ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

না’গঞ্জ জেলা জা’পা সভাপতি সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে সুমন প্রধানের অপকর্ম রুখবে কে?

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান সতর্ক করে দেয়ার পরও বন্দর উপজেলা জাতীয়পার্টির বিতর্কিত দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধান নানা অপকর্ম করে বেরাচ্ছে। সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড ও অসামাজিক কর্মকান্ডে ফুসে উঠেছে বুরুন্দী গ্রামবাসী। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্যাহ সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুতা,চাদাবাজী,বিচার শালিসের নামে মোটা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে তাকে নানা ভাবে তাকে নাজেহাল হতে হয়েছে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি সে। বিতর্কিত এই নেতা সুমন প্রধান বিগত সময়ে আপন শ^াশুরীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে লিল্প হওয়ায় অসামাজিক কাজ করার ঘটনায় বুরুন্দী গ্রামের মানুষের জনরোষের শিকার হয়। পরবর্তীতে সে মুচলেকা দিয়ে কিছুদিন গা ঢাকা দেয়। বিগত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হয়েছিল সুমন প্রধান। ওই সময় সে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর এলাকাবাসীকে ভোট দেয়নি বলে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানি করেছে। বুরুন্দী গ্রামে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের ঘনিষ্ট এক লোকের কাছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুমন প্রধান ১০ লাখ টাকা চাদা দাবী করে হুমকি প্রদান করে। পরে ওই ভূক্তভোগী জমির মালিক বাদী হয়ে সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে চাদাবাজী মামলা করেন। তখন সে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে গোপনে ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এছাড়াও এই ভূমি দস্যু সুমন প্রধানের বিরোদ্ধে কলাগাছিয়াবাসী একাধিক স্থানে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভাও করে। জা’পা কথিত নেতা সুমন প্রধান ২০০১সালে বাংলাদেশ নিবন্ধন বাতিল সংগঠন জামায়াত ইসলামী সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বিভিন্ন নাশকতা মুলক কর্মকান্ড করে বেড়াত। পরে বাংলাদেশ আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার দীর্ঘদিন গা ঢাকা দেয়। পরবর্তী সময়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্যাহ মিয়ার হাত ধরে জাতীয় পার্টিতে অনুপ্রবেশ করে। সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করলেই সুমন প্রধান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্যাহ সানুর প্রভাব দেখিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এমনকি অনেক নিরিহ মানুষ তার দআরা অমানুষিক নির্যাতনের শিকারও হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় পার্টি বিতর্কিত নেতা সুমন প্রধান মঙ্গলবার ভোর ৬টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের মোহনপুর ডকইয়ার্ডের পাশে এক ঠেড়াঘরে জায়গা মাপার ফিতা আনার নাম করে অনুপ্রবেশ করে ঠেলাগাড়ি চালক কালু মিয়ার অনুপস্থিতিতে তার সুন্দরী স্ত্রী রুবিনা বেগমকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে ওই সুন্দরী নারী সুমন প্রধানের অনৈতিক প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যাত করে চিৎকার দিয়ে গালমন্দ করতে থাকলে আশপাশের লোকজন এসে সুমন প্রধানকে উত্তম মধ্যম দিলে অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত উত্তেজিত জনরোশের কবল থেকে মুক্ত হয়ে কোন রকমে সুমন প্রধান ভেড়া ভেঙ্গে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। পওে সংবাদ কর্মীরা ঘটনার তথ্য নিলে সুমন প্রধান প্রচুর টাকার বিনিময়ে তাদের ম্যানেজ করে। কিন্তু কথায় আছে সত্য কখনো চাপা থাকেনা।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও গনমাধ্যমে সুমন প্রধানের অপকর্ম ভাইরাল হওয়ায় বিভিন্ন জনকে হুমকি প্রদান করছে সে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এমনকি লাক্ষ টাকার বাজেটে নেমেছে এই কুক্ষাত সুমন প্রধান। বুরুন্দীসহ বিভিন্ন এলাকার আতংক এই সুমন প্রধান। নারায়ণগঞ্জ জেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্যাহ সানুর নাম বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায় আধিপত্ত বিস্তার করে বেড়ায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্যাহ সানু বলেন,আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। কেউ আমার অৎান্তে আমার ব্যবহার কওে অপকর্ম করলে তাকে বেধে পুলিশে সোপর্দ করবেন। জাতীয়পার্টি একটি সুশৃঙ্খল দল। এখানে কোন অসাধু লোকের স্থান নাই।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের মনির মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনা আমি শুনেছি। তবে কাজটা খুব লজ্জা জনক। আগামী শুক্রবার স্থানীয় লোকজন নিয়ে এ ব্যাপারে একটা সুরাহা করব।

বন্দর থানা জাতীয়পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈনুদ্দিন মানু বলেন,জাতীয়পার্টি হচ্ছে একটা স্বচ্ছ ও নির্ভেজাল সংগঠন। বুরুন্দী এলাকার সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অপকর্ম শুনেছি। এজন্য আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় এমপি সেলিম ওসমান সাহেবও সুমন প্রধানকে সাবধান করে দিয়েছিল। ঘটনা সত্য প্রমানিত হলে জাতীয়পার্টির মত একটি সুশৃঙ্খল দলে এসব লোকের কোন ঠাঁই নাই।

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক রোমান হোসাইন বলেন,সুমন প্রধান একটা বাজে প্রকৃতির লোক। এদের মত বদলোকের কারনে দলের বদনাম হচ্ছে। আমি পার্টির সভাপতিকে অবগত করে এসব চরিত্রহীন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

না’গঞ্জ জেলা জা’পা সভাপতি সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে সুমন প্রধানের অপকর্ম রুখবে কে?

আপডেট সময় ০৩:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান সতর্ক করে দেয়ার পরও বন্দর উপজেলা জাতীয়পার্টির বিতর্কিত দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রধান নানা অপকর্ম করে বেরাচ্ছে। সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড ও অসামাজিক কর্মকান্ডে ফুসে উঠেছে বুরুন্দী গ্রামবাসী। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্যাহ সানুর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুতা,চাদাবাজী,বিচার শালিসের নামে মোটা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারনে তাকে নানা ভাবে তাকে নাজেহাল হতে হয়েছে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি সে। বিতর্কিত এই নেতা সুমন প্রধান বিগত সময়ে আপন শ^াশুরীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে লিল্প হওয়ায় অসামাজিক কাজ করার ঘটনায় বুরুন্দী গ্রামের মানুষের জনরোষের শিকার হয়। পরবর্তীতে সে মুচলেকা দিয়ে কিছুদিন গা ঢাকা দেয়। বিগত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হয়েছিল সুমন প্রধান। ওই সময় সে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর এলাকাবাসীকে ভোট দেয়নি বলে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানি করেছে। বুরুন্দী গ্রামে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের ঘনিষ্ট এক লোকের কাছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুমন প্রধান ১০ লাখ টাকা চাদা দাবী করে হুমকি প্রদান করে। পরে ওই ভূক্তভোগী জমির মালিক বাদী হয়ে সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে চাদাবাজী মামলা করেন। তখন সে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে গোপনে ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এছাড়াও এই ভূমি দস্যু সুমন প্রধানের বিরোদ্ধে কলাগাছিয়াবাসী একাধিক স্থানে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভাও করে। জা’পা কথিত নেতা সুমন প্রধান ২০০১সালে বাংলাদেশ নিবন্ধন বাতিল সংগঠন জামায়াত ইসলামী সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বিভিন্ন নাশকতা মুলক কর্মকান্ড করে বেড়াত। পরে বাংলাদেশ আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার দীর্ঘদিন গা ঢাকা দেয়। পরবর্তী সময়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্যাহ মিয়ার হাত ধরে জাতীয় পার্টিতে অনুপ্রবেশ করে। সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করলেই সুমন প্রধান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্যাহ সানুর প্রভাব দেখিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এমনকি অনেক নিরিহ মানুষ তার দআরা অমানুষিক নির্যাতনের শিকারও হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় পার্টি বিতর্কিত নেতা সুমন প্রধান মঙ্গলবার ভোর ৬টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের মোহনপুর ডকইয়ার্ডের পাশে এক ঠেড়াঘরে জায়গা মাপার ফিতা আনার নাম করে অনুপ্রবেশ করে ঠেলাগাড়ি চালক কালু মিয়ার অনুপস্থিতিতে তার সুন্দরী স্ত্রী রুবিনা বেগমকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে ওই সুন্দরী নারী সুমন প্রধানের অনৈতিক প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যাত করে চিৎকার দিয়ে গালমন্দ করতে থাকলে আশপাশের লোকজন এসে সুমন প্রধানকে উত্তম মধ্যম দিলে অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত উত্তেজিত জনরোশের কবল থেকে মুক্ত হয়ে কোন রকমে সুমন প্রধান ভেড়া ভেঙ্গে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। পওে সংবাদ কর্মীরা ঘটনার তথ্য নিলে সুমন প্রধান প্রচুর টাকার বিনিময়ে তাদের ম্যানেজ করে। কিন্তু কথায় আছে সত্য কখনো চাপা থাকেনা।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও গনমাধ্যমে সুমন প্রধানের অপকর্ম ভাইরাল হওয়ায় বিভিন্ন জনকে হুমকি প্রদান করছে সে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এমনকি লাক্ষ টাকার বাজেটে নেমেছে এই কুক্ষাত সুমন প্রধান। বুরুন্দীসহ বিভিন্ন এলাকার আতংক এই সুমন প্রধান। নারায়ণগঞ্জ জেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্যাহ সানুর নাম বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায় আধিপত্ত বিস্তার করে বেড়ায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্যাহ সানু বলেন,আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। কেউ আমার অৎান্তে আমার ব্যবহার কওে অপকর্ম করলে তাকে বেধে পুলিশে সোপর্দ করবেন। জাতীয়পার্টি একটি সুশৃঙ্খল দল। এখানে কোন অসাধু লোকের স্থান নাই।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের মনির মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনা আমি শুনেছি। তবে কাজটা খুব লজ্জা জনক। আগামী শুক্রবার স্থানীয় লোকজন নিয়ে এ ব্যাপারে একটা সুরাহা করব।

বন্দর থানা জাতীয়পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈনুদ্দিন মানু বলেন,জাতীয়পার্টি হচ্ছে একটা স্বচ্ছ ও নির্ভেজাল সংগঠন। বুরুন্দী এলাকার সুমন প্রধানের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অপকর্ম শুনেছি। এজন্য আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় এমপি সেলিম ওসমান সাহেবও সুমন প্রধানকে সাবধান করে দিয়েছিল। ঘটনা সত্য প্রমানিত হলে জাতীয়পার্টির মত একটি সুশৃঙ্খল দলে এসব লোকের কোন ঠাঁই নাই।

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক রোমান হোসাইন বলেন,সুমন প্রধান একটা বাজে প্রকৃতির লোক। এদের মত বদলোকের কারনে দলের বদনাম হচ্ছে। আমি পার্টির সভাপতিকে অবগত করে এসব চরিত্রহীন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।