ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘যতদিন মন্ত্রী আছি, ততদিন কূটনীতিক তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাবো’

সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‌‘কূটনীতিক হিসেবে তৌহিদুল ভেরি গুড অফিসার ও তুখোড় ছেলে। অযথা একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে যতদিন মন্ত্রী আছি, ততদিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাবো।’

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সিলেটে সুরমা নদীর চর খননকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চানপুর খেয়াঘাট এলাকায় নদীর খননকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সে (তৌহিদুল) আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে মাল্টি ন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। সারা দেশেই বোধ হয় এই ক্যারেক্টার, আমরা খালি (কেবল) মানুষকে নিচে নামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগি। আর মিডিয়াও ওই লাইনেই আছে। ওপরে ওঠানোর চেষ্টা করে না, খালি নামানোর জন্য। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক ডিপ্লোম্যাট আছে, আমাদের একজন ডিপ্লোম্যাট, হি (তৌহিদুল) ইজ সাকসেসফুল।’

তৌহিদুল ইসলাম সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সে মেডিক্যাল ডাক্তার, সে ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করে, সে ফার্স্ট হয়। তারপর সে যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেয়, ওইটাতেও সারা বাংলাদেশের মধ্যে ফার্স্ট হয়। তারপরে তার ব্যাচের ফার্স্ট বয় সে। বাংলাদেশ ইউএনওতে চারটা বড় রিকগনিশন নেয়। একটা হচ্ছে শান্তি ও সংস্কৃতি। আর দুটো বড়, একটা হচ্ছে অটিজমের ওপর এবং আরেকটি হচ্ছে ক্ষমতায়ন। এই দুটোতে এই ছেলে (তৌহিদুল) প্রথম হয়। সে অত্যন্ত ভালো, তুখোড় ছেলে। এখন ওরে টেনে কীভাবে নামানো যায়, এজন্য তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা কন্টিনিউয়াসলি চেষ্টা করে।’

তার (তৌহিদুল) শত্রু আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সে যখন মিলানে কনসাল জেনারেল ছিল, কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কোনও একটা মেয়েকে তার পেছনে লাগিয়ে দেয়। লাগিয়ে দিয়ে একটা কেলেঙ্কারির চেষ্টা করে। তখন তাকে উইথড্র করা হয়, সাসপেন্ড করা হয়, অনেক ইনভেস্টিগেশন করা হয়, সরকারের অনেক টাকা খরচ করা হয়। পরে দেখা যায় এক্কেরে বানোয়াট, এক্কেরে অলীক। তার (তৌহিদুল) প্রমোশন হয়, তারপর অ্যাম্বাসেডর হয়। এখন তার বিরুদ্ধে আবার লাগছে একদল, তারই বন্ধুবান্ধব হবে। আর না হয় পত্রিকায় এগুলো গেলো কীভাবে? হি ইজ অ্যা ভেরি গুড অফিসার। আমি যদ্দিন আছি, আই উইল ডিফেন্ড হিম।’

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে ভিয়েনা মিশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য আছে। এই পদে কূটনীতিক তৌহিদুলকে নিয়োগ দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ভিয়েনায় পাঠায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেখানকার সরকার তৌহিদুলকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে চিঠি লিখে তৌহিদুলকে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান। তবে এতেও কাজ হয়নি।

২০১৩ সালে ইতালির মিলানে কনসাল জেনারেল হিসেবে কর্মরত থাকাকালে মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তৌহিদুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভিয়েনা গ্রহণ করছে না বলে মনে করছেন কূটনীতি-সংশ্লিষ্ট অনেকে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

‘যতদিন মন্ত্রী আছি, ততদিন কূটনীতিক তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাবো’

আপডেট সময় ০৪:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‌‘কূটনীতিক হিসেবে তৌহিদুল ভেরি গুড অফিসার ও তুখোড় ছেলে। অযথা একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে যতদিন মন্ত্রী আছি, ততদিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাবো।’

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সিলেটে সুরমা নদীর চর খননকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চানপুর খেয়াঘাট এলাকায় নদীর খননকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সে (তৌহিদুল) আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে মাল্টি ন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। সারা দেশেই বোধ হয় এই ক্যারেক্টার, আমরা খালি (কেবল) মানুষকে নিচে নামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগি। আর মিডিয়াও ওই লাইনেই আছে। ওপরে ওঠানোর চেষ্টা করে না, খালি নামানোর জন্য। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক ডিপ্লোম্যাট আছে, আমাদের একজন ডিপ্লোম্যাট, হি (তৌহিদুল) ইজ সাকসেসফুল।’

তৌহিদুল ইসলাম সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সে মেডিক্যাল ডাক্তার, সে ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করে, সে ফার্স্ট হয়। তারপর সে যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেয়, ওইটাতেও সারা বাংলাদেশের মধ্যে ফার্স্ট হয়। তারপরে তার ব্যাচের ফার্স্ট বয় সে। বাংলাদেশ ইউএনওতে চারটা বড় রিকগনিশন নেয়। একটা হচ্ছে শান্তি ও সংস্কৃতি। আর দুটো বড়, একটা হচ্ছে অটিজমের ওপর এবং আরেকটি হচ্ছে ক্ষমতায়ন। এই দুটোতে এই ছেলে (তৌহিদুল) প্রথম হয়। সে অত্যন্ত ভালো, তুখোড় ছেলে। এখন ওরে টেনে কীভাবে নামানো যায়, এজন্য তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা কন্টিনিউয়াসলি চেষ্টা করে।’

তার (তৌহিদুল) শত্রু আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সে যখন মিলানে কনসাল জেনারেল ছিল, কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কোনও একটা মেয়েকে তার পেছনে লাগিয়ে দেয়। লাগিয়ে দিয়ে একটা কেলেঙ্কারির চেষ্টা করে। তখন তাকে উইথড্র করা হয়, সাসপেন্ড করা হয়, অনেক ইনভেস্টিগেশন করা হয়, সরকারের অনেক টাকা খরচ করা হয়। পরে দেখা যায় এক্কেরে বানোয়াট, এক্কেরে অলীক। তার (তৌহিদুল) প্রমোশন হয়, তারপর অ্যাম্বাসেডর হয়। এখন তার বিরুদ্ধে আবার লাগছে একদল, তারই বন্ধুবান্ধব হবে। আর না হয় পত্রিকায় এগুলো গেলো কীভাবে? হি ইজ অ্যা ভেরি গুড অফিসার। আমি যদ্দিন আছি, আই উইল ডিফেন্ড হিম।’

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে ভিয়েনা মিশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য আছে। এই পদে কূটনীতিক তৌহিদুলকে নিয়োগ দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ভিয়েনায় পাঠায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেখানকার সরকার তৌহিদুলকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে চিঠি লিখে তৌহিদুলকে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান। তবে এতেও কাজ হয়নি।

২০১৩ সালে ইতালির মিলানে কনসাল জেনারেল হিসেবে কর্মরত থাকাকালে মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তৌহিদুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভিয়েনা গ্রহণ করছে না বলে মনে করছেন কূটনীতি-সংশ্লিষ্ট অনেকে।