ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোস্তাফিজহীন দিল্লির নির্বিষ বোলিংয়ে গুজরাটের টানা জয়

গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নামার আগে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের ফেসবুক পেজে। দিল্লির জার্সিতে তাকে দেখতে বাংলাদেশি ভক্তরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। কিন্তু তাদের হতাশ হতে হয় ডেভিড ওয়ার্নার দল ঘোষণা করার পর। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বেঞ্চে কাটার মাস্টার। মোস্তাফিজের মতো ভাগ্য বদলায়নি দিল্লিরও। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাটারদের আগ্রাসনের অভাবের পর নির্বিষ বোলিং, তাতে গুজরাট টাইটান্সের কাছে তারা হারলো ৬ উইকেটে।

দিল্লির বোলিংয়ে এদিন পেস আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নর্কিয়ে। চার ওভারে তিনি ২ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান দেন। এছাড়া মিচেল মার্শ ও খলিল আহমেদ একটি করে উইকেট পান।

নর্কিয়ে নিজের প্রথম দুই ওভারে গুজরাটের ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলকে বোল্ড করে ভালো শুরু এনে দেন। ষষ্ঠ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকে (৫) বিদায় করেন খলিল। ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল গুজরাট। কিন্তু সাই সুদর্শন ও বিজয় শঙ্করের ৫৩ রানের জুটি স্বস্তি ফেরায়। ১৪তম ওভারে এই জুটি ভেঙে গেলে ডেভিড মিলারকে নিয়ে সুদর্শনের জুটিতে জিতে মাঠ ছাড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ২৯ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।

মিলার ১৬ বলে দুটি করে চার, ছয়ে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৮ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রানে ম্যাচসেরা হন সুদর্শন। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে জিতে যায় গুজরাট। ৪ উইকেটে করে ১৬৩ রান।

এনিয়ে আইপিএলে ১১ ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ১০টিই জিতলো গুজরাট। আর গত ফাইনালের পর দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ওভার পর্যন্ত যাওয়ার আগেই জয় পেলো তারা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ শামির বলে ১১ রান তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। এরপরই ভারতীয় পেসার তার টানা দুই ওভারে পৃথ্বী (৭) ও মার্শকে (৪) ফেরান। আলজারি জোসেফ নবম ওভারে পরপর ওয়ার্নার (৩৭) ও রাইলি রুসোকে (০) আউট করে চেপে ধরেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। মাঝে সরফরাজ খানের ৩০ ও অক্ষর প্যাটেলের ৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ১৬২ রান করে দল।

শামি ও রশিদ খান সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান জোসেফ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মোস্তাফিজহীন দিল্লির নির্বিষ বোলিংয়ে গুজরাটের টানা জয়

আপডেট সময় ০৩:৫৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নামার আগে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের ফেসবুক পেজে। দিল্লির জার্সিতে তাকে দেখতে বাংলাদেশি ভক্তরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। কিন্তু তাদের হতাশ হতে হয় ডেভিড ওয়ার্নার দল ঘোষণা করার পর। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বেঞ্চে কাটার মাস্টার। মোস্তাফিজের মতো ভাগ্য বদলায়নি দিল্লিরও। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাটারদের আগ্রাসনের অভাবের পর নির্বিষ বোলিং, তাতে গুজরাট টাইটান্সের কাছে তারা হারলো ৬ উইকেটে।

দিল্লির বোলিংয়ে এদিন পেস আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নর্কিয়ে। চার ওভারে তিনি ২ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান দেন। এছাড়া মিচেল মার্শ ও খলিল আহমেদ একটি করে উইকেট পান।

নর্কিয়ে নিজের প্রথম দুই ওভারে গুজরাটের ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলকে বোল্ড করে ভালো শুরু এনে দেন। ষষ্ঠ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকে (৫) বিদায় করেন খলিল। ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল গুজরাট। কিন্তু সাই সুদর্শন ও বিজয় শঙ্করের ৫৩ রানের জুটি স্বস্তি ফেরায়। ১৪তম ওভারে এই জুটি ভেঙে গেলে ডেভিড মিলারকে নিয়ে সুদর্শনের জুটিতে জিতে মাঠ ছাড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ২৯ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।

মিলার ১৬ বলে দুটি করে চার, ছয়ে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৮ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রানে ম্যাচসেরা হন সুদর্শন। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে জিতে যায় গুজরাট। ৪ উইকেটে করে ১৬৩ রান।

এনিয়ে আইপিএলে ১১ ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ১০টিই জিতলো গুজরাট। আর গত ফাইনালের পর দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ওভার পর্যন্ত যাওয়ার আগেই জয় পেলো তারা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ শামির বলে ১১ রান তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। এরপরই ভারতীয় পেসার তার টানা দুই ওভারে পৃথ্বী (৭) ও মার্শকে (৪) ফেরান। আলজারি জোসেফ নবম ওভারে পরপর ওয়ার্নার (৩৭) ও রাইলি রুসোকে (০) আউট করে চেপে ধরেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। মাঝে সরফরাজ খানের ৩০ ও অক্ষর প্যাটেলের ৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ১৬২ রান করে দল।

শামি ও রশিদ খান সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান জোসেফ।