ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোজ্যতেলের দাম ফের বাড়ল

ভোজ্যতেলের দাম ফের বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। যা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। বোতলজাত ছাড়াও খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে ৯ টাকা। পাম সুপার তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১৮ টাকা। গত ৩০ এপ্রিল ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের দেওয়া ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়। এর তিন পরই বাড়ল নিত্যপণ্যটির দাম।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। নতুন দর অনুযায়ী বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা। ৫ লিটারের দাম হবে ৯৬০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৬ টাকা লিটার।

এছাড়া পাম সুপার তেলের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বরে সর্বশেষ ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯০৬ টাকা। পাম অয়েলের দাম ছিল ১১৭ টাকা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ১ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকায় বিক্রি হবে। এত দিন এ দাম ছিল ১৮৭ টাকা। এ ছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৬০ টাকায়। এত দিন দাম ছিল ৯০৬ টাকা। এর মানে নতুন করে বাড়ছে ৫৪ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম হচ্ছে ১৭৬ টাকা। এত দিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হবে ১৩৫ টাকা করে।

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৭ নভেম্বর দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ভোজ্যতেল আমদানিতে সাধারণত ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যায়। তাই দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে গত বছরের (২০২২) মার্চে ভ্যাটের পরিমাণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

প্রথমবার তিন মাসের জন্য এ সুবিধা দেওয়া হলেও পরে তা একাধিকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এ সুবিধার মেয়াদ ঈদের সময় পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হ্রাসকৃত ভ্যাট-সুবিধার মেয়াদ বজায় রাখা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওই দিনই বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম সমন্বয়, অর্থাৎ বৃদ্ধির আবেদন করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর চার দিনের মাথায় সয়াবিন ও পাম তেলের দাম আরেক দফায় বৃদ্ধির ঘোষণা দিল সংগঠনটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, খোলা সয়াবিন তেল এতদিন প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা নির্ধারিত ছিল, সেটা এখন ৮ টাকা বেড়ে ১৭৬ টাকা হয়েছে। আর বোতলের সয়াবিন তেল এতদিন প্রতি লিটার ১৮৭ টাকা ছিল, সেটা ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯৯ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট কমিয়ে রেখেছিল সরকার। কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ এপ্রিলে ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ শেষ হয়। এতোদিন আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ কার্যকর ছিল। এখন আবার ১৫ শতাংশে ফিরে গেল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভোজ্যতেলের দাম ফের বাড়ল

আপডেট সময় ০৪:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

ভোজ্যতেলের দাম ফের বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। যা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। বোতলজাত ছাড়াও খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে ৯ টাকা। পাম সুপার তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১৮ টাকা। গত ৩০ এপ্রিল ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের দেওয়া ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়। এর তিন পরই বাড়ল নিত্যপণ্যটির দাম।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। নতুন দর অনুযায়ী বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা। ৫ লিটারের দাম হবে ৯৬০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৬ টাকা লিটার।

এছাড়া পাম সুপার তেলের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বরে সর্বশেষ ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯০৬ টাকা। পাম অয়েলের দাম ছিল ১১৭ টাকা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ১ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকায় বিক্রি হবে। এত দিন এ দাম ছিল ১৮৭ টাকা। এ ছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৬০ টাকায়। এত দিন দাম ছিল ৯০৬ টাকা। এর মানে নতুন করে বাড়ছে ৫৪ টাকা। অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম হচ্ছে ১৭৬ টাকা। এত দিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হবে ১৩৫ টাকা করে।

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৭ নভেম্বর দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ভোজ্যতেল আমদানিতে সাধারণত ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যায়। তাই দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে গত বছরের (২০২২) মার্চে ভ্যাটের পরিমাণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

প্রথমবার তিন মাসের জন্য এ সুবিধা দেওয়া হলেও পরে তা একাধিকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এ সুবিধার মেয়াদ ঈদের সময় পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হ্রাসকৃত ভ্যাট-সুবিধার মেয়াদ বজায় রাখা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওই দিনই বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম সমন্বয়, অর্থাৎ বৃদ্ধির আবেদন করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর চার দিনের মাথায় সয়াবিন ও পাম তেলের দাম আরেক দফায় বৃদ্ধির ঘোষণা দিল সংগঠনটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, খোলা সয়াবিন তেল এতদিন প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা নির্ধারিত ছিল, সেটা এখন ৮ টাকা বেড়ে ১৭৬ টাকা হয়েছে। আর বোতলের সয়াবিন তেল এতদিন প্রতি লিটার ১৮৭ টাকা ছিল, সেটা ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৯৯ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট কমিয়ে রেখেছিল সরকার। কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ এপ্রিলে ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ শেষ হয়। এতোদিন আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ কার্যকর ছিল। এখন আবার ১৫ শতাংশে ফিরে গেল।