ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোগনগরে প্রতিবেশীর পিটুনিতে বৃদ্ধা নিহত

সদর উপজেলার গোগনগরে প্রতিবেশীর পিটুনিতে জায়েদা (৬০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে গোগনগর ইউনিয়নের মসিনাবন্দ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জায়েদা গোগচর এলাকার মামুন মন্ডলের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী মামুন মন্ডল বলেন, প্রতিবেশী সেকুল গত কয়েকদিন ধরে আমাদের বাসার ছাদে গাছ কেটে ফেলে রাখছিল। তাদের গাছ পড়ে একটি পাইপও ফেটে গেছে। তারা বলেছিল গাছ নিয়ে যাবে এবং পাইপ ঠিক করে দেবে। কিন্তু দুই তিন দিন হয়ে গেলেও তারা ছাদে রাখা গাছগুলো সরিয়ে নিচ্ছিল না এবং ঠিক করে দিচ্ছিল না।

 

তিনি আরো বলেন, বিকেলে আমি বাসার ভেতরে ছিলাম। এসময় আমার স্ত্রী বাসার বাইরে গিয়ে তাদের বলছিল কেন গাছগুলো সরাচ্ছে না। এনিয়ে তর্ক বিতর্কের জের ধরে তারা আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করে।

আমি দৌড়ে গিয়ে তাদের বাধা দিলে আমার ওপরও হামলা করে। এসময় আমার স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে অন্যদের সহযোগিতায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে রাসেল বলেন, প্রতিবেশী সেকুল, জুম্মান, রানা, শিল্পী ও সুমনসহ আরও কয়েকজন আমার মায়ের ওপর হামলা করে। তারা সকলে মিলে আমার মাকে মেরে ফেলেছে। গাছ নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা আমার মায়ের ওপর হামলা করে। আমি এর বিচার চাই।

 

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত বলতে পারবো। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

গোগনগরে প্রতিবেশীর পিটুনিতে বৃদ্ধা নিহত

আপডেট সময় ০৪:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

সদর উপজেলার গোগনগরে প্রতিবেশীর পিটুনিতে জায়েদা (৬০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে গোগনগর ইউনিয়নের মসিনাবন্দ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জায়েদা গোগচর এলাকার মামুন মন্ডলের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী মামুন মন্ডল বলেন, প্রতিবেশী সেকুল গত কয়েকদিন ধরে আমাদের বাসার ছাদে গাছ কেটে ফেলে রাখছিল। তাদের গাছ পড়ে একটি পাইপও ফেটে গেছে। তারা বলেছিল গাছ নিয়ে যাবে এবং পাইপ ঠিক করে দেবে। কিন্তু দুই তিন দিন হয়ে গেলেও তারা ছাদে রাখা গাছগুলো সরিয়ে নিচ্ছিল না এবং ঠিক করে দিচ্ছিল না।

 

তিনি আরো বলেন, বিকেলে আমি বাসার ভেতরে ছিলাম। এসময় আমার স্ত্রী বাসার বাইরে গিয়ে তাদের বলছিল কেন গাছগুলো সরাচ্ছে না। এনিয়ে তর্ক বিতর্কের জের ধরে তারা আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করে।

আমি দৌড়ে গিয়ে তাদের বাধা দিলে আমার ওপরও হামলা করে। এসময় আমার স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে অন্যদের সহযোগিতায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে রাসেল বলেন, প্রতিবেশী সেকুল, জুম্মান, রানা, শিল্পী ও সুমনসহ আরও কয়েকজন আমার মায়ের ওপর হামলা করে। তারা সকলে মিলে আমার মাকে মেরে ফেলেছে। গাছ নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা আমার মায়ের ওপর হামলা করে। আমি এর বিচার চাই।

 

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত বলতে পারবো। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।