ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশাল সিটি নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী নিয়ে সংশয়

আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাওয়ায় সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই বিএনপি বাদে সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা উঠান বৈঠকসহ প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দোয়া কামনার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী।

 

সূত্র মতে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে।

জানা যায়, বরিশাল সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস। ২০১৮ সালেও তিনি বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইফতার পার্টিসহ উঠান বৈঠক শুরু করছেন তিনি।

ইকবাল হোসেন তাপস রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় গতবারের মতো এবারও অংশ নিচ্ছি। এর অন্যতম কারণ নগরবাসীর সেবা করতে চাই।’

 

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দল আমাকে আগাম মনোনয়ন দিয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিজয় সুনিশ্চিত। কারণ বরিশালের মানুষ উন্নয়ন চায়। আর বরিশালের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করতে চাই।’

২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে আলোচনায় থাকা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ডা. মনীষা চক্রবর্তী এবারও প্রার্থী হতে পারেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দল থেকে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। গত নির্বাচন কোনভাবেই সুষ্ঠু হয়নি। তাই নির্বাচনে গিয়েও আমরা বয়কট করতে বাধ্য হয়েছি। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে।’

অনুরূপভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রচার উপকমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক সহকারী শহীদুল ইসলাম কবির।

তিনি বলেন, ‘প্রার্থীর নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেয়র পদে প্রার্থীর ক্ষেত্রে থাকবে বিশেষ চমক। কারণ ক্ষমতাসীনদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

এদিকে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র পদে কোনো প্রার্থী থাকছে না বলে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যদিও সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সেক্ষেত্রে দলের ব্যানার ছাড়া দলীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল বিএনপির একাংশের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে, ক্ষমতাসীন দল থেকে একাধিক ব্যক্তি মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছেন। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র প্রার্থী হবেন বলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন।

তবে, বরাবরের মতো এবারও তার পরিবার থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রার্থী করার কথা জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে বরিশাল সিটি নির্বাচনে চাচা না ভাতিজা, কে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো নির্ধারণ না হলেও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহই মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন বলে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে নগরবাসীর জন্য প্রায় শতভাগ উন্নয়ন কাজ করেছেন। তাই নগরবাসী তাকেই মেয়র হিসেবে পুনরায় দেখতে চায়।’

জানতে চাইলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘আমার বাবা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত দেশের মানুষের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আমি বঙ্গবন্ধু ও বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানুষের সেবা করতে চাই। তাই, আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।’

অপরদিকে, বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন এবারও মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর স্থানীয় গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চলতি বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পূর্বের চেয়ে ৩২ হাজার ৮২৯ জন ভোটার বেড়েছে। গত সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এবার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। এ বছর বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে, নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন।

২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), বাসদের মনীষা চক্রবর্তী (মই) ও সিপিবির একে আজাদ (কাস্তে)।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশাল সিটি নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী নিয়ে সংশয়

আপডেট সময় ০৪:৩৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাওয়ায় সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই বিএনপি বাদে সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা উঠান বৈঠকসহ প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দোয়া কামনার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী।

 

সূত্র মতে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে।

জানা যায়, বরিশাল সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস। ২০১৮ সালেও তিনি বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইফতার পার্টিসহ উঠান বৈঠক শুরু করছেন তিনি।

ইকবাল হোসেন তাপস রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় গতবারের মতো এবারও অংশ নিচ্ছি। এর অন্যতম কারণ নগরবাসীর সেবা করতে চাই।’

 

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দল আমাকে আগাম মনোনয়ন দিয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিজয় সুনিশ্চিত। কারণ বরিশালের মানুষ উন্নয়ন চায়। আর বরিশালের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করতে চাই।’

২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে আলোচনায় থাকা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ডা. মনীষা চক্রবর্তী এবারও প্রার্থী হতে পারেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দল থেকে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। গত নির্বাচন কোনভাবেই সুষ্ঠু হয়নি। তাই নির্বাচনে গিয়েও আমরা বয়কট করতে বাধ্য হয়েছি। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে।’

অনুরূপভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির প্রচার উপকমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক সহকারী শহীদুল ইসলাম কবির।

তিনি বলেন, ‘প্রার্থীর নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেয়র পদে প্রার্থীর ক্ষেত্রে থাকবে বিশেষ চমক। কারণ ক্ষমতাসীনদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

এদিকে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র পদে কোনো প্রার্থী থাকছে না বলে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যদিও সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সেক্ষেত্রে দলের ব্যানার ছাড়া দলীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল বিএনপির একাংশের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে, ক্ষমতাসীন দল থেকে একাধিক ব্যক্তি মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছেন। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র প্রার্থী হবেন বলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন।

তবে, বরাবরের মতো এবারও তার পরিবার থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রার্থী করার কথা জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে বরিশাল সিটি নির্বাচনে চাচা না ভাতিজা, কে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো নির্ধারণ না হলেও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহই মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন বলে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে নগরবাসীর জন্য প্রায় শতভাগ উন্নয়ন কাজ করেছেন। তাই নগরবাসী তাকেই মেয়র হিসেবে পুনরায় দেখতে চায়।’

জানতে চাইলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘আমার বাবা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত দেশের মানুষের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আমি বঙ্গবন্ধু ও বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানুষের সেবা করতে চাই। তাই, আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।’

অপরদিকে, বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন এবারও মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর স্থানীয় গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চলতি বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পূর্বের চেয়ে ৩২ হাজার ৮২৯ জন ভোটার বেড়েছে। গত সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এবার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। এ বছর বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে, নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন।

২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), বাসদের মনীষা চক্রবর্তী (মই) ও সিপিবির একে আজাদ (কাস্তে)।