ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব করতে রোডম্যাপ চান প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’-এ পরিণত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে বিমান চলাচল কেন্দ্র (এভিয়েশন হাব) হিসেবে গড়ে তুলতে এর ভৌগোলিক-কৌশলগত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। গতকাল বুধবার ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম এভিয়েশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এক ভিডিও ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের ভৌগোলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
এই শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইসিএও’র সদস্যপদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’-এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তবে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পরপরই এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করতে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
২১১ উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা : এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের আগে গৃহহীনদের হাতে বিনামূল্যে আরো ৩৯,৩৬৫টি আধাপাকা বাড়ি হস্তান্তর করার পাশাপাশি সারাদেশে আরো ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে বাড়ি হস্তান্তরের সময় বলেন, ‘আমি আরো ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা এই সাত জেলার সব উপজেলাসহ ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।তিনি গতকাল মোট ৯টি জেলা এবং ২১১টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো দু:স্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। জাতির পিতা দেশকে দারিদ্র্য ওক্ষুধামুক্ত করে বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে একটি উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন দিতে চেয়েছিলেন। যার জন্য তার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা তার সরকারের লক্ষ্য হওয়ায় তিনি প্রত্যেককে বাড়ি দেবেন। আমরা চাই প্রতিটি মানুষ বাড়ি, আশ্রয় এবং জীবিকার সুযোগ পাবে। তারা আর সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। আমরা চাই প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং যথাযথ সম্মানের সাথে বসবাস করবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না বলে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন। বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তারা সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে এবং জনগণ এর সুফল পায়। তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলেও এসময় সবার আগে তারাই জনগণের পাশে ছিল। আমরা (আ’লীগ) প্রথমে ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তৎকালীন সরকার প্রধান ঘুমিয়ে ছিলেন এবং তিনি কিছুই জানতেন না। সরকার জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিতে কক্সবাজার শহরের উপকণ্ঠে ‘খুরুশকুল আশ্রয়ণ পরিকল্পনা’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ‘খুরুশকুল আশ্রয়ণ’ প্রকল্পে যাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল,তারা বেশিরভাগই ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের শিকার। ওই সময় প্রায় ৪,০০০ জলবায়ু উদ্বাস্তু অনেকগুলো পাঁচ তলা বাড়ির ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু ও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তাদেরকেও সরকার বাড়ি দিয়েছে। কেউ ঠিকানা ছাড়া থাকবে না। আমরা তাদের শুধু ঘরই দিইনি, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। তাদের জীবিকার জন্য ঋণও দিয়েছি। তারা এখন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা ঘোষণা করেছিলেন যে, একজন ব্যক্তি ১০০ বিঘা জমির অধিকারী হতে পারবে এবং এর অতিরিক্ত পরিমাণ জমি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে বাড়ি প্রাপ্তদের পরিবর্তিত জীবনযাত্রার উপর একটি ভিডিও-প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নোয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমিতে ভালো মানের টিনশেড আধা-পাকা ঘর পাবেন।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে ৪২৩টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। সরকারের আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নির্মিত ৮২টি, রাজাপুরে ১৪১টি এবং নলছিটি উপজেলায় ২০০টি ঘর বিতরণ করা হয়। গতকাল বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জেলার নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরের চাবি জেলা প্রশাসক ফরাহ্ গুল নিঝুম উপকারভাগীদের হাতে তুলে দেন। এর পরপরই ভূমিহীন ও গৃহহীনরা নিজের আবাসস্থলে উঠতে শুরু করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে ৬৬২টি পরিবার। গতকাল জেলা সদরে ১০৫টি, বাঞ্ছারামপুরে ১২৬টি, নবীনগরে ১০০টি, আখাউড়ায় ৮টি, সরাইলে ৪৯টি, আশুগঞ্জে ২০টি এবং নাসিরনগরে ২৫৪টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে শহরের সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দীন সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ডক্টর মো. আমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ প্রমুখ।

নরসিংদী জেলা সংবাদদাতা জানান, নরসিংদী সদর উপজেলাসহ সব উপজেলায় পৃথক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ঘর বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল নরসিংদী সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম।

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার ধামরাই উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০০টি ঘর অসহায় গৃহহীন পরিবারকে উপহার দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার দেপাশাই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২৫টি, দেপাশাই উত্তর পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭৮টি, ছোট কালামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২৫টি, বাস্তা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪১টি, সূয়াপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩১টিসহ মোট ২০০টি ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে ধামরাই উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ভূমিহীন ও অসহায় পরিবারের মধ্যে আন্ষ্ঠুানিকতার মধ্যদিয়ে এসব ঘরের দলিল হস্তান্তর করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৬৬৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। এসময় আখাউড়া উপজেলায় ৪র্থ পর্যায়ে ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দলিল হস্তান্তর করা হয় এবং আখাউড়াকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভূইয়া, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চতুর্থ পর্যায়ে ১৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিলসহ বাড়ির চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম উপজেলাকে ‘ক‘ শ্রেণির ভূমিহীন, গৃহহীনমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় ইউএনও মোসা. মারিয়াম খাতুনের সভাপতিত্বে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনের সঞ্চালনায় চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীদুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কীর আহমেদ।

দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুই শতাংশ জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলাকে ‘ক’ ক্যাটাগরির ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ৩১টিসহ মোট ৫৬ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও তাসলিমুন নেছার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাশিদা আক্তার।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১০টি ঘর পেলেন ১০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন খন্দকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইন উদ্দিন খান মানিক, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুর হক ঢালী প্রমুখ।

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১৯টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ অডিটরিয়ামে ১৯টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও মো. মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান।

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুরের ৩ উপজেলাকে ভূমিহীন মূক্ত করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম।

কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেশবপুরে ৪৫টি পরিবার পেল আশ্রয়ণের ঘর। গতকাল উপজেলা পরিষদের হলরুমে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান,

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমিসহ ২৮৯টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী।

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ঘর পেয়েছে ১৩ পরিবার। ঘরের কাগজপত্র তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেরানীগঞ্জে ১০০ পরিবারের মাঝে নামজারিসহ ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ঘর হস্তান্তর করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাৎ হোসেন, কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল দক্ষিণ সহকারী (কমিশনার) ভূমি আমেনা মারজানও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজান প্রমুখ।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘর পেল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১২৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের লাল শাপলা হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ১২৯টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জুবায়ের আহমেদ। উপজেলা পরিষদে জমি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, ওসি তদন্ত মো. আশ্রাফ প্রমুখ।

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল বালাগঞ্জ উপজেলার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১০২টি পরিবারকে জমি ও বাসগৃহ হস্তান্তরর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুর রহমান মফুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া ফেরদৌস, পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রীতি ভূষন প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব করতে রোডম্যাপ চান প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:১৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’-এ পরিণত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে বিমান চলাচল কেন্দ্র (এভিয়েশন হাব) হিসেবে গড়ে তুলতে এর ভৌগোলিক-কৌশলগত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। গতকাল বুধবার ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম এভিয়েশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এক ভিডিও ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের ভৌগোলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
এই শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইসিএও’র সদস্যপদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’-এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তবে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পরপরই এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করতে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
২১১ উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা : এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের আগে গৃহহীনদের হাতে বিনামূল্যে আরো ৩৯,৩৬৫টি আধাপাকা বাড়ি হস্তান্তর করার পাশাপাশি সারাদেশে আরো ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে বাড়ি হস্তান্তরের সময় বলেন, ‘আমি আরো ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা এই সাত জেলার সব উপজেলাসহ ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।তিনি গতকাল মোট ৯টি জেলা এবং ২১১টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো দু:স্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। জাতির পিতা দেশকে দারিদ্র্য ওক্ষুধামুক্ত করে বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে একটি উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন দিতে চেয়েছিলেন। যার জন্য তার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা তার সরকারের লক্ষ্য হওয়ায় তিনি প্রত্যেককে বাড়ি দেবেন। আমরা চাই প্রতিটি মানুষ বাড়ি, আশ্রয় এবং জীবিকার সুযোগ পাবে। তারা আর সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। আমরা চাই প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং যথাযথ সম্মানের সাথে বসবাস করবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না বলে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন। বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তারা সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে এবং জনগণ এর সুফল পায়। তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলেও এসময় সবার আগে তারাই জনগণের পাশে ছিল। আমরা (আ’লীগ) প্রথমে ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তৎকালীন সরকার প্রধান ঘুমিয়ে ছিলেন এবং তিনি কিছুই জানতেন না। সরকার জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিতে কক্সবাজার শহরের উপকণ্ঠে ‘খুরুশকুল আশ্রয়ণ পরিকল্পনা’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ‘খুরুশকুল আশ্রয়ণ’ প্রকল্পে যাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল,তারা বেশিরভাগই ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের শিকার। ওই সময় প্রায় ৪,০০০ জলবায়ু উদ্বাস্তু অনেকগুলো পাঁচ তলা বাড়ির ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু ও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তাদেরকেও সরকার বাড়ি দিয়েছে। কেউ ঠিকানা ছাড়া থাকবে না। আমরা তাদের শুধু ঘরই দিইনি, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। তাদের জীবিকার জন্য ঋণও দিয়েছি। তারা এখন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা ঘোষণা করেছিলেন যে, একজন ব্যক্তি ১০০ বিঘা জমির অধিকারী হতে পারবে এবং এর অতিরিক্ত পরিমাণ জমি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে বাড়ি প্রাপ্তদের পরিবর্তিত জীবনযাত্রার উপর একটি ভিডিও-প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নোয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশালের বানারীপাড়ার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমিতে ভালো মানের টিনশেড আধা-পাকা ঘর পাবেন।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে ৪২৩টি পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। সরকারের আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নির্মিত ৮২টি, রাজাপুরে ১৪১টি এবং নলছিটি উপজেলায় ২০০টি ঘর বিতরণ করা হয়। গতকাল বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জেলার নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরের চাবি জেলা প্রশাসক ফরাহ্ গুল নিঝুম উপকারভাগীদের হাতে তুলে দেন। এর পরপরই ভূমিহীন ও গৃহহীনরা নিজের আবাসস্থলে উঠতে শুরু করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে ৬৬২টি পরিবার। গতকাল জেলা সদরে ১০৫টি, বাঞ্ছারামপুরে ১২৬টি, নবীনগরে ১০০টি, আখাউড়ায় ৮টি, সরাইলে ৪৯টি, আশুগঞ্জে ২০টি এবং নাসিরনগরে ২৫৪টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে শহরের সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দীন সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ডক্টর মো. আমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ প্রমুখ।

নরসিংদী জেলা সংবাদদাতা জানান, নরসিংদী সদর উপজেলাসহ সব উপজেলায় পৃথক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ঘর বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল নরসিংদী সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম।

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার ধামরাই উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০০টি ঘর অসহায় গৃহহীন পরিবারকে উপহার দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার দেপাশাই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২৫টি, দেপাশাই উত্তর পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭৮টি, ছোট কালামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২৫টি, বাস্তা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪১টি, সূয়াপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩১টিসহ মোট ২০০টি ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে ধামরাই উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ভূমিহীন ও অসহায় পরিবারের মধ্যে আন্ষ্ঠুানিকতার মধ্যদিয়ে এসব ঘরের দলিল হস্তান্তর করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৬৬৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। এসময় আখাউড়া উপজেলায় ৪র্থ পর্যায়ে ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দলিল হস্তান্তর করা হয় এবং আখাউড়াকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভূইয়া, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চতুর্থ পর্যায়ে ১৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিলসহ বাড়ির চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম উপজেলাকে ‘ক‘ শ্রেণির ভূমিহীন, গৃহহীনমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় ইউএনও মোসা. মারিয়াম খাতুনের সভাপতিত্বে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনের সঞ্চালনায় চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীদুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কীর আহমেদ।

দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুই শতাংশ জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলাকে ‘ক’ ক্যাটাগরির ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ৩১টিসহ মোট ৫৬ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও তাসলিমুন নেছার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাশিদা আক্তার।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১০টি ঘর পেলেন ১০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন খন্দকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইন উদ্দিন খান মানিক, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুর হক ঢালী প্রমুখ।

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১৯টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ অডিটরিয়ামে ১৯টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও মো. মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান।

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুরের ৩ উপজেলাকে ভূমিহীন মূক্ত করা হয়েছে। ঝিনাইগাতী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম।

কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেশবপুরে ৪৫টি পরিবার পেল আশ্রয়ণের ঘর। গতকাল উপজেলা পরিষদের হলরুমে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান,

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমিসহ ২৮৯টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী।

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ঘর পেয়েছে ১৩ পরিবার। ঘরের কাগজপত্র তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেরানীগঞ্জে ১০০ পরিবারের মাঝে নামজারিসহ ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ঘর হস্তান্তর করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাৎ হোসেন, কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল দক্ষিণ সহকারী (কমিশনার) ভূমি আমেনা মারজানও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজান প্রমুখ।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘর পেল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১২৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের লাল শাপলা হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ১২৯টি পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জুবায়ের আহমেদ। উপজেলা পরিষদে জমি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, ওসি তদন্ত মো. আশ্রাফ প্রমুখ।

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল বালাগঞ্জ উপজেলার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১০২টি পরিবারকে জমি ও বাসগৃহ হস্তান্তরর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুর রহমান মফুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া ফেরদৌস, পূর্বগৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রীতি ভূষন প্রমুখ।