ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ৫০

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ স্থলে প্রধান অতিথি আব্দুল আউয়াল মিন্টু পৌঁছার আগেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ শুরু হয়। সমাবেশের শুরুর দিকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে বেলা ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান আরিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসার চেষ্টা করলে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এতে সমাবেশ প- হয়ে যায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় মাইটিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলু, এ সময় টিভির সুজন দাম ইটের আঘাতে আহত হন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার চেষ্টা করলে আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি প্রাথমিকভাবে জানান, তবে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

আহতরা হচ্ছেন- বাউফল স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খলিলুর রহমান, তোফাজ্জেল হোসেন, সোহেল রানা রাসেল, রায়হান, লিটন, মিলন, বসার, মোশারেফ, শামিম, কামরুল, কাজল, জিসান, লেনিন, কামরুজ্জামান, রাসেল, কবির, মনির, এদের মধ্যে সোহেল রানা, ওমোশারেফকে গুরুতর জখম অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, বিএনপি আমাদের দায়ী করেছেন হামলার জন্য এটা সঠিক নয়। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তিতাস মোড়ে নির্ধারিত সমাবেশস্থলে আমি সকাল ১০টার পরে সভা শুরু করি। ঐ সভায় ছাত্রলীগের একটি মিছিল বিএনপির সমাবেশস্থলের নিকটবর্তী পটুয়াখালী পৌরসভার মোড় অতিক্রমকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এতে আমাদের ছাত্রলীগের কমপক্ষে ৮ জন নেতাকর্মী আহত জখম প্রাপ্ত হয়, খবর পেয়ে আমি ৩ থেকে ৪ শ’ নেতাকর্মী নিয়ে আমি মুসলিম পাড়া মোড়ে আসি। সেখানে আমি শান্তিপূর্ণ সভা করি। গুরুতর আহত ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ মাইনুল হাসান জানান, দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, তখন আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করি। পরবর্তিতে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দকে বুঝিয়ে নেয়ার পর তারা তাদের নেতাকর্মীদের সড়িয়ে নিয়ে যান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ৫০

আপডেট সময় ০৩:৪৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ স্থলে প্রধান অতিথি আব্দুল আউয়াল মিন্টু পৌঁছার আগেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ শুরু হয়। সমাবেশের শুরুর দিকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে বেলা ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান আরিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসার চেষ্টা করলে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এতে সমাবেশ প- হয়ে যায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় মাইটিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলু, এ সময় টিভির সুজন দাম ইটের আঘাতে আহত হন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার চেষ্টা করলে আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি প্রাথমিকভাবে জানান, তবে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

আহতরা হচ্ছেন- বাউফল স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খলিলুর রহমান, তোফাজ্জেল হোসেন, সোহেল রানা রাসেল, রায়হান, লিটন, মিলন, বসার, মোশারেফ, শামিম, কামরুল, কাজল, জিসান, লেনিন, কামরুজ্জামান, রাসেল, কবির, মনির, এদের মধ্যে সোহেল রানা, ওমোশারেফকে গুরুতর জখম অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, বিএনপি আমাদের দায়ী করেছেন হামলার জন্য এটা সঠিক নয়। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তিতাস মোড়ে নির্ধারিত সমাবেশস্থলে আমি সকাল ১০টার পরে সভা শুরু করি। ঐ সভায় ছাত্রলীগের একটি মিছিল বিএনপির সমাবেশস্থলের নিকটবর্তী পটুয়াখালী পৌরসভার মোড় অতিক্রমকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এতে আমাদের ছাত্রলীগের কমপক্ষে ৮ জন নেতাকর্মী আহত জখম প্রাপ্ত হয়, খবর পেয়ে আমি ৩ থেকে ৪ শ’ নেতাকর্মী নিয়ে আমি মুসলিম পাড়া মোড়ে আসি। সেখানে আমি শান্তিপূর্ণ সভা করি। গুরুতর আহত ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ মাইনুল হাসান জানান, দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, তখন আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করি। পরবর্তিতে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দকে বুঝিয়ে নেয়ার পর তারা তাদের নেতাকর্মীদের সড়িয়ে নিয়ে যান।