ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই পক্ষই সুন্দরভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিবদমান দুই পক্ষই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার কাজ শেষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় মিলিতভাবে আমাদের সব নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক বাহিনী সহযোগিতা করছে। এখানে প্রতিবারই সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তুরাগের ওপর পন্টুন বিজ নির্মাণ করে থাকে। কাজেই সবারই এখানে দৃষ্টি রয়েছে। আমি মনে করি, এবারও অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে।’

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলোআপ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব ইজতেমায় দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি জোবায়ের গ্রুপ এবং অন্যটি সা’দ গ্রুপ। করোনা মহামারির আগে দুই পক্ষই দুইবার বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথম পর্ব ১৩-১৫ জানুয়ারি জোবায়ের গ্রুপ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০-২২ জানুয়ারি সা’দ গ্রুপ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে।

তাদের মধ্যে বিভেদ ও ভুল বোঝাবুঝির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আগেও ইজতেমা আয়োজন করেছে, নতুন করে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার কিছু নেই। আমার মনে হয় তারা উভয়পক্ষই সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করবে। বিদেশি মেহমানরা আগেও প্রতিবার যেভাবে আসতেন, যেভাবে সুযোগ-সুবিধা পেতেন, এবারও তা অব্যাহত থাকবে। তাদের জন্য এবারে আরেকটু সুন্দর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব শেষে তারা ইজতেমাস্থল ত্যাগ করে আমাদের হাজিক্যাম্পে অবস্থান করবেন। আর দ্বিতীয় পর্বে বিদেশি মেহমান যারা আসবেন, তারা ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করবেন এবং ইজতেমা শেষে তারা যার যার গন্তব্যে চলে যাবেন।’

ইজতেমায় নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবসময় যেরকম থাকে এবারও সেরকম থাকবে। তার সঙ্গে এবারে সাইবার নিরাপত্তা যুক্ত করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা যেটাকে আমরা বলি, সেই জায়গাটাতে আমরা কাজ করছি। সেখানে যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে সেজন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী সেই জায়গাটাতেও কাভার করবে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বলতে আমাদের পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সবাই এখানে নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে আমাদের বিজিবিও প্রস্তুত থাকবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।’

সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, বিশ্ব ইজতেমার দুই পক্ষের মুরুব্বিসহ ইজতেমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রথম দফায় এবং ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় এবারের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি পর্বেই শেষ দিন আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

দুই পক্ষই সুন্দরভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

বিবদমান দুই পক্ষই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার কাজ শেষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় মিলিতভাবে আমাদের সব নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক বাহিনী সহযোগিতা করছে। এখানে প্রতিবারই সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তুরাগের ওপর পন্টুন বিজ নির্মাণ করে থাকে। কাজেই সবারই এখানে দৃষ্টি রয়েছে। আমি মনে করি, এবারও অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে।’

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলোআপ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব ইজতেমায় দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি জোবায়ের গ্রুপ এবং অন্যটি সা’দ গ্রুপ। করোনা মহামারির আগে দুই পক্ষই দুইবার বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথম পর্ব ১৩-১৫ জানুয়ারি জোবায়ের গ্রুপ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০-২২ জানুয়ারি সা’দ গ্রুপ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে।

তাদের মধ্যে বিভেদ ও ভুল বোঝাবুঝির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আগেও ইজতেমা আয়োজন করেছে, নতুন করে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার কিছু নেই। আমার মনে হয় তারা উভয়পক্ষই সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করবে। বিদেশি মেহমানরা আগেও প্রতিবার যেভাবে আসতেন, যেভাবে সুযোগ-সুবিধা পেতেন, এবারও তা অব্যাহত থাকবে। তাদের জন্য এবারে আরেকটু সুন্দর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব শেষে তারা ইজতেমাস্থল ত্যাগ করে আমাদের হাজিক্যাম্পে অবস্থান করবেন। আর দ্বিতীয় পর্বে বিদেশি মেহমান যারা আসবেন, তারা ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করবেন এবং ইজতেমা শেষে তারা যার যার গন্তব্যে চলে যাবেন।’

ইজতেমায় নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবসময় যেরকম থাকে এবারও সেরকম থাকবে। তার সঙ্গে এবারে সাইবার নিরাপত্তা যুক্ত করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা যেটাকে আমরা বলি, সেই জায়গাটাতে আমরা কাজ করছি। সেখানে যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে সেজন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী সেই জায়গাটাতেও কাভার করবে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বলতে আমাদের পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সবাই এখানে নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে আমাদের বিজিবিও প্রস্তুত থাকবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।’

সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, বিশ্ব ইজতেমার দুই পক্ষের মুরুব্বিসহ ইজতেমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রথম দফায় এবং ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় এবারের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি পর্বেই শেষ দিন আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।