ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেসির সউদী সফর নিয়েও গুঞ্জন!

এই সপ্তাহে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে লরিয়েন্টের বিপক্ষে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেরা হেরেছে ৩-১ গোলে। এই ধাক্কা আসার দুই দিন আগেই বার্সালোনাও ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে মেসিকে আবারও দলে ভেড়ানর মত অর্থনৈতিক অবস্থা তাদের নেই। এসবের মাঝেই পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের ও ক্রীড়া উপদেষ্টা লুইস কাম্পোসের অনুমতি ছাড়াই মেসি ছুটি কাটানোর জন্য গিয়েছেন সউদী আরবে। তবে কি বেশকিছু দিন ধরে বাতাসে ভাসা গুঞ্জণ সত্য করে সউদী ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে কথা বলতে গেলেন আর্জেন্টাইন তারকা? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মেসি ভক্তদের হৃদয়ে। তবে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে সউদীর পর্যটন বিষয়ক শুভেচ্ছাদূত মেসি কাজের অংশ হিসেবেই মরুর দেশে পরিবার নিয়ে অবস্থান করছেন।

সউদীর প্রকৃতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন লিওনেল মেসি। ওপরে নীল আকাশ আর নিচে সবুজ ঘাসে সারিবদ্ধ খেজুর গাছ- এমন দৃশ্যের একটি ছবি আপলোড করে তিনি লিখেছেন, ‘কে ভেবেছিল, সউদী আরব এত সবুজ? যখনই পারি, আমি দেশটির অপ্রত্যাশিত সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সেখানে যেতে চাই।’ এই পোস্টের একদিন পরেই সপরিবারে মরুর বুকে পা রাখেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। সেই ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সউদী পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশির সঙ্গে সউদী আরবের পর্যটনদূত মেসি এবং তার পরিবারকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

মেসি এমন এক সময় সউদী সফর করলেন, যখন ক্লাব ফুটবলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপের পরপরই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা ছিল তার। তবে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও, এখনও নতুন চুক্তির বিষয়ে কোনো পাকা খবর আসেনি। অন্যদিকে মেসির বার্সালোনায় ফেরার ব্যাপারে ইতিবাচক কোন সাড়া পাওয়া যায়নি বার্সা কতৃপক্ষ থেকে। সরাসরি না বললেও কাতালান ক্লাবটি যে আর্থিক ঝামেলার বেড়াজালে বন্ধী সেই ব্যাপারটা নিশ্চিত। তাই মেসির সউদী সফর জন্ম দিচ্ছে নানান আলোচনার।

আল হিলালের সঙ্গে জড়িয়ে মেসির গুঞ্জন সর্বপ্রথম উঠেছিল গত জানুয়ারির শুরুতে। পরবর্তীতে সেই গুঞ্জন আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে মার্চে। গত মাসে হঠাৎ করেই সউদীতে মেসির এজেন্ট হিসেবে কাজ করা বাবা হোর্হে মেসিকে দেখা যায়। তবে পরে জানা যায়, মেসির বাবার সেই অভিযান মূলত সউদীর পর্যটন বোর্ডের আমন্ত্রণেই। মেসি আগেই দেশটির পর্যটন বোর্ডের দূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানা যায়, মেসিকে দলে ভেড়াতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আল হিলাল। সউদী ক্লাবটির পক্ষ থেকে আর্জেন্টাইন তারকাকে প্রস্তাবিত পারিশ্রমিকের অঙ্কটাও রীতিমতো চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। বার্ষিক ৪০০ মিলিয়ন ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি। দেশটির আরেক ক্লাব আল নাসরের হয়ে খেলা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বর্তমান পারিশ্রমিকের প্রায় দ্বিগুণ। আল হিলালে যোগদান করলে ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডই বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলার হবেন বলে জানা যায়।

মেসি নিজে আসলে সামনের মৌসুমে কোথায় যেতে চান সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি বা বুঝতে দেননি কাউকে। তবে নাটকীয় কিছু না হলে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে আগামী মৌসুমে আর দেখা যাবে না পিএসজির জার্সিতে খলতে। অন্যদিকে পিএসজি কোচ গালতিয়ের অনুমতি ছাড়াই এবারের সউদী সফরে এসেছেন মেসি। তবে শোনা যাচ্ছে কোচের অনুমতি না পেলেও পরে ক্লাবের মালিক কতৃপক্ষ কাতারি বোর্ডের দ্বারস্থ হন তিনি। তাদের থেকে বিশেষ অনুমতি পাওয়ার পরই সউদীতে উড়াল দেন আর্জেন্টাইন তারকা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মেসির সউদী সফর নিয়েও গুঞ্জন!

আপডেট সময় ০৪:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

এই সপ্তাহে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে লরিয়েন্টের বিপক্ষে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেরা হেরেছে ৩-১ গোলে। এই ধাক্কা আসার দুই দিন আগেই বার্সালোনাও ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে মেসিকে আবারও দলে ভেড়ানর মত অর্থনৈতিক অবস্থা তাদের নেই। এসবের মাঝেই পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের ও ক্রীড়া উপদেষ্টা লুইস কাম্পোসের অনুমতি ছাড়াই মেসি ছুটি কাটানোর জন্য গিয়েছেন সউদী আরবে। তবে কি বেশকিছু দিন ধরে বাতাসে ভাসা গুঞ্জণ সত্য করে সউদী ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে কথা বলতে গেলেন আর্জেন্টাইন তারকা? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মেসি ভক্তদের হৃদয়ে। তবে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে সউদীর পর্যটন বিষয়ক শুভেচ্ছাদূত মেসি কাজের অংশ হিসেবেই মরুর দেশে পরিবার নিয়ে অবস্থান করছেন।

সউদীর প্রকৃতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন লিওনেল মেসি। ওপরে নীল আকাশ আর নিচে সবুজ ঘাসে সারিবদ্ধ খেজুর গাছ- এমন দৃশ্যের একটি ছবি আপলোড করে তিনি লিখেছেন, ‘কে ভেবেছিল, সউদী আরব এত সবুজ? যখনই পারি, আমি দেশটির অপ্রত্যাশিত সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সেখানে যেতে চাই।’ এই পোস্টের একদিন পরেই সপরিবারে মরুর বুকে পা রাখেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। সেই ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সউদী পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশির সঙ্গে সউদী আরবের পর্যটনদূত মেসি এবং তার পরিবারকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

মেসি এমন এক সময় সউদী সফর করলেন, যখন ক্লাব ফুটবলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপের পরপরই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা ছিল তার। তবে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও, এখনও নতুন চুক্তির বিষয়ে কোনো পাকা খবর আসেনি। অন্যদিকে মেসির বার্সালোনায় ফেরার ব্যাপারে ইতিবাচক কোন সাড়া পাওয়া যায়নি বার্সা কতৃপক্ষ থেকে। সরাসরি না বললেও কাতালান ক্লাবটি যে আর্থিক ঝামেলার বেড়াজালে বন্ধী সেই ব্যাপারটা নিশ্চিত। তাই মেসির সউদী সফর জন্ম দিচ্ছে নানান আলোচনার।

আল হিলালের সঙ্গে জড়িয়ে মেসির গুঞ্জন সর্বপ্রথম উঠেছিল গত জানুয়ারির শুরুতে। পরবর্তীতে সেই গুঞ্জন আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে মার্চে। গত মাসে হঠাৎ করেই সউদীতে মেসির এজেন্ট হিসেবে কাজ করা বাবা হোর্হে মেসিকে দেখা যায়। তবে পরে জানা যায়, মেসির বাবার সেই অভিযান মূলত সউদীর পর্যটন বোর্ডের আমন্ত্রণেই। মেসি আগেই দেশটির পর্যটন বোর্ডের দূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানা যায়, মেসিকে দলে ভেড়াতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আল হিলাল। সউদী ক্লাবটির পক্ষ থেকে আর্জেন্টাইন তারকাকে প্রস্তাবিত পারিশ্রমিকের অঙ্কটাও রীতিমতো চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। বার্ষিক ৪০০ মিলিয়ন ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি। দেশটির আরেক ক্লাব আল নাসরের হয়ে খেলা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বর্তমান পারিশ্রমিকের প্রায় দ্বিগুণ। আল হিলালে যোগদান করলে ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডই বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলার হবেন বলে জানা যায়।

মেসি নিজে আসলে সামনের মৌসুমে কোথায় যেতে চান সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি বা বুঝতে দেননি কাউকে। তবে নাটকীয় কিছু না হলে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে আগামী মৌসুমে আর দেখা যাবে না পিএসজির জার্সিতে খলতে। অন্যদিকে পিএসজি কোচ গালতিয়ের অনুমতি ছাড়াই এবারের সউদী সফরে এসেছেন মেসি। তবে শোনা যাচ্ছে কোচের অনুমতি না পেলেও পরে ক্লাবের মালিক কতৃপক্ষ কাতারি বোর্ডের দ্বারস্থ হন তিনি। তাদের থেকে বিশেষ অনুমতি পাওয়ার পরই সউদীতে উড়াল দেন আর্জেন্টাইন তারকা।