ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাজীব হত্যায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

মাদারীপুরে রাজীব সরদার (২৫) নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

১১ বছর পর মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় দেন। এ সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায়ে চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ বলেন, ‘৩৬ জন এই মামলার আসামি ছিলেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।’

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজীব সরদারের বাবা-মা নেই। সদর উপজেলার হরিকুমারিয়া এলাকায় মামার বাড়িতে থাকতেন রাজীব। তারাই তাকে বড় করেছেন। ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজীব। পৌরসভার হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ববিরোধের জেরে রাজীবকে কুপিয়ে ফেলে যান আসামিরা। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। ঘটনার তিন দিন পর তার মামা আলী হাওলাদার হত্যা মামলা করেন।

এতে প্রতিপক্ষ জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার ও আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে সদর থানা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক রাজিব হোসেন ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে রায় দেন বিচারক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার

রাজীব হত্যায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৪:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুরে রাজীব সরদার (২৫) নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

১১ বছর পর মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় দেন। এ সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায়ে চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ বলেন, ‘৩৬ জন এই মামলার আসামি ছিলেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।’

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজীব সরদারের বাবা-মা নেই। সদর উপজেলার হরিকুমারিয়া এলাকায় মামার বাড়িতে থাকতেন রাজীব। তারাই তাকে বড় করেছেন। ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজীব। পৌরসভার হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ববিরোধের জেরে রাজীবকে কুপিয়ে ফেলে যান আসামিরা। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। ঘটনার তিন দিন পর তার মামা আলী হাওলাদার হত্যা মামলা করেন।

এতে প্রতিপক্ষ জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার ও আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে সদর থানা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক রাজিব হোসেন ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে রায় দেন বিচারক।