ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুয়েটছাত্র ফারদিনের মৃত্যু: ৫৯ দিন পর জামিন পেলেন বুশরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন দায়রা জজ আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত এ জামিন আদেশ বহাল থাকবে। আটকের ৫৯ দিন পর জামিন পেলেন বুশরা।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার বাদী ও আসামিপক্ষের সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান।

আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করেন। এদিন ফারদিনের বাবাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মহানগর গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুতে তার বান্ধবী আমাতুল বুশরার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। ফারদিন আত্মহত্যা করেছে। মামলার অভিযোগপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হবে বলেও জানিয়েছে ডিবি। ওই দিন র‌্যাবও ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।

এর আগে, ৫ জানুয়ারি বিচারক এই আদেশের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন। শুনানিকালে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন, বুশরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে বান্ধবী বুশরাকে নামিয়ে দেওয়ার পর নিখোঁজ হন ফারদিন নুর পরশ। এ ঘটনায় সন্তানের সন্ধান দাবিতে রামপুরা থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পায় নৌপুলিশ। ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক, তার পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি ছিল, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে।

ফারদিন নূর পরশকে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে তার বাবা মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় বুশরাকে। দুদিন পর ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৬ নভেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বুয়েটছাত্র ফারদিনের মৃত্যু: ৫৯ দিন পর জামিন পেলেন বুশরা

আপডেট সময় ০৩:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন দায়রা জজ আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত এ জামিন আদেশ বহাল থাকবে। আটকের ৫৯ দিন পর জামিন পেলেন বুশরা।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তেহসিন ইফতেখার বাদী ও আসামিপক্ষের সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান।

আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করেন। এদিন ফারদিনের বাবাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মহানগর গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুতে তার বান্ধবী আমাতুল বুশরার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। ফারদিন আত্মহত্যা করেছে। মামলার অভিযোগপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হবে বলেও জানিয়েছে ডিবি। ওই দিন র‌্যাবও ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।

এর আগে, ৫ জানুয়ারি বিচারক এই আদেশের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন। শুনানিকালে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন, বুশরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে বান্ধবী বুশরাকে নামিয়ে দেওয়ার পর নিখোঁজ হন ফারদিন নুর পরশ। এ ঘটনায় সন্তানের সন্ধান দাবিতে রামপুরা থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পায় নৌপুলিশ। ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক, তার পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি ছিল, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে।

ফারদিন নূর পরশকে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে তার বাবা মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় বুশরাকে। দুদিন পর ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৬ নভেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান।