ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেলের জায়গা দখল করে মাঠ করেছি: মেয়র আইভী

‘নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জায়গা জোর করে দখল করে মাঠ করেছি’ উল্লেখ করে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এটা শেখ রাসেল পার্ক। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন। এখানে ১৮ একর রেলের জায়গা রয়েছে। বলা চলে, জোরজবরদস্তি করে মাঠটি করেছি। এই ১৮ একর জায়গার মধ্যে পার্ক করেছি, চারুকলা ইনস্টিটিউট আছে, সামনে স্কুল আছে, পেছনে একটি বড় পুকুর আছে। এ ছাড়া একটি বড় লেক আছে। অথচ একসময় এখানে বস্তি ও মাদকের অভয়ারণ্য ও অসামাজিক কার্যকলাপ ছিল। অনেক কষ্টে এই মাঠ করেছি। এখনও জায়গা বুঝে পাইনি। আশা করি, আমাদের রেলমন্ত্রী দেবেন।’

শনিবার (২৭ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের শেখ রাসেল পার্কে ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইভী বলেন, ‘রাজনীতিতে কোনও হানাহানি চাই না। আমাদের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে সেটা সুষ্ঠুভাবে। আমরা এমন নেতাকে নেতৃত্ব দিতে চাই, যে মানুষের কাতারে আসবে, মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করবে। মুখে বলবে শেখ হাসিনা, কাজ করবে অন্যকিছু। বলবে নৌকা, কাজ করবে আরেকটা। আমরা এমন নেতা চাই না।’

আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের কথা স্মরণ করে মেয়র বলেন, ‘আমি কখনও ভুলবো না, যখন তিনি (আহসানউল্লাহ মাস্টার) সেই ২০০৩ সালে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়টা ছিল ভয়াবহ। ওই সময় এই শহরের অনেক রাঘববোয়ালরা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। আজকে ডানে বায়ে যারা বসে আছে তারাই শহরে ছিল। তখন নেত্রীর নির্দেশে আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় আমরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ড। সবখানে অনেক গুলো মাঠ করেছি, ইতোমধ্যে ১৮টি মাঠের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকিগুলো করতে পারিনি। কারণ জায়গার অভাব।’

জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে মাঠগুলোতে খেলা হয় না। তারা টুর্নামেন্ট ছাড়ে না। খেলাধুলা হয় না বিধায় মাঠগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। আমার দুইটা মাঠ তাদের কাছে আছে। আমি অনুরোধ করবো, এই মাঠগুলো আমাদের দিয়ে দেওয়া হোক।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

রেলের জায়গা দখল করে মাঠ করেছি: মেয়র আইভী

আপডেট সময় ০৩:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

‘নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জায়গা জোর করে দখল করে মাঠ করেছি’ উল্লেখ করে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এটা শেখ রাসেল পার্ক। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন। এখানে ১৮ একর রেলের জায়গা রয়েছে। বলা চলে, জোরজবরদস্তি করে মাঠটি করেছি। এই ১৮ একর জায়গার মধ্যে পার্ক করেছি, চারুকলা ইনস্টিটিউট আছে, সামনে স্কুল আছে, পেছনে একটি বড় পুকুর আছে। এ ছাড়া একটি বড় লেক আছে। অথচ একসময় এখানে বস্তি ও মাদকের অভয়ারণ্য ও অসামাজিক কার্যকলাপ ছিল। অনেক কষ্টে এই মাঠ করেছি। এখনও জায়গা বুঝে পাইনি। আশা করি, আমাদের রেলমন্ত্রী দেবেন।’

শনিবার (২৭ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের শেখ রাসেল পার্কে ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইভী বলেন, ‘রাজনীতিতে কোনও হানাহানি চাই না। আমাদের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে সেটা সুষ্ঠুভাবে। আমরা এমন নেতাকে নেতৃত্ব দিতে চাই, যে মানুষের কাতারে আসবে, মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করবে। মুখে বলবে শেখ হাসিনা, কাজ করবে অন্যকিছু। বলবে নৌকা, কাজ করবে আরেকটা। আমরা এমন নেতা চাই না।’

আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের কথা স্মরণ করে মেয়র বলেন, ‘আমি কখনও ভুলবো না, যখন তিনি (আহসানউল্লাহ মাস্টার) সেই ২০০৩ সালে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়টা ছিল ভয়াবহ। ওই সময় এই শহরের অনেক রাঘববোয়ালরা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। আজকে ডানে বায়ে যারা বসে আছে তারাই শহরে ছিল। তখন নেত্রীর নির্দেশে আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় আমরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ড। সবখানে অনেক গুলো মাঠ করেছি, ইতোমধ্যে ১৮টি মাঠের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকিগুলো করতে পারিনি। কারণ জায়গার অভাব।’

জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে মাঠগুলোতে খেলা হয় না। তারা টুর্নামেন্ট ছাড়ে না। খেলাধুলা হয় না বিধায় মাঠগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। আমার দুইটা মাঠ তাদের কাছে আছে। আমি অনুরোধ করবো, এই মাঠগুলো আমাদের দিয়ে দেওয়া হোক।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ।