ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি লাভজনক পদ নয়: ইসি আলমগীর

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার হলেও দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে মো. সাহাবুদ্দিনের আইনগত কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয়। রাষ্ট্রপতি হিসাবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ নিতেও বাধা নেই। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

দুদকের আইন অনুযায়ী কমিশনাররা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নাকি লাভজনক নয়-তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মো. আলমগীর বলেন, দুদকের আইনে বলা আছে যে, কমিশনাররা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনারা জানবেন যে, নির্বাচন কমিশন যখন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে, তখন আইন-কানুন জেনেই তা করা হয়েছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তখন তা নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।

ওই মামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, কোনো বাধা নেই এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও হয়নি। অতএব আমাদের সামনে উচ্চ আদালতের একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে লাভজনক পদ বলা যাবে না এবং ওই রায়ে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে বোঝাবে প্রজাতন্ত্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের। এটি স্পষ্ট বলা আছে। অতএব এটি উনার (মো. সাহাবুদ্দিন) জন্য প্রযোজ্য নয়। উনার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

ওই মামলার রায়কে মূল ভিত্তি হিসেবে দেখছেন কিনা-এমন প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, লাভজনক পদের বিষয়ে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, লাভজনক পদ বলতে কী বোঝায়, যদিও তালিকা দেওয়া নেই। তবে লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে-প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ ভাগের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ। এখানে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী উনারা কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। এগুলো হলো সাংবিধানিক পদ। যেহেতু সাংবিধানিক পদ তাই লাভজনক পদের সংজ্ঞায় তারা পড়েন না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলাই হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো-হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসাবে গ্রহণ করা হবে।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে তা অবশ্যই আইনসিদ্ধ। আইনে স্পষ্ট লেখা আছে যে, যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে এবং মনোনয়নপত্র বাছাই করার পরে যদি দেখা যায় যে, উনার মনোনয়নপত্র সঠিক আছে, বৈধ আছে, তাহলে ওই সময় তাকে নির্বাচিত হিসাবে ঘোষণা দিয়ে দেবেন। এটির জন্য আর প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা কখনো বলিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমরা বলেছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে।

ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কখন ভোট হবে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রপতি লাভজনক পদ নয়: ইসি আলমগীর

আপডেট সময় ০৪:১৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার হলেও দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে মো. সাহাবুদ্দিনের আইনগত কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয়। রাষ্ট্রপতি হিসাবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ নিতেও বাধা নেই। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

দুদকের আইন অনুযায়ী কমিশনাররা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নাকি লাভজনক নয়-তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মো. আলমগীর বলেন, দুদকের আইনে বলা আছে যে, কমিশনাররা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনারা জানবেন যে, নির্বাচন কমিশন যখন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে, তখন আইন-কানুন জেনেই তা করা হয়েছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তখন তা নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।

ওই মামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, কোনো বাধা নেই এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলও হয়নি। অতএব আমাদের সামনে উচ্চ আদালতের একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে লাভজনক পদ বলা যাবে না এবং ওই রায়ে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে বোঝাবে প্রজাতন্ত্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের। এটি স্পষ্ট বলা আছে। অতএব এটি উনার (মো. সাহাবুদ্দিন) জন্য প্রযোজ্য নয়। উনার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

ওই মামলার রায়কে মূল ভিত্তি হিসেবে দেখছেন কিনা-এমন প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, লাভজনক পদের বিষয়ে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, লাভজনক পদ বলতে কী বোঝায়, যদিও তালিকা দেওয়া নেই। তবে লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে-প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ ভাগের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ। এখানে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী উনারা কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। এগুলো হলো সাংবিধানিক পদ। যেহেতু সাংবিধানিক পদ তাই লাভজনক পদের সংজ্ঞায় তারা পড়েন না। আর যেহেতু এটি নিয়ে একটি মামলাই হয়েছিল এবং আমাদের আইন যেটা বলে সেটি হলো-হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের যদি কোনো রায় থাকে, সেই রায় আইন হিসাবে গ্রহণ করা হবে।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে তা অবশ্যই আইনসিদ্ধ। আইনে স্পষ্ট লেখা আছে যে, যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে এবং মনোনয়নপত্র বাছাই করার পরে যদি দেখা যায় যে, উনার মনোনয়নপত্র সঠিক আছে, বৈধ আছে, তাহলে ওই সময় তাকে নির্বাচিত হিসাবে ঘোষণা দিয়ে দেবেন। এটির জন্য আর প্রত্যাহার করার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা কখনো বলিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমরা বলেছি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে।

ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কখন ভোট হবে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত হবে।