ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন হতে দেবেন না, এমনটা হলে খবর আছে: ওবায়দুল কাদের

বাংলার মাটিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না-এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনীতিবিদ, আমলা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী-সবাই হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা রাজনীতিবিদদের রাজনীতি থেকে মাইনাস করার যড়যন্ত্র করেছে। কাজেই নির্বাচনকালীন এমন সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশে আর হবে না, হবে না, হবে না।

রোববার বিকালে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আপনারা (বিএনপি) না এলে আমরা জোর করে আনতে যাব না। তবে নির্বাচন হতে দেবেন না-এমনটা হলে খবর আছে। হতে দেবেন না, কিভাবে হতে দেবেন না? কত ধানে কত চাল, আমরা দেখিয়ে দেব।

এ সময় বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে ভুয়া মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কি হলো ১০ দফা, কি হলো এত দলীয় জোটের? বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে জোট ভাঙার চেষ্টার যে অভিযোগ এনেছেন, তার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব আপনাদের দল বা জোট কোনোটাই আমরা ভাঙব না। আপনাদের জোট তাসের ঘরের মতো আপনারাই ভেঙে দেবেন। এই জোট বাংলাদেশে টিকবে না, টিকতে পারে না।

বিএনপি আন্দোলন এখন খরার কবলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অসুস্থ হয়ে অচিরেই হাসপাতালে যাবে। নির্বাচনে না গেলে আইসিইউতে যাবে। মির্জা ফখরুল আবার লাফাতে শুরু করেছেন। জনগণ নেই, ঢাল-তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার। আন্দোলন চলে না। নির্বাচনে আসবেন না, ভালো কথা, সংবিধান আছে; নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ২০১৪ সালে আপনারা আসেননি বয়কট করেছেন, নির্বাচন কি হয়নি? হয়েছে। কি দিয়ে নির্বাচন প্রতিরোধ করবেন? আগুন সন্ত্রাস? যে হাতে আগুন নিয়ে আসবেন, সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেব। ভোটকেন্দ্র ভাঙতে আসবেন, হাত ভেঙে দেব।

এ সময় দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওদের মতিগতি খারাপ। এজন্য উলটাপালটা কথা বলতে শুরু করেছে। তাদের আন্দোলনের গতি যত কমছে অভিযোগ তত বাড়ছে। পাবলিক নেই, নেতাকর্মীও কমছে। যাদের ফখরুল সাহেব ক্ষমতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যে স্বপ্ন দেখিয়ে হাঁড়ি-পাতিল-কম্বল নিয়ে সভা-সমাবেশস্থলে ৭ দিন আগে থেকে হাজির। কেউ লাল কার্ড, কেউ হলুদ কার্ড দেখায়। কেউ বলে ১০ তারিখে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়, কেউ বলে ১১ তারিখে এয়ারপোর্টে ছুটে যেতে, সেদিন নাকি বিদেশে পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমান ফিরে আসবে!

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

এছাড়াও বক্তব্য দিয়েছেন-ঢাকা-১৩ আসনের এমপি সাদেক খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম আরাফাত, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন হতে দেবেন না, এমনটা হলে খবর আছে: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৩:৫২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলার মাটিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না-এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনীতিবিদ, আমলা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী-সবাই হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা রাজনীতিবিদদের রাজনীতি থেকে মাইনাস করার যড়যন্ত্র করেছে। কাজেই নির্বাচনকালীন এমন সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশে আর হবে না, হবে না, হবে না।

রোববার বিকালে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আপনারা (বিএনপি) না এলে আমরা জোর করে আনতে যাব না। তবে নির্বাচন হতে দেবেন না-এমনটা হলে খবর আছে। হতে দেবেন না, কিভাবে হতে দেবেন না? কত ধানে কত চাল, আমরা দেখিয়ে দেব।

এ সময় বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে ভুয়া মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কি হলো ১০ দফা, কি হলো এত দলীয় জোটের? বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে জোট ভাঙার চেষ্টার যে অভিযোগ এনেছেন, তার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব আপনাদের দল বা জোট কোনোটাই আমরা ভাঙব না। আপনাদের জোট তাসের ঘরের মতো আপনারাই ভেঙে দেবেন। এই জোট বাংলাদেশে টিকবে না, টিকতে পারে না।

বিএনপি আন্দোলন এখন খরার কবলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অসুস্থ হয়ে অচিরেই হাসপাতালে যাবে। নির্বাচনে না গেলে আইসিইউতে যাবে। মির্জা ফখরুল আবার লাফাতে শুরু করেছেন। জনগণ নেই, ঢাল-তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার। আন্দোলন চলে না। নির্বাচনে আসবেন না, ভালো কথা, সংবিধান আছে; নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ২০১৪ সালে আপনারা আসেননি বয়কট করেছেন, নির্বাচন কি হয়নি? হয়েছে। কি দিয়ে নির্বাচন প্রতিরোধ করবেন? আগুন সন্ত্রাস? যে হাতে আগুন নিয়ে আসবেন, সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেব। ভোটকেন্দ্র ভাঙতে আসবেন, হাত ভেঙে দেব।

এ সময় দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওদের মতিগতি খারাপ। এজন্য উলটাপালটা কথা বলতে শুরু করেছে। তাদের আন্দোলনের গতি যত কমছে অভিযোগ তত বাড়ছে। পাবলিক নেই, নেতাকর্মীও কমছে। যাদের ফখরুল সাহেব ক্ষমতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যে স্বপ্ন দেখিয়ে হাঁড়ি-পাতিল-কম্বল নিয়ে সভা-সমাবেশস্থলে ৭ দিন আগে থেকে হাজির। কেউ লাল কার্ড, কেউ হলুদ কার্ড দেখায়। কেউ বলে ১০ তারিখে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়, কেউ বলে ১১ তারিখে এয়ারপোর্টে ছুটে যেতে, সেদিন নাকি বিদেশে পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমান ফিরে আসবে!

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

এছাড়াও বক্তব্য দিয়েছেন-ঢাকা-১৩ আসনের এমপি সাদেক খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম আরাফাত, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন প্রমুখ।