ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্দরে ৪ হাজার গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাত, পরিচালক অবরুদ্ধ

বন্দরে প্রায় ৪ হাজার গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পরিচালক নিপু দাস (৪৫)কে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকেরা।

বুধবার (২৯ র্মাচ) বেলা ১১টায় বিক্ষুদ্ধ গ্রহকেরা বন্দর ৫৮৫ নং উইলসন রোড হোসেন টাওয়ারের অবস্থিত বন্দর জেনারেল হাসপাতাল ঘেরাও করে ওই পরিচালককে অবরুদ্ধে করে রাখে। অবরুদ্ধকারি প্রতারক পরিচালক নিপু দাস বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার শিবু দাসের ছেলে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

 

এ ব্যাপারে বন্দর ২৩নং ওয়ার্ডের একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার শামছুল হক মিয়ার ছেলে উল্লেখিত সমবায় সমিতির সদস্য মোঃ লিটন মিয়া জানান, মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পরিচালক নিপু দাস, তার পিতা শিবু দাস, অপর পরিচালক মোঃ হোসেন, বাদল, সোহেল ও মামুন গত ৩ বছর ধরে বন্দরে ২১নং ওয়ার্ডের রুপালী, সালেহনগর, ২২ নং ওয়ার্ডের বন্দর আমিন, র‌্যালী, লেজারাস, খানবাড়ী, কুমারপাড়া, বাবুপাড়া, ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর, ইস্পাহানীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪ হাজার গ্রাহককে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

উল্লেখিত এলাকার রিকশা চালক, মাঝি ও দিনমজুর প্রকৃতির লোক সমিতির বেশির ভাগ সদস্য। বন্দর জেনারেল হাসপাতালের পার্টনারশিপের প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতালের পরিচালকরা সমিতির নামে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে দেখি যে পুরোটাই প্রতারণা।

 

দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত সমবায় সমিতির গ্রাহকেরা উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সুবিধা না পেয়ে টাকা জন্য সমবায় সমিতিকে চাপ প্রয়োগ করলে এক পর্যায়ে ৬ পরিচালকের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিচালক গা ঢাকা দেয়।

এ ঘটনায় উত্তেজিত গ্রহকেরা বুধবার সকালে বন্দর জেনারেল হাসপাতাল ঘেরাও করে নাটের গুরু প্রতারক নিপু দাসকে প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু বকর সিদ্দিক দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সাধারন গ্রহকদের শান্তনা প্রদান করে বলেন, যে সব সদস্যদের অল্প টাকা জমা আছে তাদের এক সপ্তার মধ্যে টাকা পরিশোধ করে দিবেন। এবং যাদের বেশি টাকা তাদের সাথে কথা বার্তা মাধ্যমে তাদের টাকা ফেরত দিবে। এরপর সদস্যরা ঘেরাও তুলে নেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বন্দরে ৪ হাজার গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাত, পরিচালক অবরুদ্ধ

আপডেট সময় ০৩:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

বন্দরে প্রায় ৪ হাজার গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পরিচালক নিপু দাস (৪৫)কে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকেরা।

বুধবার (২৯ র্মাচ) বেলা ১১টায় বিক্ষুদ্ধ গ্রহকেরা বন্দর ৫৮৫ নং উইলসন রোড হোসেন টাওয়ারের অবস্থিত বন্দর জেনারেল হাসপাতাল ঘেরাও করে ওই পরিচালককে অবরুদ্ধে করে রাখে। অবরুদ্ধকারি প্রতারক পরিচালক নিপু দাস বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার শিবু দাসের ছেলে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

 

এ ব্যাপারে বন্দর ২৩নং ওয়ার্ডের একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার শামছুল হক মিয়ার ছেলে উল্লেখিত সমবায় সমিতির সদস্য মোঃ লিটন মিয়া জানান, মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পরিচালক নিপু দাস, তার পিতা শিবু দাস, অপর পরিচালক মোঃ হোসেন, বাদল, সোহেল ও মামুন গত ৩ বছর ধরে বন্দরে ২১নং ওয়ার্ডের রুপালী, সালেহনগর, ২২ নং ওয়ার্ডের বন্দর আমিন, র‌্যালী, লেজারাস, খানবাড়ী, কুমারপাড়া, বাবুপাড়া, ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর, ইস্পাহানীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪ হাজার গ্রাহককে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

উল্লেখিত এলাকার রিকশা চালক, মাঝি ও দিনমজুর প্রকৃতির লোক সমিতির বেশির ভাগ সদস্য। বন্দর জেনারেল হাসপাতালের পার্টনারশিপের প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতালের পরিচালকরা সমিতির নামে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে দেখি যে পুরোটাই প্রতারণা।

 

দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত সমবায় সমিতির গ্রাহকেরা উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সুবিধা না পেয়ে টাকা জন্য সমবায় সমিতিকে চাপ প্রয়োগ করলে এক পর্যায়ে ৬ পরিচালকের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিচালক গা ঢাকা দেয়।

এ ঘটনায় উত্তেজিত গ্রহকেরা বুধবার সকালে বন্দর জেনারেল হাসপাতাল ঘেরাও করে নাটের গুরু প্রতারক নিপু দাসকে প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু বকর সিদ্দিক দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সাধারন গ্রহকদের শান্তনা প্রদান করে বলেন, যে সব সদস্যদের অল্প টাকা জমা আছে তাদের এক সপ্তার মধ্যে টাকা পরিশোধ করে দিবেন। এবং যাদের বেশি টাকা তাদের সাথে কথা বার্তা মাধ্যমে তাদের টাকা ফেরত দিবে। এরপর সদস্যরা ঘেরাও তুলে নেন।