ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ডে এগিয়ে থাকসিনের মেয়ে

থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববারের এই নির্বাচনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক ডজন সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হওয়া এমন একটি দেশের জন্য এই নির্বাচনকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সেনাবাহিনীর জেনারেল প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা রোববারের এই নির্বাচনে আরেক দফায় ক্ষমতায় আসার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু তিনি দুই বিরোধী দলের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। গতকালের এ নির্বাচনে থাইল্যান্ডের নেতৃস্থানীয় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ফুফু ইংলাকের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ক্ষমতায় ফিরে আসার আশা করছেন তিনি। মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এমপিএফ-এর পিটা লিমজারোনরাতও প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ছেন। ৪২ বছর বয়সী সাবেক এই টেক এক্সিকিউটিভের পক্ষেও জনমত জরিপ দ্রুত বাড়ছে। এর তরুণ, প্রগতিশীল এবং উচ্চাভিলাষী প্রার্থীরা একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী বার্তা নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। আর তা হলো- থাইল্যান্ডকে পরিবর্তন করতে হবে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, থাইল্যান্ডে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ও সিনেট সদস্যরা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। আগামী আগস্ট মাসে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন সংখ্যা ৫০০। এর মধ্যে ৪০০টিতে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ১০০ আসনে জয়ী দলগুলো তাদের প্রাপ্ত আসন অনুযায়ী আসন পেয়ে থাকে। আর সিনেটের সদস্য সংখ্যা ২৫০। সামরিক বাহিনী তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। নিম্নকক্ষে যে দলগুলোর অন্তত ২৫ আসন থাকবে তারা একজনকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করতে পারবে। আগস্টের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হতে পারে। নিম্নকক্ষের ৫০০ ও সিনেটের ২৫০ মিলে সাড়ে সাতশো ভোটের মধ্যে যে প্রার্থী ৩৭৬ ভোট পাবেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। থাইল্যান্ডে সাধারণত জোট সরকার গঠিত হয়ে থাকে।

গত জোট সরকারে এক ডজনের বেশি দল ছিল। ফলে রোববারের নির্বাচনের পর জোট সরকার গঠন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৩২ সালের পর থেকে থাইল্যান্ডে ১২ বার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। ২০০৬ সাল ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ফিউ থাই পার্টির জয়ের পর সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল। এবারও ফিউ থাই পার্টি জিতলে তেমনটা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সেটা নির্বাচনের ঠিক পরপর না হলেও এক, দুই বা তিন বছর পরও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

থাইল্যান্ডে এগিয়ে থাকসিনের মেয়ে

আপডেট সময় ০৪:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববারের এই নির্বাচনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক ডজন সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হওয়া এমন একটি দেশের জন্য এই নির্বাচনকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সেনাবাহিনীর জেনারেল প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা রোববারের এই নির্বাচনে আরেক দফায় ক্ষমতায় আসার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু তিনি দুই বিরোধী দলের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। গতকালের এ নির্বাচনে থাইল্যান্ডের নেতৃস্থানীয় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ফুফু ইংলাকের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ক্ষমতায় ফিরে আসার আশা করছেন তিনি। মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এমপিএফ-এর পিটা লিমজারোনরাতও প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ছেন। ৪২ বছর বয়সী সাবেক এই টেক এক্সিকিউটিভের পক্ষেও জনমত জরিপ দ্রুত বাড়ছে। এর তরুণ, প্রগতিশীল এবং উচ্চাভিলাষী প্রার্থীরা একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী বার্তা নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। আর তা হলো- থাইল্যান্ডকে পরিবর্তন করতে হবে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, থাইল্যান্ডে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ও সিনেট সদস্যরা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। আগামী আগস্ট মাসে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন সংখ্যা ৫০০। এর মধ্যে ৪০০টিতে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকি ১০০ আসনে জয়ী দলগুলো তাদের প্রাপ্ত আসন অনুযায়ী আসন পেয়ে থাকে। আর সিনেটের সদস্য সংখ্যা ২৫০। সামরিক বাহিনী তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। নিম্নকক্ষে যে দলগুলোর অন্তত ২৫ আসন থাকবে তারা একজনকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করতে পারবে। আগস্টের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হতে পারে। নিম্নকক্ষের ৫০০ ও সিনেটের ২৫০ মিলে সাড়ে সাতশো ভোটের মধ্যে যে প্রার্থী ৩৭৬ ভোট পাবেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। থাইল্যান্ডে সাধারণত জোট সরকার গঠিত হয়ে থাকে।

গত জোট সরকারে এক ডজনের বেশি দল ছিল। ফলে রোববারের নির্বাচনের পর জোট সরকার গঠন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৩২ সালের পর থেকে থাইল্যান্ডে ১২ বার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। ২০০৬ সাল ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ফিউ থাই পার্টির জয়ের পর সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল। এবারও ফিউ থাই পার্টি জিতলে তেমনটা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সেটা নির্বাচনের ঠিক পরপর না হলেও এক, দুই বা তিন বছর পরও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।