ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টুকুর ৯ বছর আমানের ১৩ বছর কারাদণ্ড বহাল

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে দেয়া বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকলো। বিচারিক আদালত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে ৯ বছরের কারাদ- এবং আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর কারাদ- দিয়েছিলেন। সাবেরা আমানকে দিয়েছিলেন ৩ বছরের কারাদ-।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ পৃথক এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ এবং একেএম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। টুকু-আমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন।
গতকালের এ রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে হাইকোর্ট এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
টুকুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তথ্য মতে, ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছর ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টুকুকে ৯ বছর কারাদ- দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে পুন:শুনানি হয়।
অন্যদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছর ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরা আমানকে ৩ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে উভয়কে খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি নিয়ে উপরোক্ত রায় দেন গতকাল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

টুকুর ৯ বছর আমানের ১৩ বছর কারাদণ্ড বহাল

আপডেট সময় ০৩:৫৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে দেয়া বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকলো। বিচারিক আদালত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে ৯ বছরের কারাদ- এবং আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর কারাদ- দিয়েছিলেন। সাবেরা আমানকে দিয়েছিলেন ৩ বছরের কারাদ-।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ পৃথক এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ এবং একেএম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। টুকু-আমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন।
গতকালের এ রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে হাইকোর্ট এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
টুকুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তথ্য মতে, ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছর ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টুকুকে ৯ বছর কারাদ- দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে পুন:শুনানি হয়।
অন্যদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছর ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরা আমানকে ৩ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে উভয়কে খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে শুনানি নিয়ে উপরোক্ত রায় দেন গতকাল।