ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা অর্থনৈতিক কূটনীতিতে সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করছে : মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বলেছেন যে ঢাকা তার অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সফল করতে বহুমুখী, বহু-স্থানিক ও বহু-কালিক একীভূত পদ্ধতির অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক কূটনীতিমুখী একটি অত্যন্ত সংহত পদ্ধতির অনুসরণ করছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধন করা ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’-এ ভাষণ দিচ্ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিনটি নীতি প্যাকেজ তৈরি করেছে- অর্থনৈতিক কূটনীতি, পাবলিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্যাকেজ। তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা, বাণিজ্য সংস্থাসমুহেরর সাথে কাজ করে চলেছে এবং ভাল ফলাফলের লক্ষ্যে দেশী ও বিদেশী প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধনে পররাষ্ট্র দপ্তরের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির জন্য একটি নিবেদিত শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, ‘এছাড়া, আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতিকে বিশেষভাবে তুলে ধরতে ও অগ্রাধিকার দিতে বিদেশে আমাদের সমস্ত মিশন সক্রিয় করেছি।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের একটি প্রবেশদ্বার এবং এটি ৩.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার সম্মিলিত বাজারে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করে। তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় একটি সংযোগ কেন্দ্র।…আমি আপনাদের সবাইকে বিনিয়োগ করে বিজয়ী হতে স্বাগত জানাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান, ব্যবসা করার প্রতিযোগিতামূলক খরচ, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, তরুণ ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ এবং স্থিতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব সরকার এটিকে বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক কিছু দেওয়ার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি আমাদের একটি তরুণ ও শিক্ষিত কর্মীবাহিনী, একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো এবং একটি সরকার রয়েছে যেটি ব্যবসার বিকাশের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিদ্ধ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করেছে এবং আমরা লাভজনক বিনিয়োগ প্যাকেজসহ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৮টি হিচ পার্ক স্থাপন করছি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ শীর্ষ সম্মেলন আমাদের দেশের উদ্যোগী চেতনার প্রমাণ এবং এটি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ তুলে ধরে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিদেশী ব্যবসায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের চেতনা আছে, আমাদের উদ্যোগ আছে এবং আমরা করতে পারি, করতে পারার পরিসর আমাদের অসীম। আমরা পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের উনয়ন যাত্রায় আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই।’ মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সবাইকে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হতে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা স্মার্ট শ্রমশক্তি, স্মার্ট ছাত্র, স্মার্ট উৎপাদন ক্ষমতা, স্মার্ট অবকাঠামো, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নিয়ম-কানুন এবং স্মার্ট জনগণ তৈরি করছি, যাতে বাংলাদেশ বিশ্বের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হতে পারে।’
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংস্থা এফবিসিসিআই’র সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এফবিসিসিআই’র অংশীদারিত্বে এই সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা অর্থনৈতিক কূটনীতিতে সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করছে : মোমেন

আপডেট সময় ০৪:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বলেছেন যে ঢাকা তার অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সফল করতে বহুমুখী, বহু-স্থানিক ও বহু-কালিক একীভূত পদ্ধতির অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক কূটনীতিমুখী একটি অত্যন্ত সংহত পদ্ধতির অনুসরণ করছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধন করা ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’-এ ভাষণ দিচ্ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিনটি নীতি প্যাকেজ তৈরি করেছে- অর্থনৈতিক কূটনীতি, পাবলিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্যাকেজ। তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা, বাণিজ্য সংস্থাসমুহেরর সাথে কাজ করে চলেছে এবং ভাল ফলাফলের লক্ষ্যে দেশী ও বিদেশী প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধনে পররাষ্ট্র দপ্তরের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির জন্য একটি নিবেদিত শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, ‘এছাড়া, আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতিকে বিশেষভাবে তুলে ধরতে ও অগ্রাধিকার দিতে বিদেশে আমাদের সমস্ত মিশন সক্রিয় করেছি।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের একটি প্রবেশদ্বার এবং এটি ৩.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার সম্মিলিত বাজারে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করে। তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় একটি সংযোগ কেন্দ্র।…আমি আপনাদের সবাইকে বিনিয়োগ করে বিজয়ী হতে স্বাগত জানাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান, ব্যবসা করার প্রতিযোগিতামূলক খরচ, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, তরুণ ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ এবং স্থিতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব সরকার এটিকে বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক কিছু দেওয়ার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি আমাদের একটি তরুণ ও শিক্ষিত কর্মীবাহিনী, একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো এবং একটি সরকার রয়েছে যেটি ব্যবসার বিকাশের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিদ্ধ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করেছে এবং আমরা লাভজনক বিনিয়োগ প্যাকেজসহ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৮টি হিচ পার্ক স্থাপন করছি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ শীর্ষ সম্মেলন আমাদের দেশের উদ্যোগী চেতনার প্রমাণ এবং এটি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ তুলে ধরে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিদেশী ব্যবসায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের চেতনা আছে, আমাদের উদ্যোগ আছে এবং আমরা করতে পারি, করতে পারার পরিসর আমাদের অসীম। আমরা পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের উনয়ন যাত্রায় আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই।’ মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সবাইকে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হতে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা স্মার্ট শ্রমশক্তি, স্মার্ট ছাত্র, স্মার্ট উৎপাদন ক্ষমতা, স্মার্ট অবকাঠামো, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নিয়ম-কানুন এবং স্মার্ট জনগণ তৈরি করছি, যাতে বাংলাদেশ বিশ্বের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হতে পারে।’
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংস্থা এফবিসিসিআই’র সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এফবিসিসিআই’র অংশীদারিত্বে এই সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।