ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, কলেজ অধ্যক্ষসহ কারাগারে ৫

গাজীপুরে পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের গত বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন, গাজীপুর মহানগরীর সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিন, কাউলতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, তার সহযোগী মাকসুদুর রহমান, মোবারক হোসেন ও তামিম হোসেন তন্ময়।

 

জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অন্যায় আচরণের কারণে তার পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময়ে অধ্যক্ষ এবং আওয়ামী লীগ নেতার উসকানিতে বহিরাগতরা পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি ও পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনায় গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার উপপরিদর্শক উৎপল কুমার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলা করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, গাজীপুরের সালনা বাজার এলাকায় নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অবস্থান। কলেজটি দীর্ঘদিনের পুরোনো ও এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে।

 

ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ওই কলেজের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, সালনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান ১০-১২ জন বহিরাগত লোক নিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে যান। এসময়ে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কলেজের অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চর-থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হাসিবুল দেখে প্রতিবাদ জানায়। এসময়ে অধ্যক্ষের কক্ষে থাকা বাহিরাগতরা তাকেও মারধর করেন। এই ঘটনায় কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এসময়ে বহিরাগতরা কলেজের মাঠে থাকা পুলিশের একটি পিকআপভ্যান ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কলেজের পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে।

 

খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অবরুদ্ধ করে রাখা কলেজের অধ্যক্ষ, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয়জনকে থানা হেফাজতে নিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে। পরে তাদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার সময় পুলিশের পিকআপভ্যান ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে থানার উপপরিদর্শক উৎপল কুমার বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় কলেজের অধ্যক্ষসহ বহিরাগত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, কলেজ অধ্যক্ষসহ কারাগারে ৫

আপডেট সময় ০৪:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গাজীপুরে পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের গত বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন, গাজীপুর মহানগরীর সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিন, কাউলতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, তার সহযোগী মাকসুদুর রহমান, মোবারক হোসেন ও তামিম হোসেন তন্ময়।

 

জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অন্যায় আচরণের কারণে তার পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময়ে অধ্যক্ষ এবং আওয়ামী লীগ নেতার উসকানিতে বহিরাগতরা পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি ও পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনায় গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার উপপরিদর্শক উৎপল কুমার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলা করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, গাজীপুরের সালনা বাজার এলাকায় নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অবস্থান। কলেজটি দীর্ঘদিনের পুরোনো ও এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে।

 

ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ওই কলেজের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, সালনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান ১০-১২ জন বহিরাগত লোক নিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে যান। এসময়ে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কলেজের অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চর-থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হাসিবুল দেখে প্রতিবাদ জানায়। এসময়ে অধ্যক্ষের কক্ষে থাকা বাহিরাগতরা তাকেও মারধর করেন। এই ঘটনায় কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এসময়ে বহিরাগতরা কলেজের মাঠে থাকা পুলিশের একটি পিকআপভ্যান ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কলেজের পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে।

 

খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অবরুদ্ধ করে রাখা কলেজের অধ্যক্ষ, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয়জনকে থানা হেফাজতে নিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে। পরে তাদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার সময় পুলিশের পিকআপভ্যান ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে থানার উপপরিদর্শক উৎপল কুমার বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় কলেজের অধ্যক্ষসহ বহিরাগত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।