ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেকার ২৬ লাখ ৩০ হাজার

‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ পুরনো প্রবাদ। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সারাবিশ্বে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশের অসংখ্য কর্মজীবী কাজ হারিয়েছেন এবং বেকারের সংখ্যা বাড়ছে বলে বেসরকারি কয়েকটি গবেষণা সংস্থা জরিপ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে গতকাল সরকারি এক জরিপে জানানো হয়েছে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ৫ বছর আগে এই হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে বর্তমানে ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ কাজ করছে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২ শিরোনামের প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। জরিপে দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে বেকারের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ২৬ লাখ ৩০ হাজার। ৫ বছর আগে দেশে বেকার ছিল ২৭ লাখ। অর্থাৎ গত ৫ বছরের ব্যবধানে দেশে বেকার কমেছে ৭০ হাজার। জরিপে শ্রমশক্তি হিসেবে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে সপ্তাহে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার সুযোগ না পেলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের প্রায় সোয়া লাখ পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্য সংগ্রহ করা হয় দ্বৈবচয়ন অর্থাৎ লটারি পদ্ধতিতে বাছাইয়ের মাধ্যমে। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রমশক্তি জরিপ করেছে বিবিএস। প্রতি ৪ থেকে ৫ বছরের ব্যবধান এ জরিপ করা হয়ে থাকে। বিবিএস’র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিগত পাঁচ বছরে শ্রমবাজারের সূচকগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০২২ সালের ফলাফলে পাওয়া যায়, বেকারত্বের হারের সূচক কমেছে। শ্রমশক্তিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের হারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে এবং কর্মে নিয়োজিত বিশেষ করে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। যুব জনগোষ্ঠীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বেড়েছে। কৃষি এবং সেবা খাতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়েছে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এখন দেশে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ আছেন। এর মধ্যে কাজে নিয়োজিত আছেন ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেকারদের মধ্যে পুরুষ ১৬ লাখ ৯০ হাজার। আর নারী ৯ লাখ ৪০ হাজার। পাঁচ বছর আগের চেয়ে নারীর বেকারত্ব কমেছে। বেড়েছে পুরুষের বেকারত্ব। ২০১৭ সালের জরিপে ১৪ লাখ পুরুষ বেকার ছিল। ওই সময় ১৩ লাখ নারী বেকার ছিল। জরিপ বলছে, বেকরাত্ব কমে আসার পাশাপাশি কর্মে নিয়োজিত জনবলও বেড়েছে দেশে। এখন দেশে শ্রমশক্তিতে রয়েছে ৬১ শতাংশ, যা আগের জরিপে ছিল ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমানে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ যুক্ত আছে। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ।
বর্তমান শ্রমশক্তির মধ্যে ৪ কোটি ৩৫ লাখ পুরুষ এবং নারী ২ কোটি ৫৯ লাখ। মোট শ্রমশক্তির মধ্যে কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। অন্যদিকে শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ। এদের মধ্যে পুরুষ এক কোটি ২০ লাখ আর নারী তিন কোটি ৪৮ লাখ। অর্থাৎ আগের জরিপে প্রাপ্ত শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনসংখ্যার চেয়ে বর্তমান জরিপে বেড়েছে ১৪ লাখ। প্রতিবেদনে জনশক্তির যুব অংশ প্রসঙ্গে বলা হয়, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী যুবশ্রমশক্তি দুই কোটি ৬৮ লাখ। আগের জরিপে যা ছিল দুই কোটি। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে যুবশ্রমশক্তি বেড়েছে ৬৮ লাখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এ জরিপের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল গতিবিধি আমরা বুঝতে পারব। আমরা কোনো তথ্যই লুকিয়ে রাখব না। তিনি বলেন, আমাদের দেশের গৃহিণীরা প্রায় ২৪ ঘণ্টাই কাজ করেন। তাদের শ্রম হিসেব করা হয় না। তাদের শ্রম হিসেবে এলে জিডিপির আকার ৬০০ থেকে ৭০০ বিলিয়ন হতো। নারীদের শ্রমের প্রকৃত বিচার হয় না। আমরা আশা করছি এখন থেকে এ তথ্য প্রতি তিন মাসেই পাবো।

আাইএলও’র আইন মানা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আইএলওর মানদ- অনুযায়ী এ জরিপ করা হয়েছে। কভিডের সময় আমাদের দেশে বেকারত্ব কমেছে কারণ সে সময় আমরা শিল্প খোলা রেখেছিলাম। লকডাউনে সড়কে বাস চলাচল করতে দিয়েছি। ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি প্রণোদোনা দেয়া হয়েছে সে সময়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এটি প্রভিশনাল রিপোর্ট। এ তথ্য মূল প্রতিবেদনে পরিবর্তন হতে পারে। অর্থনীতির হাল বুঝার জন্য এ তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বেকার বাড়ছে নাকি কমছে সে তথ্য সরকারের নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এসব তথ্য উপাত্ত নিয়ে যেসব প্রশ্ন আসছে, এগুলো সব সময়ই এসে থাকে। এসব প্রশ্ন আসবেই। শহরের মহিলা শ্রমিক কমে গেছে, তার মানে হলো তারা গ্রামে গিয়ে কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে। বিবিএস বলছে, সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ঘরে ঘরে চাকরি প্রদানের বিষয়ে বিশেষ সুযোগ তৈরির প্রচেষ্টায় বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে।

এ সময় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান-ই-এলাহী বলেন, আমি তো ভেবেছিলাম দেশে শ্রমিক ৬ কোটি, এখন দেখি ৭ কোটির বেশি। এটি বড় সুসংবাদ। আমরা আগামী বছরের মধ্যে ৩ লাখ শ্রমিকের ডাটাবেইজ করব। কারণ আমাদের কাছে সঠিক কোনো ডাটাবেইজ নেই।

সূত্র মতে, নমুনা ফ্রেম হিসেবে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর দ্বিতীয় জোনাল অপারেশন ব্যবহার করে দেশব্যাপী এক হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক গণনা এলাকা ও প্রতিটি প্রাথমিক গণনা এলাকা থেকে ২৪টি খানা নির্ধারণ করা হয়। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা এবং বছরে মোট এক লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা থেকে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করে ‘শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২’ প্রকল্পের আওতায় এই তথ্য দেয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ এর জুলাই থেকে ২০২৫ এর জুন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বেকার ২৬ লাখ ৩০ হাজার

আপডেট সময় ০৩:৪৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ পুরনো প্রবাদ। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সারাবিশ্বে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশের অসংখ্য কর্মজীবী কাজ হারিয়েছেন এবং বেকারের সংখ্যা বাড়ছে বলে বেসরকারি কয়েকটি গবেষণা সংস্থা জরিপ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে গতকাল সরকারি এক জরিপে জানানো হয়েছে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ৫ বছর আগে এই হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে বর্তমানে ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ কাজ করছে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২ শিরোনামের প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। জরিপে দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে বেকারের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ২৬ লাখ ৩০ হাজার। ৫ বছর আগে দেশে বেকার ছিল ২৭ লাখ। অর্থাৎ গত ৫ বছরের ব্যবধানে দেশে বেকার কমেছে ৭০ হাজার। জরিপে শ্রমশক্তি হিসেবে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে সপ্তাহে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার সুযোগ না পেলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের প্রায় সোয়া লাখ পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্য সংগ্রহ করা হয় দ্বৈবচয়ন অর্থাৎ লটারি পদ্ধতিতে বাছাইয়ের মাধ্যমে। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রমশক্তি জরিপ করেছে বিবিএস। প্রতি ৪ থেকে ৫ বছরের ব্যবধান এ জরিপ করা হয়ে থাকে। বিবিএস’র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিগত পাঁচ বছরে শ্রমবাজারের সূচকগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০২২ সালের ফলাফলে পাওয়া যায়, বেকারত্বের হারের সূচক কমেছে। শ্রমশক্তিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের হারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে এবং কর্মে নিয়োজিত বিশেষ করে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। যুব জনগোষ্ঠীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বেড়েছে। কৃষি এবং সেবা খাতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়েছে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এখন দেশে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ আছেন। এর মধ্যে কাজে নিয়োজিত আছেন ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেকারদের মধ্যে পুরুষ ১৬ লাখ ৯০ হাজার। আর নারী ৯ লাখ ৪০ হাজার। পাঁচ বছর আগের চেয়ে নারীর বেকারত্ব কমেছে। বেড়েছে পুরুষের বেকারত্ব। ২০১৭ সালের জরিপে ১৪ লাখ পুরুষ বেকার ছিল। ওই সময় ১৩ লাখ নারী বেকার ছিল। জরিপ বলছে, বেকরাত্ব কমে আসার পাশাপাশি কর্মে নিয়োজিত জনবলও বেড়েছে দেশে। এখন দেশে শ্রমশক্তিতে রয়েছে ৬১ শতাংশ, যা আগের জরিপে ছিল ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমানে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ যুক্ত আছে। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ।
বর্তমান শ্রমশক্তির মধ্যে ৪ কোটি ৩৫ লাখ পুরুষ এবং নারী ২ কোটি ৫৯ লাখ। মোট শ্রমশক্তির মধ্যে কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। অন্যদিকে শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ। এদের মধ্যে পুরুষ এক কোটি ২০ লাখ আর নারী তিন কোটি ৪৮ লাখ। অর্থাৎ আগের জরিপে প্রাপ্ত শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনসংখ্যার চেয়ে বর্তমান জরিপে বেড়েছে ১৪ লাখ। প্রতিবেদনে জনশক্তির যুব অংশ প্রসঙ্গে বলা হয়, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী যুবশ্রমশক্তি দুই কোটি ৬৮ লাখ। আগের জরিপে যা ছিল দুই কোটি। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে যুবশ্রমশক্তি বেড়েছে ৬৮ লাখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এ জরিপের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল গতিবিধি আমরা বুঝতে পারব। আমরা কোনো তথ্যই লুকিয়ে রাখব না। তিনি বলেন, আমাদের দেশের গৃহিণীরা প্রায় ২৪ ঘণ্টাই কাজ করেন। তাদের শ্রম হিসেব করা হয় না। তাদের শ্রম হিসেবে এলে জিডিপির আকার ৬০০ থেকে ৭০০ বিলিয়ন হতো। নারীদের শ্রমের প্রকৃত বিচার হয় না। আমরা আশা করছি এখন থেকে এ তথ্য প্রতি তিন মাসেই পাবো।

আাইএলও’র আইন মানা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আইএলওর মানদ- অনুযায়ী এ জরিপ করা হয়েছে। কভিডের সময় আমাদের দেশে বেকারত্ব কমেছে কারণ সে সময় আমরা শিল্প খোলা রেখেছিলাম। লকডাউনে সড়কে বাস চলাচল করতে দিয়েছি। ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি প্রণোদোনা দেয়া হয়েছে সে সময়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এটি প্রভিশনাল রিপোর্ট। এ তথ্য মূল প্রতিবেদনে পরিবর্তন হতে পারে। অর্থনীতির হাল বুঝার জন্য এ তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বেকার বাড়ছে নাকি কমছে সে তথ্য সরকারের নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এসব তথ্য উপাত্ত নিয়ে যেসব প্রশ্ন আসছে, এগুলো সব সময়ই এসে থাকে। এসব প্রশ্ন আসবেই। শহরের মহিলা শ্রমিক কমে গেছে, তার মানে হলো তারা গ্রামে গিয়ে কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে। বিবিএস বলছে, সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ঘরে ঘরে চাকরি প্রদানের বিষয়ে বিশেষ সুযোগ তৈরির প্রচেষ্টায় বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে।

এ সময় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান-ই-এলাহী বলেন, আমি তো ভেবেছিলাম দেশে শ্রমিক ৬ কোটি, এখন দেখি ৭ কোটির বেশি। এটি বড় সুসংবাদ। আমরা আগামী বছরের মধ্যে ৩ লাখ শ্রমিকের ডাটাবেইজ করব। কারণ আমাদের কাছে সঠিক কোনো ডাটাবেইজ নেই।

সূত্র মতে, নমুনা ফ্রেম হিসেবে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর দ্বিতীয় জোনাল অপারেশন ব্যবহার করে দেশব্যাপী এক হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক গণনা এলাকা ও প্রতিটি প্রাথমিক গণনা এলাকা থেকে ২৪টি খানা নির্ধারণ করা হয়। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা এবং বছরে মোট এক লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা থেকে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করে ‘শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২’ প্রকল্পের আওতায় এই তথ্য দেয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ এর জুলাই থেকে ২০২৫ এর জুন।