ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার এজেন্ডা উন্মুক্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সফরকালে কোনো সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নয়; বরং সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে। এতে করে আমার ধারণা, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেছেন। বিশ্বশান্তির জন্য নিবেদিত প্রয়াত চিন্ময় ঘোষ প্রতিষ্ঠিত ‘শান্তি দৌড়’ উদ্বোধন করতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। চিন্ময় নামে পরিচিত এই ব্যক্তিত্বের জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তির জন্য নানামুখী জোরালো তৎপরতা চালিয়েছেন। শান্তি দৌড় একটি বৈশ্বিক ইভেন্ট বর্তমানে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে ডোনাল্ড লু’র সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি তার সফরকে স্বাগত জানাই। তিনি এলে বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ হবে। আমার ধারণা, এতে আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।’

র‌্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ইস্যু নিয়ে একটি সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয় না। বহুবিধ ইস্যু দিয়ে সম্পর্ক নির্ধারিত হয়। বহুবিধ ইস্যু আমাদের মধ্যে রয়েছে। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় ইনভেস্টর। সব দিক দিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের ভ্যালুস অ্যান্ড প্রিন্সিপালের মিল আছে। আমেরিকা চায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আমরাও চাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। আমেরিকা চায় হিউম্যান রাইটস আপহোল্ড হোক। এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে হিউম্যান রাইটসের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য। গণতন্ত্রের জন্য। তারাও এটা চায়।’

এসব ইস্যুতে আলাপ হবে কিনা জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আলাপ হবে। অনেক কিছু নিয়ে আলাপ হবে। ইট ইজ ওপেন।’

ডোনাল্ড লু ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। সফরকালের বিস্তারিত কর্মসূচি এখনো জানা যায়নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন শুক্রবার যুগান্তরকে বলেছেন, এটি একটি রুটিন সফর।

রাজধানীর শাহীনবাগে গুম হওয়া এক নেতার বাসায় সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যাওয়ার পর ওই বাসার সামনে জিয়াউর রহমানের আমলে ফাঁসি হওয়া সামরিক কর্মকর্তাদের স্বজনরা ভিড় জমান। পিটার হাস অভিযোগ করেছেন যে, বিষয়টায় তিনি তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে এই উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। ফলে এই সময়ে ডোনাল্ড লু মার্কিন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন আবারও তুলতে পারেন বলে ধারণা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বরাবরই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। এবারও লু বিষয়টা উত্থাপন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার এজেন্ডা উন্মুক্ত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সফরকালে কোনো সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নয়; বরং সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে। এতে করে আমার ধারণা, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেছেন। বিশ্বশান্তির জন্য নিবেদিত প্রয়াত চিন্ময় ঘোষ প্রতিষ্ঠিত ‘শান্তি দৌড়’ উদ্বোধন করতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। চিন্ময় নামে পরিচিত এই ব্যক্তিত্বের জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তির জন্য নানামুখী জোরালো তৎপরতা চালিয়েছেন। শান্তি দৌড় একটি বৈশ্বিক ইভেন্ট বর্তমানে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে ডোনাল্ড লু’র সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি তার সফরকে স্বাগত জানাই। তিনি এলে বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ হবে। আমার ধারণা, এতে আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।’

র‌্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি ইস্যু নিয়ে একটি সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয় না। বহুবিধ ইস্যু দিয়ে সম্পর্ক নির্ধারিত হয়। বহুবিধ ইস্যু আমাদের মধ্যে রয়েছে। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় ইনভেস্টর। সব দিক দিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের ভ্যালুস অ্যান্ড প্রিন্সিপালের মিল আছে। আমেরিকা চায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আমরাও চাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। আমেরিকা চায় হিউম্যান রাইটস আপহোল্ড হোক। এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে হিউম্যান রাইটসের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য। গণতন্ত্রের জন্য। তারাও এটা চায়।’

এসব ইস্যুতে আলাপ হবে কিনা জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আলাপ হবে। অনেক কিছু নিয়ে আলাপ হবে। ইট ইজ ওপেন।’

ডোনাল্ড লু ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। সফরকালের বিস্তারিত কর্মসূচি এখনো জানা যায়নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন শুক্রবার যুগান্তরকে বলেছেন, এটি একটি রুটিন সফর।

রাজধানীর শাহীনবাগে গুম হওয়া এক নেতার বাসায় সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যাওয়ার পর ওই বাসার সামনে জিয়াউর রহমানের আমলে ফাঁসি হওয়া সামরিক কর্মকর্তাদের স্বজনরা ভিড় জমান। পিটার হাস অভিযোগ করেছেন যে, বিষয়টায় তিনি তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে এই উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। ফলে এই সময়ে ডোনাল্ড লু মার্কিন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন আবারও তুলতে পারেন বলে ধারণা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বরাবরই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। এবারও লু বিষয়টা উত্থাপন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।