ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের চার মূলনীতিকে অস্বীকার করে বিএনপি: মতিয়া

স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভ্রষ্টদের বিএনপিতে সমাহার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এমপি।

বিএনপি বাংলাদেশের চার মূলনীতিকে অস্বীকার করে রাজনীতি করে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সজ্জন, সুধী বা শিক্ষিত হলেও তার যে রাজনৈতিক দর্শন এটা পশ্চাৎমুখী। অর্থাৎ পাকিস্তানপ্রিয়তা তাতে আছে। বাংলাদেশের চার মূলনীতি শহিদের রক্তে লিখিত। সেই চার মূলনীতিকেই অস্বীকার করে তিনি রাজনীতি করেন, বিএনপি রাজনীতি করে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, তারা সরকারি টাকায় পার্টি গড়ে তুলেছে। সেই পার্টি যদি সত্যিকারের ভিতের ওপর থাকত তাহলে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে এরশাদ সাহেব সেখান থেকে টান মেরে মেরে লোক ভাগিয়ে নিয়ে জাতীয় পার্টি করতে পারতেন না।

তিনি বলেন, যে নালে জন্ম সেই নালেই বিনাশ। জিয়া যেভাবে পার্টি তৈরি করেছিল। সেভাবেই এরশাদ সাহেব বিএনপিকে কঙ্কালসার করে দিয়েছিলেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে বৈধভাবে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই তাই বিএনপি অশুভ চক্রান্ত করছে।

বিএনপি আন্দোলনের নামে নাটক করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি এত নাটক কি কারণে, কি লক্ষ্য নিয়ে করছে? বিএনপি নেতারা বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র কোথায় গেছে? প্রতিদিন সভা, সমাবেশ, মিছিল করেন। টেলিভিশনে টকশোতে মিথ্যাচার, বিষোদগার করেন। গণতন্ত্রে সংজ্ঞা কি আগে পড়ে আসেন, তারপর কথা বলেন।

হানিফ বলেন, বুধবার ৬টি আসনে উপনির্বাচন সফলভাবে শেষ করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব প্রমাণ করেছে। গাইবান্ধা উপনির্বাচনে সামান্য ত্রুটি তাদের চোখে পড়েছিল, নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিলেন। তখন আমরা তাদের এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করিনি। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, নির্বাচন বাতিল করার তাদের সেই সক্ষমতা আছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সমস্যা কোথায় এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোদিন বাস্তবায়ন হবে না।

সভাপতির বক্তেব্যে কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। কৃষক লীগ কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজপথে থেকে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যকে প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়বে- এটাই হোক আজকের শান্তি সমাবেশের শপথ।

কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি। অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় ও নগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের চার মূলনীতিকে অস্বীকার করে বিএনপি: মতিয়া

আপডেট সময় ০৪:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভ্রষ্টদের বিএনপিতে সমাহার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এমপি।

বিএনপি বাংলাদেশের চার মূলনীতিকে অস্বীকার করে রাজনীতি করে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সজ্জন, সুধী বা শিক্ষিত হলেও তার যে রাজনৈতিক দর্শন এটা পশ্চাৎমুখী। অর্থাৎ পাকিস্তানপ্রিয়তা তাতে আছে। বাংলাদেশের চার মূলনীতি শহিদের রক্তে লিখিত। সেই চার মূলনীতিকেই অস্বীকার করে তিনি রাজনীতি করেন, বিএনপি রাজনীতি করে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, তারা সরকারি টাকায় পার্টি গড়ে তুলেছে। সেই পার্টি যদি সত্যিকারের ভিতের ওপর থাকত তাহলে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে এরশাদ সাহেব সেখান থেকে টান মেরে মেরে লোক ভাগিয়ে নিয়ে জাতীয় পার্টি করতে পারতেন না।

তিনি বলেন, যে নালে জন্ম সেই নালেই বিনাশ। জিয়া যেভাবে পার্টি তৈরি করেছিল। সেভাবেই এরশাদ সাহেব বিএনপিকে কঙ্কালসার করে দিয়েছিলেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে বৈধভাবে জয়লাভের সম্ভাবনা নেই তাই বিএনপি অশুভ চক্রান্ত করছে।

বিএনপি আন্দোলনের নামে নাটক করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি এত নাটক কি কারণে, কি লক্ষ্য নিয়ে করছে? বিএনপি নেতারা বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র কোথায় গেছে? প্রতিদিন সভা, সমাবেশ, মিছিল করেন। টেলিভিশনে টকশোতে মিথ্যাচার, বিষোদগার করেন। গণতন্ত্রে সংজ্ঞা কি আগে পড়ে আসেন, তারপর কথা বলেন।

হানিফ বলেন, বুধবার ৬টি আসনে উপনির্বাচন সফলভাবে শেষ করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব প্রমাণ করেছে। গাইবান্ধা উপনির্বাচনে সামান্য ত্রুটি তাদের চোখে পড়েছিল, নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিলেন। তখন আমরা তাদের এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করিনি। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, নির্বাচন বাতিল করার তাদের সেই সক্ষমতা আছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সমস্যা কোথায় এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনোদিন বাস্তবায়ন হবে না।

সভাপতির বক্তেব্যে কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। কৃষক লীগ কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজপথে থেকে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যকে প্রতিরোধ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়বে- এটাই হোক আজকের শান্তি সমাবেশের শপথ।

কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি। অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় ও নগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।