ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নৌকা বাইয়া দে’ স্লোগান দিয়ে ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

‘নৌকা বাইয়া দে’ কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য আহবান জানান।

সমাবেশে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি জমির ক্ষতি এড়াতে এখন থেকে হাওরে উড়াল সড়ক তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার মিঠামইনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সুধী সমাবেশ তিনি বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্গম অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি যে প্রতিটি হাওর, বিল ও জলাভূমি এলাকায় প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, সব সড়ক উঁচু করা হবে, যাতে বর্ষাকালে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়। মাছ ও নৌকা চলাচলে বাধা না পড়ে। স্থানীয় যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত না হয়। এতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট ও ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে।

হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে মিঠামইনের ক্যান্টনমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হাওর অঞ্চলের মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সব সময় সংগ্রাম করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সাল থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের সেবা করেছেন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকেছেন। তাঁদের ভালো-মন্দ সময়ে নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়েছেন। তিনি তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনে পৌঁছান। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় সেনানিবাস উদ্বোধন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যান। এ সময় সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর বিকাল ৩টায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন তিনি। পরে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে সমাবেশে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

‘নৌকা বাইয়া দে’ স্লোগান দিয়ে ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

‘নৌকা বাইয়া দে’ কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য আহবান জানান।

সমাবেশে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি জমির ক্ষতি এড়াতে এখন থেকে হাওরে উড়াল সড়ক তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার মিঠামইনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সুধী সমাবেশ তিনি বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্গম অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি যে প্রতিটি হাওর, বিল ও জলাভূমি এলাকায় প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, সব সড়ক উঁচু করা হবে, যাতে বর্ষাকালে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়। মাছ ও নৌকা চলাচলে বাধা না পড়ে। স্থানীয় যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত না হয়। এতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট ও ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে।

হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে মিঠামইনের ক্যান্টনমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হাওর অঞ্চলের মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সব সময় সংগ্রাম করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সাল থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের সেবা করেছেন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকেছেন। তাঁদের ভালো-মন্দ সময়ে নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়েছেন। তিনি তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনে পৌঁছান। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় সেনানিবাস উদ্বোধন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যান। এ সময় সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর বিকাল ৩টায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন তিনি। পরে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে সমাবেশে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।