ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুটি ভোল মাছ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি

বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর এলাকায় এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বড় আকারের দুটি ভোল মাছ। ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছ দুটি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে একটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, আরেকটির ওজন ২৭ কেজি।

দুবলার চর থেকে মাছ দুটি কিনে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন ‘মেসার্স জয়মনি ফিস’ আড়তের মালিক আল আমিন। এ সময় মাছ দুটি দেখতে ভিড় জমান উৎসুক লোকজন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলে ফারুক হোসেনের জালে মাছ দুটি ধরা পড়েছিল।

জেলে ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, গত অক্টোবরের প্রথম দিকে দুবলার চরসহ পাঁচটি চারাঞ্চলে শুঁটকির তৈরির মাছ আহরণে যান মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকার জেলে ফারুক হোসেন। শুঁটকির মৌসুম এখন শেষপর্যায়ে। এতদিন ফারুকের জালে তেমন বড় মাছ ধরা না পড়লেও বৃহস্পতিবার দুটি বড় ভোল মাছ ধরা পড়ে। ওই দিন শেষরাতে জাল উঠিয়ে মাছ দুটি দুবলার চরের মৎস্য আড়তে নিলামে তোলা হয়।

নিলামে ২০-২৫ জন অংশ নেন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মোংলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আল আমিন ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছ দুটি পান। এর মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, দাম পড়েছে ১১ লাখ। ছোট মাছটির ওজন ২৭ কেজি, দাম পড়েছে সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মাছের দাম পড়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ টাকা।

ব্যবসায়ী আল আমিন জানিয়েছেন, মাছ দুটি সঠিক পদ্ধতিতে প্রসেসিং ও প্যাকেটজাত করে চট্টগ্রামের মাছের আড়তে পাঠানো হয়েছে।

মোংলা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফরাজী বলেন, ‘ভোল মাছ এই অঞ্চলে খুব কম পাওয়া যায়। পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে আগে পাওয়া গেলেও এখন দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়ে মাছ ধরায় পাওয়া যায় না। এজন্য আমাদের আড়তেও আসে না। দুবলার চরে পাওয়া মাছ দুটি আড়তে এসেছে। সেগুলো চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আরও বেশি দাম পাওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ভোল মাছের ফুলকি ও পটকার দাম প্রচুর। এই মাছের পটকা ও বালিশ রফতানি হয়। শুনেছি এসব দিয়ে মেডিসিন তৈরি করা হয়।’

সামুদ্রিক ভোল মাছ খুবই দামি বলে উল্লেখ করেছেন মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। কারণ হিসেবে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে এক ধরনের সুতা তৈরি করা হয়। এই সুতা বিদেশে ওপেন হার্ট সার্জারির কাজে লাগে। এছাড়া বিয়ার তৈরির কাজেও ব্যবহৃত হয়।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

দুটি ভোল মাছ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি

আপডেট সময় ০৪:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর এলাকায় এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বড় আকারের দুটি ভোল মাছ। ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছ দুটি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে একটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, আরেকটির ওজন ২৭ কেজি।

দুবলার চর থেকে মাছ দুটি কিনে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন ‘মেসার্স জয়মনি ফিস’ আড়তের মালিক আল আমিন। এ সময় মাছ দুটি দেখতে ভিড় জমান উৎসুক লোকজন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলে ফারুক হোসেনের জালে মাছ দুটি ধরা পড়েছিল।

জেলে ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, গত অক্টোবরের প্রথম দিকে দুবলার চরসহ পাঁচটি চারাঞ্চলে শুঁটকির তৈরির মাছ আহরণে যান মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকার জেলে ফারুক হোসেন। শুঁটকির মৌসুম এখন শেষপর্যায়ে। এতদিন ফারুকের জালে তেমন বড় মাছ ধরা না পড়লেও বৃহস্পতিবার দুটি বড় ভোল মাছ ধরা পড়ে। ওই দিন শেষরাতে জাল উঠিয়ে মাছ দুটি দুবলার চরের মৎস্য আড়তে নিলামে তোলা হয়।

নিলামে ২০-২৫ জন অংশ নেন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মোংলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আল আমিন ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছ দুটি পান। এর মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, দাম পড়েছে ১১ লাখ। ছোট মাছটির ওজন ২৭ কেজি, দাম পড়েছে সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মাছের দাম পড়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ টাকা।

ব্যবসায়ী আল আমিন জানিয়েছেন, মাছ দুটি সঠিক পদ্ধতিতে প্রসেসিং ও প্যাকেটজাত করে চট্টগ্রামের মাছের আড়তে পাঠানো হয়েছে।

মোংলা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফরাজী বলেন, ‘ভোল মাছ এই অঞ্চলে খুব কম পাওয়া যায়। পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে আগে পাওয়া গেলেও এখন দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়ে মাছ ধরায় পাওয়া যায় না। এজন্য আমাদের আড়তেও আসে না। দুবলার চরে পাওয়া মাছ দুটি আড়তে এসেছে। সেগুলো চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আরও বেশি দাম পাওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ভোল মাছের ফুলকি ও পটকার দাম প্রচুর। এই মাছের পটকা ও বালিশ রফতানি হয়। শুনেছি এসব দিয়ে মেডিসিন তৈরি করা হয়।’

সামুদ্রিক ভোল মাছ খুবই দামি বলে উল্লেখ করেছেন মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। কারণ হিসেবে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে এক ধরনের সুতা তৈরি করা হয়। এই সুতা বিদেশে ওপেন হার্ট সার্জারির কাজে লাগে। এছাড়া বিয়ার তৈরির কাজেও ব্যবহৃত হয়।’