ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে নকআউটে দেখছেন সৌরভ

ওয়ানডেতে বরাবরই সমীহ করার মতো দল বাংলাদেশ। এই সংস্করণের বিশ্বকাপ ঘিরে তাই থাকে বাড়তি প্রত্যাশা। তার উপর চলতি বছরের আসর বসবে ভারতের মাটিতে। চেনা কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় অনেকেই আশাবাদী, এবার ভালো কিছু করবে বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে আছেন সৌরভ গাঙ্গুলিও। ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের ধারণা, নকআউট পর্বে পৌঁছে যাবেন তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা।

সংক্ষিপ্ত সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন সৌরভ। সফরের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে এসে প্রথম দিন ‘ডিএনসিসি মেয়র কাপ ২০২৩’ ও ভারতীয় বহুজাতিক একটি ব্যাংকের নতুন শাখা উদ্বোধন করেন সৌরভ। গতকাল স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলিকে নিয়ে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এসময় সঙ্গে ছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। এরপর দীর্ঘ দিনের বন্ধু ও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমানের বাসায় বসে কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

২০০৭ আসরে শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভদের ভারতকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য জানান দেয় বাংলাদেশ। তারকাখচিত দলকে বিদায় করে সেবার খেলে সুপার এইটে। এরপর ২০১৫ সালের আসরে প্রথমবারের মতো তারা খেলে কোয়ার্টার-ফাইনালে। ২০১৯ আসর থেকে বিশ্বকাপ হচ্ছে অন্য ফরম্যাটে। ১০ দলের টুর্নামেন্টে সেরা চার দল খেলে সেমি-ফাইনালে। ইংল্যান্ড আসরে অষ্টম হওয়া বাংলাদেশকে এবার নকআউট পর্বে দেখছেন সৌরভ। তবে এর জন্য কিছু শর্ত পূরণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক। কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আশা করি। একটু যদি ভাগ্য থাকে আর ভালো ফর্ম থাকে। বিশেষ করে স্পিনার ও ফাস্ট বোলারদের যদি ভালো ফর্ম থাকে তাহলে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল পর্যন্তও যেতে পারে।’

ওয়ানডেতে নিজেদের বলার মতো অবস্থান তৈরি করলেও, সাদা বলের ক্রিকেটের অন্য সংস্করণে এখনও ধুঁকছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই ব্যাটসম্যানের দেখা পায়নি এখনও। এমন কেউ নেই যিনি মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিতে পারেন খেলার দৃশ্যপট। সৌরভও তুলে ধরলেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এই দিকটি, ‘টি-টোয়েন্টিতে একটু ভালো করতে হবে, একটু পাওয়ার হিটিং দরকার। পাওয়ার হিটিং মানে হেভি হিটিং যেমন হার্দিক পান্ডিয়া রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব বা ইংল্যান্ডের (জস) বাটলার, অস্ট্রেলিয়ার (গ্লেন) ম্যাক্সওয়েল, (ট্র্যাভিস) হেড, ক্যামেরন গ্রিন… পাওয়ার হিটিংটা একটু দরকার টি-টোয়েন্টিতে। আশা করি, এখানে যারা কোচ আছে…(চন্ডিকা) হাথুরুসিংহে মনে হয় নতুন কোচ হয়ে এসেছে। হয়তো একটু সময় লাগবে। টি-টোয়েন্টি এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ। (বাংলাদেশে) প্রতিভা অনেক, পাওয়ার হিটিংটা একটু দরকার।’

টি-টোয়েন্টির মতো টেস্টেও পায়ের তলায় শক্ত মাটি খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ। এরপর থেকে এত দিন ধরে বাংলাদেশ দলকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ভালো করারও পথ দেখালেন তিনি, ‘টেস্টে বোলিং আক্রমণ গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাটিংটাও… সবুজ গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে একটু সাহসী ব্যাটিং দরকার। সেটা খেলতে খেলতেই হবে। আমার মনে হয়, এটা একটা এডুকেশন প্রোগ্রাম হওয়া উচিত বাংলাদেশের, টেস্ট ক্রিকেটে। ছোট থেকে মানে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই তাদের তৈরি করা, সিমিং ও বাউন্সি পিচে কীভাবে খেলা যায়। এটা খুব একটা শক্ত কাজ নয়। চেষ্টা করলেই হতে পারে। বাংলাদেশে এখন ফাস্ট বোলাররা আছে। তাসকিন (আহমেদ) আছে। তাসকিন ফিট থাকলে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণটা দেখতে ভালো লাগে। একটু দৃঢ় সংকল্প, একটু শক্ত মানসিকতা দরকার।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশকে নকআউটে দেখছেন সৌরভ

আপডেট সময় ০৪:২৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ওয়ানডেতে বরাবরই সমীহ করার মতো দল বাংলাদেশ। এই সংস্করণের বিশ্বকাপ ঘিরে তাই থাকে বাড়তি প্রত্যাশা। তার উপর চলতি বছরের আসর বসবে ভারতের মাটিতে। চেনা কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় অনেকেই আশাবাদী, এবার ভালো কিছু করবে বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে আছেন সৌরভ গাঙ্গুলিও। ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের ধারণা, নকআউট পর্বে পৌঁছে যাবেন তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা।

সংক্ষিপ্ত সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন সৌরভ। সফরের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে এসে প্রথম দিন ‘ডিএনসিসি মেয়র কাপ ২০২৩’ ও ভারতীয় বহুজাতিক একটি ব্যাংকের নতুন শাখা উদ্বোধন করেন সৌরভ। গতকাল স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলিকে নিয়ে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এসময় সঙ্গে ছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। এরপর দীর্ঘ দিনের বন্ধু ও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমানের বাসায় বসে কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

২০০৭ আসরে শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভদের ভারতকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য জানান দেয় বাংলাদেশ। তারকাখচিত দলকে বিদায় করে সেবার খেলে সুপার এইটে। এরপর ২০১৫ সালের আসরে প্রথমবারের মতো তারা খেলে কোয়ার্টার-ফাইনালে। ২০১৯ আসর থেকে বিশ্বকাপ হচ্ছে অন্য ফরম্যাটে। ১০ দলের টুর্নামেন্টে সেরা চার দল খেলে সেমি-ফাইনালে। ইংল্যান্ড আসরে অষ্টম হওয়া বাংলাদেশকে এবার নকআউট পর্বে দেখছেন সৌরভ। তবে এর জন্য কিছু শর্ত পূরণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক। কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আশা করি। একটু যদি ভাগ্য থাকে আর ভালো ফর্ম থাকে। বিশেষ করে স্পিনার ও ফাস্ট বোলারদের যদি ভালো ফর্ম থাকে তাহলে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল পর্যন্তও যেতে পারে।’

ওয়ানডেতে নিজেদের বলার মতো অবস্থান তৈরি করলেও, সাদা বলের ক্রিকেটের অন্য সংস্করণে এখনও ধুঁকছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই ব্যাটসম্যানের দেখা পায়নি এখনও। এমন কেউ নেই যিনি মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিতে পারেন খেলার দৃশ্যপট। সৌরভও তুলে ধরলেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এই দিকটি, ‘টি-টোয়েন্টিতে একটু ভালো করতে হবে, একটু পাওয়ার হিটিং দরকার। পাওয়ার হিটিং মানে হেভি হিটিং যেমন হার্দিক পান্ডিয়া রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব বা ইংল্যান্ডের (জস) বাটলার, অস্ট্রেলিয়ার (গ্লেন) ম্যাক্সওয়েল, (ট্র্যাভিস) হেড, ক্যামেরন গ্রিন… পাওয়ার হিটিংটা একটু দরকার টি-টোয়েন্টিতে। আশা করি, এখানে যারা কোচ আছে…(চন্ডিকা) হাথুরুসিংহে মনে হয় নতুন কোচ হয়ে এসেছে। হয়তো একটু সময় লাগবে। টি-টোয়েন্টি এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ। (বাংলাদেশে) প্রতিভা অনেক, পাওয়ার হিটিংটা একটু দরকার।’

টি-টোয়েন্টির মতো টেস্টেও পায়ের তলায় শক্ত মাটি খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ। এরপর থেকে এত দিন ধরে বাংলাদেশ দলকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ভালো করারও পথ দেখালেন তিনি, ‘টেস্টে বোলিং আক্রমণ গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাটিংটাও… সবুজ গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে একটু সাহসী ব্যাটিং দরকার। সেটা খেলতে খেলতেই হবে। আমার মনে হয়, এটা একটা এডুকেশন প্রোগ্রাম হওয়া উচিত বাংলাদেশের, টেস্ট ক্রিকেটে। ছোট থেকে মানে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই তাদের তৈরি করা, সিমিং ও বাউন্সি পিচে কীভাবে খেলা যায়। এটা খুব একটা শক্ত কাজ নয়। চেষ্টা করলেই হতে পারে। বাংলাদেশে এখন ফাস্ট বোলাররা আছে। তাসকিন (আহমেদ) আছে। তাসকিন ফিট থাকলে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণটা দেখতে ভালো লাগে। একটু দৃঢ় সংকল্প, একটু শক্ত মানসিকতা দরকার।’