ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ালের লিখন পড়তে বললেন আমির খসরু

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনি দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। আপনাকে বিদায় হতে হবে। আর যদি দেয়ালের লিখন পড়তে না পারেন আপনাদের জন্য মোটেও মঙ্গল হবে না। বাংলাদেশের জনগণ জয়ী হবে। তার ফলশ্রুতিতে আপনাদের আগামী দিনের রাজনীতি কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনারা টিকতে পারবে না।’

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

আমির খসরু বলেন, ‘সরকার আজ ভয়ে নিজেরা এত বেশি ভীত হয়ে গেছে তারা আমাদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে। মানুষ যখন ভীত হয়ে আরেকজনকে ভয় দেখাতে চায়, তার অবস্থাটা আপনি বুঝতে পারছেন। এত ভীত তারা আজকে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা সে ভয়কে আজ জয় করে ফেলেছে। নেতাকর্মীরা প্রমাণ করেছে, শোভাযাত্রা, মিছিলে যত বাধা আসুক আমাদের নেতাকর্মীরা পিছপা হয় না। জীবন দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের ১৩ জন সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছে। পিছপা হয়নি। খালেদা জিয়া ঘরবন্দি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেককে জেলে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে কি ভাটা পড়েছে?’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি না। যেখানেই হামলা হচ্ছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করছে। আগামী দিনের আন্দোলনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সব জেলা, উপজেলাগুলোতে প্রতিবাদ সভা হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মাধ্যমে আরেকটি ধাপ আমরা এগিয়ে গেছি। পলোগ্রাউন্ডের জনসভার পর আজকে এবং ২৪ তারিখের গণমিছিলে চট্টগ্রামবাসী আবারও প্রমাণ করেছেন দখলদার, অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট সরকারকে জনগণ আর চায় না। আজকে আবারও বার্তা দিয়েছেন, দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হও। পরিষ্কার বার্তা।’

তিনি আরও বলেন বলেন, ‘আজকে গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা, গায়েবি মামলার মাধ্যমে বিএনপির এ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনও সুযোগ নেই। এ আন্দোলনের মালিকানা বাংলাদেশের জনগণ নিয়ে ফেলেছে। আন্দোলনের মালিকানা যখন জনগণ নিয়ে নেয় তখন সে আন্দোলনের প্রতিরোধ কেউ করতে পারবে না। সুতরাং নেতা যেই থাকুক বিএনপির- তার পেছনে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সরকারের থাকার কোনও সুযোগ নেই।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- বিভাগীয় দলনেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ালের লিখন পড়তে বললেন আমির খসরু

আপডেট সময় ০৩:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনি দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। আপনাকে বিদায় হতে হবে। আর যদি দেয়ালের লিখন পড়তে না পারেন আপনাদের জন্য মোটেও মঙ্গল হবে না। বাংলাদেশের জনগণ জয়ী হবে। তার ফলশ্রুতিতে আপনাদের আগামী দিনের রাজনীতি কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনারা টিকতে পারবে না।’

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

আমির খসরু বলেন, ‘সরকার আজ ভয়ে নিজেরা এত বেশি ভীত হয়ে গেছে তারা আমাদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে। মানুষ যখন ভীত হয়ে আরেকজনকে ভয় দেখাতে চায়, তার অবস্থাটা আপনি বুঝতে পারছেন। এত ভীত তারা আজকে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা সে ভয়কে আজ জয় করে ফেলেছে। নেতাকর্মীরা প্রমাণ করেছে, শোভাযাত্রা, মিছিলে যত বাধা আসুক আমাদের নেতাকর্মীরা পিছপা হয় না। জীবন দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের ১৩ জন সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছে। পিছপা হয়নি। খালেদা জিয়া ঘরবন্দি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেককে জেলে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে কি ভাটা পড়েছে?’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি না। যেখানেই হামলা হচ্ছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করছে। আগামী দিনের আন্দোলনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সব জেলা, উপজেলাগুলোতে প্রতিবাদ সভা হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মাধ্যমে আরেকটি ধাপ আমরা এগিয়ে গেছি। পলোগ্রাউন্ডের জনসভার পর আজকে এবং ২৪ তারিখের গণমিছিলে চট্টগ্রামবাসী আবারও প্রমাণ করেছেন দখলদার, অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট সরকারকে জনগণ আর চায় না। আজকে আবারও বার্তা দিয়েছেন, দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হও। পরিষ্কার বার্তা।’

তিনি আরও বলেন বলেন, ‘আজকে গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা, গায়েবি মামলার মাধ্যমে বিএনপির এ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনও সুযোগ নেই। এ আন্দোলনের মালিকানা বাংলাদেশের জনগণ নিয়ে ফেলেছে। আন্দোলনের মালিকানা যখন জনগণ নিয়ে নেয় তখন সে আন্দোলনের প্রতিরোধ কেউ করতে পারবে না। সুতরাং নেতা যেই থাকুক বিএনপির- তার পেছনে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সরকারের থাকার কোনও সুযোগ নেই।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- বিভাগীয় দলনেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।