ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রিমিয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে : জেলেনস্কি

ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ শত্রুমুক্ত করতে ইউক্রেন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার তিনি বলেছেন, ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারে নতুন ইউনিট গঠন করছে কিয়েভ। এতে যারা অংশ নেবেন তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সামরিক পদক্ষেপ নিচ্ছি, তাদের (রাশিয়ান) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। আমরা নতুন ব্রিগেড গঠন করেছি। শুধু ইউক্রেনে নয়, অন্যান্য দেশেও প্রশিক্ষণের জন্য লোক পাঠাচ্ছি।’

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিসহ ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ার দখলে যাওয়া সব অঞ্চল পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে কিয়েভের ‘ময়দান অভ্যুত্থানের’ পর উপদ্বীপটি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ভূমিধস গণভোটের পর রাশিয়ায় যোগ দেয়।

ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কের পাশাপাশি জাপোরোজিয়ে এবং খেরসন অঞ্চলগুলো ‘গণভোটের’ মাধ্যমে গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করেন পুতিন। পশ্চিমা বিশ্ব এই গণভোটকে অবৈধ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করলেও, অঞ্চলগুলো এখন রাশিয়ার অধীনে শাসিত হচ্ছে। কিয়েভ এবং তার সমর্থকরা এই অঞ্চলগুলোকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে।

ক্রিমিয়ায় হামলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাশিয়া বারবার কিয়েভকে সতর্ক করেছে। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছিলেন, ‘ক্রিমিয়ার ওপর যে কোনো আক্রমণকে রাশিয়ার ওপর সরাসরি আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। নিশ্চিতভাবে এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্রিমিয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে : জেলেনস্কি

আপডেট সময় ০৪:০২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ শত্রুমুক্ত করতে ইউক্রেন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার তিনি বলেছেন, ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারে নতুন ইউনিট গঠন করছে কিয়েভ। এতে যারা অংশ নেবেন তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সামরিক পদক্ষেপ নিচ্ছি, তাদের (রাশিয়ান) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত। আমরা নতুন ব্রিগেড গঠন করেছি। শুধু ইউক্রেনে নয়, অন্যান্য দেশেও প্রশিক্ষণের জন্য লোক পাঠাচ্ছি।’

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিসহ ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ার দখলে যাওয়া সব অঞ্চল পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে কিয়েভের ‘ময়দান অভ্যুত্থানের’ পর উপদ্বীপটি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ভূমিধস গণভোটের পর রাশিয়ায় যোগ দেয়।

ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কের পাশাপাশি জাপোরোজিয়ে এবং খেরসন অঞ্চলগুলো ‘গণভোটের’ মাধ্যমে গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করেন পুতিন। পশ্চিমা বিশ্ব এই গণভোটকে অবৈধ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করলেও, অঞ্চলগুলো এখন রাশিয়ার অধীনে শাসিত হচ্ছে। কিয়েভ এবং তার সমর্থকরা এই অঞ্চলগুলোকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে।

ক্রিমিয়ায় হামলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাশিয়া বারবার কিয়েভকে সতর্ক করেছে। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছিলেন, ‘ক্রিমিয়ার ওপর যে কোনো আক্রমণকে রাশিয়ার ওপর সরাসরি আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। নিশ্চিতভাবে এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’