ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনস্বার্থে মেঘনা নদী খননের এলাকাবাসীর বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে আবেদন

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ঐতিহ্যবাহী হাট প্রশস্ত করুন ও নদীপথে যাতায়াত সুবিধার্থে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে দরখাস্ত।

এরি পরিপেক্ষিতে সরে জমিনে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে বিআইডব্লিউটিএ (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ)। তবে এ নদী খনন কতটুকু জনগণের সুবিধা তা খতিয়ে দেখার জন্য সরে জমিনে তদন্তে জান সোনারগাঁ সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) ইব্রাহিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মোবারক হোসেন, উপ-পরিচালক মেঘনা নদীবন্দর, শাহালম ভূঁইয়া, সাবেক মেম্বার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন, মোঃ গোলজার হোসেন, বাজার সভাপতি, এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীগন।

রবিবার ৩ ডিসেম্বর দুপুরে সোনারগাঁ বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ঐতিহ্যবাহী হাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত বালি ভরাট জায়গায়।

এ সময় উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামীতে সড়ক-মহাসড়কে যানজট যে আরও প্রকট আকার ধারণ করবে, এটা সহজেই অনুমান করা যায়। এ প্রেক্ষাপটে দেশের নৌ-রুটের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যমান নৌরুটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করলে আগামীতে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমবে।

এতে একদিকে যেমন যানজটের কষ্ট থেকে মানুষ রেহাই পাবে; একইসঙ্গে সময়মতো পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানো সম্ভব হবে। দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্য বাড়ানোর খসড়া মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে ব্যয় হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। জানা গেছে, এ পরিকল্পনার আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করা হবে।

তবে আমরা নদী খননের যে নির্দেশনা দেয়া আছে তা অনুসরণ করে এগিয়ে নিয়ে যাব যেমন , নদী ড্রেজিংয়ে স্বচ্ছতা রাখতে ১৬ নির্দেশনা : সম্প্রতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় নদী খননে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রি জারি করেছে। নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ স্বাক্ষতির পরিপত্রে বলা হয়েছে, নদী খননের পলি কোনোভাবেই নদীতে ফেলা যাবে না। নদী খননের আগে ও খননের পরে যৌথ জরিপ করতে হবে, যাতে নির্ধারিত গভীরতা অর্জিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করা যায়। তীর ও ঢাল যথাযথ সংরক্ষণ করে নদীর তলদেশে সুষম খনন করতে হবে। যত্রতত্র খনন করা যাবে না। খননের পলি স্তূপাকারে রাখতে হবে যাতে তা নদীতে ধুয়ে নামতে না পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এ ছাড়া পরিপত্রে নদীর পলি ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা আমার কাছে বালুতে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদী খননের জন্য আসে। নদীর ওইপারের লোকজন যাতায়াতের খুব সমস্যা হয়ে যায় বলে জানান, মেঘনা নদীর তীরে বালু-ভরাট হয়ে গেলে ট্রলার ও নৌকা দূরে অবস্থান করতে হয়, সে জন্য কাদামাটি দিয়ে তাদের তীরে আসতে হয়।
এজন্য একটি ঘাটলার জন্য তারা দাবী করে, আমি তাদের (বিআইডব্লিউটিএ )বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে নদী খননের আবেদনের জন্য পরামর্শ দেই ।
সে অনুযায়ী জনগণের স্বার্থে সরকারি রাজস্ব উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি ঘাটলা ও নদী খননের উদ্যোগে আজ পর্যবেক্ষণ ও কার্যাদেশে উদ্যোগ নেই।

এ বিষয়ে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে নদী খননের বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে একটি ঘাটলা নির্মাণের অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীর ওপারের যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ঘাটলা নির্মাণ বাধ্যতামূলক। নদীর পানি শুকাতে থাকলে দূরবর্তী জায়গায় নৌকাভিরাতে হয়। যার ফলে যাত্রীদের দূর থেকে কাদা মাটি দিয়ে নদীর তীরে আসতে হয়। তাছাড়া নদীর তীরে ভালো ভরাটের কারণে দূরবর্তী জায়গায় ট্রলার নৌকা অবস্থান করতে হয় এজন্য নদীর বালু খনন করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সকলের দাবি এখানে বালি উত্তোলন করে একটি ঘাট নির্মাণ করে জনগণের স্বার্থে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে আমরা সহযোগিতা কামনা করছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

জনস্বার্থে মেঘনা নদী খননের এলাকাবাসীর বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে আবেদন

আপডেট সময় ০৪:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ঐতিহ্যবাহী হাট প্রশস্ত করুন ও নদীপথে যাতায়াত সুবিধার্থে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে দরখাস্ত।

এরি পরিপেক্ষিতে সরে জমিনে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে বিআইডব্লিউটিএ (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ)। তবে এ নদী খনন কতটুকু জনগণের সুবিধা তা খতিয়ে দেখার জন্য সরে জমিনে তদন্তে জান সোনারগাঁ সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) ইব্রাহিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মোবারক হোসেন, উপ-পরিচালক মেঘনা নদীবন্দর, শাহালম ভূঁইয়া, সাবেক মেম্বার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন, মোঃ গোলজার হোসেন, বাজার সভাপতি, এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীগন।

রবিবার ৩ ডিসেম্বর দুপুরে সোনারগাঁ বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ঐতিহ্যবাহী হাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত বালি ভরাট জায়গায়।

এ সময় উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামীতে সড়ক-মহাসড়কে যানজট যে আরও প্রকট আকার ধারণ করবে, এটা সহজেই অনুমান করা যায়। এ প্রেক্ষাপটে দেশের নৌ-রুটের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যমান নৌরুটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করলে আগামীতে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমবে।

এতে একদিকে যেমন যানজটের কষ্ট থেকে মানুষ রেহাই পাবে; একইসঙ্গে সময়মতো পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানো সম্ভব হবে। দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্য বাড়ানোর খসড়া মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে ব্যয় হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। জানা গেছে, এ পরিকল্পনার আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করা হবে।

তবে আমরা নদী খননের যে নির্দেশনা দেয়া আছে তা অনুসরণ করে এগিয়ে নিয়ে যাব যেমন , নদী ড্রেজিংয়ে স্বচ্ছতা রাখতে ১৬ নির্দেশনা : সম্প্রতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় নদী খননে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রি জারি করেছে। নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ স্বাক্ষতির পরিপত্রে বলা হয়েছে, নদী খননের পলি কোনোভাবেই নদীতে ফেলা যাবে না। নদী খননের আগে ও খননের পরে যৌথ জরিপ করতে হবে, যাতে নির্ধারিত গভীরতা অর্জিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করা যায়। তীর ও ঢাল যথাযথ সংরক্ষণ করে নদীর তলদেশে সুষম খনন করতে হবে। যত্রতত্র খনন করা যাবে না। খননের পলি স্তূপাকারে রাখতে হবে যাতে তা নদীতে ধুয়ে নামতে না পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এ ছাড়া পরিপত্রে নদীর পলি ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা আমার কাছে বালুতে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদী খননের জন্য আসে। নদীর ওইপারের লোকজন যাতায়াতের খুব সমস্যা হয়ে যায় বলে জানান, মেঘনা নদীর তীরে বালু-ভরাট হয়ে গেলে ট্রলার ও নৌকা দূরে অবস্থান করতে হয়, সে জন্য কাদামাটি দিয়ে তাদের তীরে আসতে হয়।
এজন্য একটি ঘাটলার জন্য তারা দাবী করে, আমি তাদের (বিআইডব্লিউটিএ )বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে নদী খননের আবেদনের জন্য পরামর্শ দেই ।
সে অনুযায়ী জনগণের স্বার্থে সরকারি রাজস্ব উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি ঘাটলা ও নদী খননের উদ্যোগে আজ পর্যবেক্ষণ ও কার্যাদেশে উদ্যোগ নেই।

এ বিষয়ে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে নদী খননের বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে একটি ঘাটলা নির্মাণের অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীর ওপারের যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ঘাটলা নির্মাণ বাধ্যতামূলক। নদীর পানি শুকাতে থাকলে দূরবর্তী জায়গায় নৌকাভিরাতে হয়। যার ফলে যাত্রীদের দূর থেকে কাদা মাটি দিয়ে নদীর তীরে আসতে হয়। তাছাড়া নদীর তীরে ভালো ভরাটের কারণে দূরবর্তী জায়গায় ট্রলার নৌকা অবস্থান করতে হয় এজন্য নদীর বালু খনন করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সকলের দাবি এখানে বালি উত্তোলন করে একটি ঘাট নির্মাণ করে জনগণের স্বার্থে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে আমরা সহযোগিতা কামনা করছি।