ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধুর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যা

বন্ধুর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় বরিশালে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। হত্যার ৮ দিন পর শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্যবসায়ী শাহীন মোল্লার (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

শাহীন নগরীর রুপাতলী এমএ খালেক সড়কের বাসিন্দা এবং এনামুল হকের ছেলে। রুপাতলীর কাঁঠালতলা এলাকায় একটি সুপার শপের মালিক ছিলেন তিনি।

আটকেরা হচ্ছেন- নগরীর বেসরকারি জমজম নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ইউসুফ মোল্লা, তার বন্ধু পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গন্ডমারী এলাকার রকিবুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম অমি ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সোনাহার এলাকার মিজান সিকদারের ছেলে হামিম সিকদার।

এ ঘটনায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় নগরীর রূপাতলীতে সংবাদ সম্মেলন করেন র‌্যাবের অধিনায়ক ল্যফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী শাহীন মোল্লা ও ইউসুফ মোল্লা একই এলাকায় বাস করতেন। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। শাহীন ইউসুফের স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে ইউসুফ শাহীনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউসুফ তার দুই বন্ধু অমি এবং হামিমকে নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে শাহীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। শাহীনকে সেখান থেকে ডেকে কাঁঠালতলায় ইউসুফের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তারা শাহীনের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে বাথরুমের ফলস ছাদের উপরে রেখে দরজা আটকে দেন।’

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘এদিকে শাহীনকে খুঁজে না পেয়ে তার আত্মীয় আব্দুল খালেক হাওলাদার গত ৩০ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করেন। গত ৩১ জানুয়ারি শাহীনের বোন শিরিন আক্তার মুন্নি র‌্যাবে অভিযোগ দেন।

‘বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শিরিনের স্বামীর মোবাইলে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এরপর মোবাইলের মালিক হামিমকে বাকেরগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাতে নগরীর কাশিপুর থেকে ইউসুফ ও অমিকে আটক করা হয়।’

র‌্যাব জানায়, আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওইদিন রাতেই ফলস ছাদ থেকে শাহীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটকদের কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

তবে র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনের পর প্রেমের প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিহতের ভগ্নিপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন। তিনি বলেন, ‘আটকরা মাদকাসক্ত। তারা আমার শ্যালকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন বিষয়টি অন্যদিকে নিতে আটকরা মিথ্যা বলছেন।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বন্ধুর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যা

আপডেট সময় ০৪:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বন্ধুর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় বরিশালে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। হত্যার ৮ দিন পর শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্যবসায়ী শাহীন মোল্লার (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

শাহীন নগরীর রুপাতলী এমএ খালেক সড়কের বাসিন্দা এবং এনামুল হকের ছেলে। রুপাতলীর কাঁঠালতলা এলাকায় একটি সুপার শপের মালিক ছিলেন তিনি।

আটকেরা হচ্ছেন- নগরীর বেসরকারি জমজম নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ইউসুফ মোল্লা, তার বন্ধু পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গন্ডমারী এলাকার রকিবুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম অমি ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সোনাহার এলাকার মিজান সিকদারের ছেলে হামিম সিকদার।

এ ঘটনায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় নগরীর রূপাতলীতে সংবাদ সম্মেলন করেন র‌্যাবের অধিনায়ক ল্যফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী শাহীন মোল্লা ও ইউসুফ মোল্লা একই এলাকায় বাস করতেন। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। শাহীন ইউসুফের স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে ইউসুফ শাহীনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউসুফ তার দুই বন্ধু অমি এবং হামিমকে নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে শাহীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। শাহীনকে সেখান থেকে ডেকে কাঁঠালতলায় ইউসুফের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তারা শাহীনের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে বাথরুমের ফলস ছাদের উপরে রেখে দরজা আটকে দেন।’

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘এদিকে শাহীনকে খুঁজে না পেয়ে তার আত্মীয় আব্দুল খালেক হাওলাদার গত ৩০ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করেন। গত ৩১ জানুয়ারি শাহীনের বোন শিরিন আক্তার মুন্নি র‌্যাবে অভিযোগ দেন।

‘বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শিরিনের স্বামীর মোবাইলে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এরপর মোবাইলের মালিক হামিমকে বাকেরগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাতে নগরীর কাশিপুর থেকে ইউসুফ ও অমিকে আটক করা হয়।’

র‌্যাব জানায়, আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওইদিন রাতেই ফলস ছাদ থেকে শাহীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটকদের কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

তবে র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনের পর প্রেমের প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিহতের ভগ্নিপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন। তিনি বলেন, ‘আটকরা মাদকাসক্ত। তারা আমার শ্যালকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন বিষয়টি অন্যদিকে নিতে আটকরা মিথ্যা বলছেন।’