ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উইঘুরদের প্রতি মনোযোগের অভাবে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হচ্ছে

উইঘুররা এখনও চীনা কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং বিশ্বের মানুষ এই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি মনোযোগ কম দিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মাইকেল লেভিট।
কানাডার সংবাদমাধ্যম টরেন্টো স্টারে তিনি লিখেছেন, উইঘুরদের নিপীড়নের প্রতি বিশ্বের উদাসীনতা, নিষ্ক্রিয়তা আর নীরবতা তাদের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস) থেকে ফাঁস হওয়া টপ-সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী কানাডায় চীন সরকারের বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে সিএসআইএস সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত মেয়াদে একজন এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বারবার উইঘুরদের ইস্যুটি তুলেছিলেন মাইকেল লেভিট।সেইসঙ্গে চীনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচারের আওতায় আনতে ম্যাগনিটস্কি বা সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ছিলেন।
তিনি বলেন, তিব্বত ও হংকংয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইতোমধ্যেই চীন সরকার কুখ্যাত উঠেছে । দেশটির স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) এই ব্যাপারে নিঃসন্দেহে আনন্দিত যে, নির্যাতিত উইঘুররা বিদেশি সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পায় না।
তুর্কভাষী মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী উইঘুররা দীর্ঘদিন ধরে সিসিপির বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হয়ে আসছে। এই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি। তারা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে জিনজিয়াংয়ে বাস করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সিসিপি উইঘুরদের উপর তার দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ একে গণহত্যা অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছেন।
২০১৭ সাল থেকে চীনা সরকার এক মিলিয়নেরও বেশি উইঘুরকে আটক করেছে। তাদের ‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’ রাখার কথা বলে বন্দি রাখা হয়েছে ক্যাম্পে। যারা ক্যাম্পের বাইরে, তাদের ওপর চলছে ব্যাপক নজরদারি। ধর্মীয় বিধিনিষেধ, জোরপূর্বক শ্রম এবং অনিচ্ছাকৃত বন্ধ্যাকরণের শিকার হচ্ছে এসব উইঘুররা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

উইঘুরদের প্রতি মনোযোগের অভাবে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হচ্ছে

আপডেট সময় ০৪:২০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

উইঘুররা এখনও চীনা কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং বিশ্বের মানুষ এই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি মনোযোগ কম দিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মাইকেল লেভিট।
কানাডার সংবাদমাধ্যম টরেন্টো স্টারে তিনি লিখেছেন, উইঘুরদের নিপীড়নের প্রতি বিশ্বের উদাসীনতা, নিষ্ক্রিয়তা আর নীরবতা তাদের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস) থেকে ফাঁস হওয়া টপ-সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী কানাডায় চীন সরকারের বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে সিএসআইএস সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত মেয়াদে একজন এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বারবার উইঘুরদের ইস্যুটি তুলেছিলেন মাইকেল লেভিট।সেইসঙ্গে চীনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচারের আওতায় আনতে ম্যাগনিটস্কি বা সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ছিলেন।
তিনি বলেন, তিব্বত ও হংকংয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইতোমধ্যেই চীন সরকার কুখ্যাত উঠেছে । দেশটির স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) এই ব্যাপারে নিঃসন্দেহে আনন্দিত যে, নির্যাতিত উইঘুররা বিদেশি সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পায় না।
তুর্কভাষী মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী উইঘুররা দীর্ঘদিন ধরে সিসিপির বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হয়ে আসছে। এই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি। তারা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে জিনজিয়াংয়ে বাস করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সিসিপি উইঘুরদের উপর তার দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ একে গণহত্যা অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছেন।
২০১৭ সাল থেকে চীনা সরকার এক মিলিয়নেরও বেশি উইঘুরকে আটক করেছে। তাদের ‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’ রাখার কথা বলে বন্দি রাখা হয়েছে ক্যাম্পে। যারা ক্যাম্পের বাইরে, তাদের ওপর চলছে ব্যাপক নজরদারি। ধর্মীয় বিধিনিষেধ, জোরপূর্বক শ্রম এবং অনিচ্ছাকৃত বন্ধ্যাকরণের শিকার হচ্ছে এসব উইঘুররা।