ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনো পাইনি: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনো হাতে পাইনি। আবেদন পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি মামলা ট্র্যাকিং সিস্টেম সলট্র্যাক সফটওয়্যারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ, এখন পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানা গেছে, আগমাী ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার বিশেষ বিবেচনায় মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদকাল। দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন।

 

 

নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর দফয়া দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনো পাইনি: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনো হাতে পাইনি। আবেদন পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি মামলা ট্র্যাকিং সিস্টেম সলট্র্যাক সফটওয়্যারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ, এখন পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানা গেছে, আগমাী ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার বিশেষ বিবেচনায় মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদকাল। দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন।

 

 

নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর দফয়া দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।