি এবং ৩১টি সীম উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব-১১ সহকারী পরিচালক (এএসপি) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসামীরা সকলেই দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে বেআইনিভাবে অন্যের পাসপোর্ট নিজেদের দখলে রেখে অপরাধ মূলকভাবে ভুক্তভোগী জনসাধারণের বিশ্বাস ভঙ্গ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে। তারা আরও স্বীকার করে যে, জব্দকৃত মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সাথে দালালির মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করত এবং বিভিন্ন থানার ডিউটি অফিসারের সীল ব্যবহার করে ভূয়া কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতরণা করে আসছে। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য আসামীদের’কে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

র‌্যাবের অভিযানে ১৪জন আটক, দাবি ‘পাসপোর্ট দালাল চক্র’

আপডেট সময় ০৪:৩৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

ফতুল্লায় পাসপোর্ট দালাল চক্রের দুইজন মূলহোতাসহ ৪জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। তাদের দাবি আটককৃতরা পাসপোর্ট দালাল চক্রের সাথে সম্পৃক্ত। বুধবার (১৫ মার্চ) ফতুল্লার সাইনবোর্ড বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের পার্শে সামাদবানু ভবনের দ্বিতীয় তলায় মা ডিজিটাল কালারল্যাব দোকানের সামনে এবং তৃষা আদর্শ কর্পোরেশন মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

পাসপোর্ট দালাল চক্রের অভিযুক্ত দুই মূলহোতা, নড়াইল লোহাগড়ার পাংখার চর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. মুকুল মোল্লা (৩০) ও চাঁদপুর মতলব দক্ষিণের গাবুয়া এলাকায় মো. সোলায়মানের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৮)।

এছাড়া আটক করা হয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি এলাকার মো. রাকিব (২৫), সোনারাগাঁও বাঘরি এলাকার মো. আলমগীর (৩২), পটুয়াখালি গলচিপার পূর্বপাড় ডাকুয়া এলাকার মো. নবীন (১৮), মাদারীপুর সদরের মো. শফিকুল ইসলাম রানা (৩৫), নোয়াখালী সোনাইমুড়ি শিমুলিয়া এলাকার মো. সাখায়েত উল্লাহ (৩০), বন্দর একরামপুর উইলসন রোড এলাকার মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), বরিশাল বানারি পাড়ার সোনাহাট এলাকার মো. ইমরান হোসেন সুজন (৩৪), নীলফামারী সৈয়দপুরের গার্ডপাড়া এলাকার মো. সিরাজ উদ্দিন সাজু (৩৯), লক্ষীপুর রামগঞ্জের নান্দিয়ারা এলাকার হাসান ইকবাল (৩৬), ফতুল্লা আল্লামা ইকবাল রোড এলাকার মো. জাহিদ (৪৫), সোনারগাঁও মঙ্গালের গাঁও এলাকার মো. মফিজুল (৩৫) ও কিশোরগঞ্জ তারাইলের কাজলা এলাকার মো. সজিব (৩২)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি পাসপোর্ট, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লীপ-৪৮৭ কপি, এনআইডি কার্ড ১৯ টি, রাবার সীল ৮ টি, মোবাইল ফোন ২০ টি এবং ৩১টি সীম উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব-১১ সহকারী পরিচালক (এএসপি) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসামীরা সকলেই দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে বেআইনিভাবে অন্যের পাসপোর্ট নিজেদের দখলে রেখে অপরাধ মূলকভাবে ভুক্তভোগী জনসাধারণের বিশ্বাস ভঙ্গ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে। তারা আরও স্বীকার করে যে, জব্দকৃত মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সাথে দালালির মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করত এবং বিভিন্ন থানার ডিউটি অফিসারের সীল ব্যবহার করে ভূয়া কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতরণা করে আসছে। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য আসামীদের’কে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।