ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে খুলনাকে হারিয়ে দিল রংপুর

বিপিএলে জাতীয় দলের তারকাদের নিয়ে দল গঠন করেই বিপিএলে জয়ের দেখা পাচ্ছেনা তামিম-ইয়াসিরদের খুলনা টাইগার্স। শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে বড় রান সংগ্রহের সুযোগ দেয়নি রংপুর। দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য। ৪ বলে ১ রান করা তামিম ইকবাল বিদায় নেন।। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শারজিল খান বিদায় নেন। এর আগের ওভারে হাবিবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাকিবুল হাসান। পাওয়ার প্লের ভেতরই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু হাত খুলে খেলতে গিয়ে রবিউলের বলে নাঈম শেখকে ক্যাচ দেন ইয়াসির, আউট হন ২২ বলে ২৫ রানে। একই ওভারে সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে রংপুরকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান রবিউল।

তার সঙ্গে তাল মেলান রাকিবুলও। ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই আজম খানকে তুলে নেন এই স্পিনার। ২৩ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রানে আজম বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খুলনার মজবুত সংগ্রহের সম্ভাবনাটাও ফিকে হয়ে যায়। রবিউল এরপর তুলে নেন আমাদ ভাট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটও। দুটি করে উইকেট নেন ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ। ফলে ২০তম ওভার শেষ হওয়ার দুই বল আগেই গুটিয়ে যায় খুলনা।

জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সেরও। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রনি তালুকদার প্রথম ব্যাটার হিসেবে যখন সাজঘরে ফেরত যান, তখন স্কোরকার্ডে কেবল ১ রান। একাদশে সুযোগ পাওয়া সায়েম আইয়ুবীও সফল হননি ব্যাট হাতে। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ২ চারে ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন ওয়াহাব রিয়াজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

তার বিদায়ের আগেই আউট হন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মেহেদী হাসান। ১২ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ৩১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। এরপর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। তবুও দলের ভয় যেন দূর হচ্ছিলো না ঠিকঠাক। ম্যাচ কঠিন হচ্ছিলো ক্রমেই।

শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ৩৫ রান। এমন সময়ই এগিয়ে আসেন শামীম পাটোয়ারী। ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে টানা তিন বাউন্ডারি মারেন তিনি। এরপর ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৬ বলে ৪৪ রান করে শোয়েব সাজঘরে ফিরলেও জিততে অসুবিধা হয়নি রংপুরের। ৩ চারে ১০ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে খুলনাকে হারিয়ে দিল রংপুর

আপডেট সময় ০৩:১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

বিপিএলে জাতীয় দলের তারকাদের নিয়ে দল গঠন করেই বিপিএলে জয়ের দেখা পাচ্ছেনা তামিম-ইয়াসিরদের খুলনা টাইগার্স। শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে বড় রান সংগ্রহের সুযোগ দেয়নি রংপুর। দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য। ৪ বলে ১ রান করা তামিম ইকবাল বিদায় নেন।। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শারজিল খান বিদায় নেন। এর আগের ওভারে হাবিবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাকিবুল হাসান। পাওয়ার প্লের ভেতরই ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু হাত খুলে খেলতে গিয়ে রবিউলের বলে নাঈম শেখকে ক্যাচ দেন ইয়াসির, আউট হন ২২ বলে ২৫ রানে। একই ওভারে সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে রংপুরকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান রবিউল।

তার সঙ্গে তাল মেলান রাকিবুলও। ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই আজম খানকে তুলে নেন এই স্পিনার। ২৩ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রানে আজম বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খুলনার মজবুত সংগ্রহের সম্ভাবনাটাও ফিকে হয়ে যায়। রবিউল এরপর তুলে নেন আমাদ ভাট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটও। দুটি করে উইকেট নেন ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ। ফলে ২০তম ওভার শেষ হওয়ার দুই বল আগেই গুটিয়ে যায় খুলনা।

জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সেরও। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রনি তালুকদার প্রথম ব্যাটার হিসেবে যখন সাজঘরে ফেরত যান, তখন স্কোরকার্ডে কেবল ১ রান। একাদশে সুযোগ পাওয়া সায়েম আইয়ুবীও সফল হননি ব্যাট হাতে। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ২ চারে ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন ওয়াহাব রিয়াজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

তার বিদায়ের আগেই আউট হন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মেহেদী হাসান। ১২ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ৩১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। এরপর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। তবুও দলের ভয় যেন দূর হচ্ছিলো না ঠিকঠাক। ম্যাচ কঠিন হচ্ছিলো ক্রমেই।

শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ৩৫ রান। এমন সময়ই এগিয়ে আসেন শামীম পাটোয়ারী। ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে টানা তিন বাউন্ডারি মারেন তিনি। এরপর ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৬ বলে ৪৪ রান করে শোয়েব সাজঘরে ফিরলেও জিততে অসুবিধা হয়নি রংপুরের। ৩ চারে ১০ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম।