ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরে ঢুকে কিশোরীর গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে দিলো দুর্বৃত্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ঘরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে গলা, দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের মেড্ডা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সে জেলা শহরের মেড্ডায় বড় বোনের বাসায় থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। বিয়ের প্রস্তাবনা কিংবা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ও তার এক ভাগ্নিকে বাড়িতে রেখে তার বোন সকালে বাজারে যান। খালাকে ঘরে রেখে তার ভাগ্নি ছাদে যায়। এর একটু পরই তার চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়িওয়ালাসহ প্রতিবেশীরা দৌড়ে তার কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছটফট করছে সে। তার গলা, দুই হাত ও পায়ের রগ কাটা। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেছেন। তবে সে আশঙ্কামুক্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থলে যাই। হামলাকারীকে কেউ দেখেনি। ধারণা করা হচ্ছে বিয়ে কিংবা প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এই সংক্রান্ত ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। অভিযোগ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘরে ঢুকে কিশোরীর গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে দিলো দুর্বৃত্ত

আপডেট সময় ০৪:৪৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ঘরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে গলা, দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের মেড্ডা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সে জেলা শহরের মেড্ডায় বড় বোনের বাসায় থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। বিয়ের প্রস্তাবনা কিংবা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ও তার এক ভাগ্নিকে বাড়িতে রেখে তার বোন সকালে বাজারে যান। খালাকে ঘরে রেখে তার ভাগ্নি ছাদে যায়। এর একটু পরই তার চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়িওয়ালাসহ প্রতিবেশীরা দৌড়ে তার কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছটফট করছে সে। তার গলা, দুই হাত ও পায়ের রগ কাটা। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেছেন। তবে সে আশঙ্কামুক্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থলে যাই। হামলাকারীকে কেউ দেখেনি। ধারণা করা হচ্ছে বিয়ে কিংবা প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এই সংক্রান্ত ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। অভিযোগ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।