ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাখমুতে গুরুত্বপূর্ণ কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনা

রাশিয়ান বাহিনী তীব্র প্রতিরোধ সত্ত্বেও পূর্ব ইউক্রেনের শহর বাখমুতে অগ্রসর হচ্ছে এবং সেখানে একটি ধাতু কারখানার প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ডোনেৎস্কের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেনিস পুশিলিন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাখমুতের যুদ্ধ, যাকে রাশিয়া তার সোভিয়েত যুগের আর্টিওমভস্ক নামে ডাকে, কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযানের একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে। পুশিলিন বলেছেন, ইউক্রেনের বেশিরভাগ বাহিনী বাখমুতকা নদীর পশ্চিম দিকের আজম ধাতু কারখানায় আশ্রয় নিয়েছিল, যেখান থেকে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ‘শিল্প অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া জরুরি ছিল। এখন কার্যত বলা যেতে পারে, এটি করা হয়েছে। রুশ সেনারা সেখানে তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে,’ পুশিলিন বলেছিলেন।

উভয় পক্ষই বলেছে যে তারা বাখমুতে একে অপরকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে। পুশিলিন বলেছেন যে, রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর যোদ্ধারা শহরে আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। ‘(ওয়াগনার) ছেলেরা এগিয়ে যাচ্ছে, অবশ্যই তারা এগিয়ে যাচ্ছে, যদিও এটি করতে তাদের কঠোর প্রচেষ্টা লাগে,’ পুশিলিন রাষ্ট্রীয় টিভি উপস্থাপক ভ্লাদিমির সলোভিভকে বলেছেন।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি শনিবার বলেছেন যে, কিয়েভ বাখমুত এবং এর আশেপাশে রাশিয়ার আক্রমণকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে। ইউক্রেনের সামরিক কমান্ডাররা বলেছেন যে, তারা সদ্য পাওয়া পশ্চিমা অস্ত্রগুলো দিয়ে অচিরেই পাল্টা আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করবে, তবে এর মধ্যে তারা বাখমুতকে ধরে রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বাখমুতে গুরুত্বপূর্ণ কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনা

আপডেট সময় ০৩:৫৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

রাশিয়ান বাহিনী তীব্র প্রতিরোধ সত্ত্বেও পূর্ব ইউক্রেনের শহর বাখমুতে অগ্রসর হচ্ছে এবং সেখানে একটি ধাতু কারখানার প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ডোনেৎস্কের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেনিস পুশিলিন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাখমুতের যুদ্ধ, যাকে রাশিয়া তার সোভিয়েত যুগের আর্টিওমভস্ক নামে ডাকে, কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযানের একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে। পুশিলিন বলেছেন, ইউক্রেনের বেশিরভাগ বাহিনী বাখমুতকা নদীর পশ্চিম দিকের আজম ধাতু কারখানায় আশ্রয় নিয়েছিল, যেখান থেকে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ‘শিল্প অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া জরুরি ছিল। এখন কার্যত বলা যেতে পারে, এটি করা হয়েছে। রুশ সেনারা সেখানে তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে,’ পুশিলিন বলেছিলেন।

উভয় পক্ষই বলেছে যে তারা বাখমুতে একে অপরকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে। পুশিলিন বলেছেন যে, রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর যোদ্ধারা শহরে আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। ‘(ওয়াগনার) ছেলেরা এগিয়ে যাচ্ছে, অবশ্যই তারা এগিয়ে যাচ্ছে, যদিও এটি করতে তাদের কঠোর প্রচেষ্টা লাগে,’ পুশিলিন রাষ্ট্রীয় টিভি উপস্থাপক ভ্লাদিমির সলোভিভকে বলেছেন।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি শনিবার বলেছেন যে, কিয়েভ বাখমুত এবং এর আশেপাশে রাশিয়ার আক্রমণকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে। ইউক্রেনের সামরিক কমান্ডাররা বলেছেন যে, তারা সদ্য পাওয়া পশ্চিমা অস্ত্রগুলো দিয়ে অচিরেই পাল্টা আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করবে, তবে এর মধ্যে তারা বাখমুতকে ধরে রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।