ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই: মির্জা ফখরুল

চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার বিরোধী দল দমনে ‘মরিয়া হয়ে উঠেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে ফরিদপুর-ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কিছু দিন আগে বলতেন আমরা নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না, আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন যে সব রকম শক্তি নিয়োগ করেই আপনারা জনগণের ওপর অত্যাচার করছেন, নির্যাতন করছেন এই আন্দোলন বন্ধ করার জন্য।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘তার অর্থই হচ্ছে সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই এবং সরকার প্রমাদ গুনছে, ভয় পেয়েছে, অত্যন্ত বেশি ভীত হয়েই তারা এসব আক্রমণ চালাচ্ছে।’

চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই আমরা জবাব দেই না। উনি কখন কী বলেন—জনগণ ঠিক বুঝতে পারে না কী লক্ষ্যে বলেন, কী কারণে বলেন। আমরা মনে করি এগুলোর জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কাজেই সেটা প্রমাণ হবে।’

তিনি বলেন, ‘‘যেদিন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমপর্ণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, তার আগের দিনই ইয়াহিয়া খান বলেছিলেন, ‘জং জারি রায়ে গা।’ পতন যখন স্পষ্ট হয়, পতন যখন আঘাত করতে আসতে থাকে, পতন যখন দেখতে পায়, তখন এই ধরনের অসংলগ্ন কথা অনেক বেরিয়ে আসে।”

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই হামলা চালায়। পুলিশ সেখানে শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করেনি, ‍উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে, লাঠিচার্জ করেছে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।

তিনি জানান, গণ-অবস্থানে একদিনে সারা দেশে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় শতাধিক এবং আহত প্রায় আড়াইশ’। ফরিদপুরে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেছে।

১৬ জানুয়ারির কর্মসূচি সংশোধন

মির্জা ফখরুল জানান, আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে দেশব্যাপী সব মহানগর ও সব উপজেলায় সমাবেশ ও মিছিল হবে। গতকাল (বুধবার) বোধহয় আমরা জেলা বলেছিলাম, জেলাটা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার বিরোধী দল দমনে ‘মরিয়া হয়ে উঠেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে ফরিদপুর-ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কিছু দিন আগে বলতেন আমরা নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না, আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন যে সব রকম শক্তি নিয়োগ করেই আপনারা জনগণের ওপর অত্যাচার করছেন, নির্যাতন করছেন এই আন্দোলন বন্ধ করার জন্য।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘তার অর্থই হচ্ছে সরকারের এখন পায়ের তলে মাটি নেই এবং সরকার প্রমাদ গুনছে, ভয় পেয়েছে, অত্যন্ত বেশি ভীত হয়েই তারা এসব আক্রমণ চালাচ্ছে।’

চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই আমরা জবাব দেই না। উনি কখন কী বলেন—জনগণ ঠিক বুঝতে পারে না কী লক্ষ্যে বলেন, কী কারণে বলেন। আমরা মনে করি এগুলোর জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কাজেই সেটা প্রমাণ হবে।’

তিনি বলেন, ‘‘যেদিন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমপর্ণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, তার আগের দিনই ইয়াহিয়া খান বলেছিলেন, ‘জং জারি রায়ে গা।’ পতন যখন স্পষ্ট হয়, পতন যখন আঘাত করতে আসতে থাকে, পতন যখন দেখতে পায়, তখন এই ধরনের অসংলগ্ন কথা অনেক বেরিয়ে আসে।”

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই হামলা চালায়। পুলিশ সেখানে শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করেনি, ‍উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে, লাঠিচার্জ করেছে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।

তিনি জানান, গণ-অবস্থানে একদিনে সারা দেশে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় শতাধিক এবং আহত প্রায় আড়াইশ’। ফরিদপুরে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেছে।

১৬ জানুয়ারির কর্মসূচি সংশোধন

মির্জা ফখরুল জানান, আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে দেশব্যাপী সব মহানগর ও সব উপজেলায় সমাবেশ ও মিছিল হবে। গতকাল (বুধবার) বোধহয় আমরা জেলা বলেছিলাম, জেলাটা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।