ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেসকো ও নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন অভিযোগে মিরপুরের ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এ দুটি অভিযান চালায়। এছাড়াও চারটি দফতরে চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মিরপুরের ইব্রাহিমপুরের ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ফাইল আটকে ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। দুদক টিম প্রথমে বিভিন্ন শ্রেণীর সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সেবা সম্পর্কে জানতে চায়।

অভিযানকালে দুদক টিম ডেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি দুদক টিমকে জানান,আবাসিক এবং বাণিজ্যিক নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে অটোমেশন পদ্ধতি চালু আছে ডেসকোয়। গ্রাহক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধরন ভেদে ৩ থেকে ১৮ কর্ম দিবস সময়ের মধ্যে পরিদর্শন রিপোর্ট অনুসারে সংযোগ প্রদান করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে প্রাথমিকভাবে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও পরবর্তীতে কাগজপত্র জমা দেওয়া সাপেক্ষে সংযোগ প্রদান করা হয়।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, ‘ডেসকো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মাঝেও তাদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রাহক সেবা প্রদান করতে হয়। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকতে পারে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তাদের নজরে আসলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা সমাধানের চেষ্টা করেন।’

অন্যদিকে,নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহকদের হয়রানি ও ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম প্রথমে ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিসে আগত সেবা গ্রহীতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং গ্রাহকদের আবেদনে কোনও মার্ক বা বিশেষ চিহ্ন আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। দুদক টিম সেবাগ্রহীতার নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারে যে,পাসপোর্ট অফিসের পার্শ্ববর্তী দোকানে থাকা দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দুদক টিম পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি দালালদের বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থানের ব্যাপারে টিমকে অবহিত করেন। অভিযানকালে দুদক টিম অফিসের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিমুক্তভাবে জনগণকে সেবা প্রদানের পরামর্শ দেয়। এছাড়া সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয় এবং উক্ত বিষয়ে সর্তক করা হয়। অভিযান প্রসঙ্গে পরবর্তীতে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৪টি দফতরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ডেসকো ও নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

আপডেট সময় ০৪:২৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

বিভিন্ন অভিযোগে মিরপুরের ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এ দুটি অভিযান চালায়। এছাড়াও চারটি দফতরে চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মিরপুরের ইব্রাহিমপুরের ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ফাইল আটকে ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। দুদক টিম প্রথমে বিভিন্ন শ্রেণীর সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সেবা সম্পর্কে জানতে চায়।

অভিযানকালে দুদক টিম ডেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি দুদক টিমকে জানান,আবাসিক এবং বাণিজ্যিক নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে অটোমেশন পদ্ধতি চালু আছে ডেসকোয়। গ্রাহক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধরন ভেদে ৩ থেকে ১৮ কর্ম দিবস সময়ের মধ্যে পরিদর্শন রিপোর্ট অনুসারে সংযোগ প্রদান করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে প্রাথমিকভাবে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও পরবর্তীতে কাগজপত্র জমা দেওয়া সাপেক্ষে সংযোগ প্রদান করা হয়।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, ‘ডেসকো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মাঝেও তাদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রাহক সেবা প্রদান করতে হয়। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকতে পারে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তাদের নজরে আসলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা সমাধানের চেষ্টা করেন।’

অন্যদিকে,নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহকদের হয়রানি ও ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম প্রথমে ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিসে আগত সেবা গ্রহীতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং গ্রাহকদের আবেদনে কোনও মার্ক বা বিশেষ চিহ্ন আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। দুদক টিম সেবাগ্রহীতার নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারে যে,পাসপোর্ট অফিসের পার্শ্ববর্তী দোকানে থাকা দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দুদক টিম পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি দালালদের বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থানের ব্যাপারে টিমকে অবহিত করেন। অভিযানকালে দুদক টিম অফিসের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিমুক্তভাবে জনগণকে সেবা প্রদানের পরামর্শ দেয়। এছাড়া সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয় এবং উক্ত বিষয়ে সর্তক করা হয়। অভিযান প্রসঙ্গে পরবর্তীতে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৪টি দফতরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র পাঠানো হয়েছে।