ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের ষষ্ঠ দিনেও স্বস্তিতে ফিরছেন মানুষ

ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কর্মজীবীরা। ঈদের ষষ্ঠ দিনেও অনেকে ফিরছেন কর্মব্যস্ত এ নগরীতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ঈদ ফেরত মানুষদের ফিরতে দেখা গেছে।

তারা বলছেন, গাবতলী থেকে এবারের ঈদ যাত্রায় পোহাতে হয়নি কোনো ভোগান্তি। এবারের ঈদ যাত্রা ছিল স্বস্তির। দেখা যায়, তুলনামূলক অনেক কম মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারে যাত্রীদের চাপ তেমন নেই আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। প্রায় পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর পর আসছে দূরপাল্লার বাস। সেসব বাস থেকে দুই-চার জন করে যাত্রী নামতে দেখা যায়।

ছুটি শেষ করে গাবতলী এসেছে মো. আরিফ। নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে কোনো জ্যাম পাইনি। এবার ঈদের ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফেরত যাওয়া। এবারও তেমন কোনো জ্যাম পাইনি। রাজশাহী থেকে এসেছেন আরেক যাত্রী। তিনি বলেন, ঈদ যাত্রায় আমি সড়কে তেমন কোনো জ্যাম পাইনি। ছুটি শেষে আবারও রাজধানীতে ফিরে আসলাম। রাজশাহী থেকে আসার পথেও জ্যাম ছিল না। বিগত দিনগুলো থেকে এবারের ঈদ যাত্রা ছিল অনেক স্বস্তিদায়ক।

একটি পরিবহনের কন্ডাকটর রাসেল বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে গাবতলীতে বাস যাত্রী অনেক কমে গেছে। এখন যাত্রীদের চাপ হয় সায়দাবাদে। দেখতেই পাচ্ছেন প্রায় খালি বাস নিয়ে আসছি। ৪-৫ জন যাত্রী ছিল এই ট্রিপে।

এদিকে, পদ্মা সেতু চালুর কারণে বছরের অন্য সময়ের মতো নৌপথে ঈদে যাত্রী কম ছিল। ঈদের আগের মতো ফেরার পথেও তুলনামূলক যাত্রী কম। তারপরও নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া রাজধানীর বাসিন্দারা এখনো যারা পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরছেন তারা বেশ স্বস্তি নিয়ে আসছেন। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ না থাকলেও ঢাকায় ফেরা মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সদরঘাটে নেমে।

কারণ সকালে যারা বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে লঞ্চে এসে নামেন তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া হাঁকান ঘাটে থাকা সিএনজি চালকরা। বিশেষ করে খুব সকালে ঘাটে পৌঁছা বরিশালের লঞ্চের যাত্রীদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ায় যেতে হয় গন্তব্যে।

বিশেষ করে স্ত্রী, সন্তানসহ যারা ঢাকায় নামেন তাদের টার্গেট করেই বাড়তি ভাড়া হাঁকান সিএনজি চালকরা। যাত্রীদের অভিযোগ, অনেকটা সিন্ডিকেট করে একই রকম ভাড়া চান সিএনজি চালকরা।
বৃহস্পতিবার দেখা গেছে রাজধানীর সদরঘাটে কোনো লঞ্চে ঘাটে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় এখানকার ব্যস্ততা ও মানুষের আনাগোনা। বাকি সময় অনেকটা নিরুত্তাপ। তবে ভোর আর বেলা যতই হোক লঞ্চ থেকে নামা যাত্রীদের সিএনজি চালকদের বাড়তি ভাড়ার খপ্পরে পড়তেই হবে।

চাঁদপুর থেকে আসা ময়‚র লঞ্চ ঘাটে পৌঁছার পর দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক যাত্রী নামছেন। একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেও লঞ্চে অনেক ভিড়ের কথা জানা গেছে। ঘাটের সামনে সিএনজি স্ট্যান্ডে দেখা গেছে, অনেকেই বাড়তি ভাড়া চাওয়া নিয়ে চালকদের সঙ্গে বাকবিতÐায় জড়িয়ে পড়ছেন।

সদরঘাট টার্মিনালে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্ব পালন করা একজন বলেন, ঈদে এখনও মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। তবে তুলনামূলক কম। যাওয়ার সংখ্যা আরও কম। তবে সামনে মে দিবসসহ বন্ধ আছে, তখন আবার চাপ বাড়বে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-পরিচালক মো. আলমগীর কবীর বলেন, ঈদের আগে-পরে এখন পর্যন্ত নির্বিঘেœ নৌপথে যাত্রীরা আসা যাওয়া করেছে। আমাদের জায়গা থেকে সব ধরনের চেষ্টা ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার কথা জানতে পারিনি। এখন ঘাটের বাইরে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে সেখানে আমাদের নজর দেওয়া কষ্টকর।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদের ষষ্ঠ দিনেও স্বস্তিতে ফিরছেন মানুষ

আপডেট সময় ০৪:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কর্মজীবীরা। ঈদের ষষ্ঠ দিনেও অনেকে ফিরছেন কর্মব্যস্ত এ নগরীতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ঈদ ফেরত মানুষদের ফিরতে দেখা গেছে।

তারা বলছেন, গাবতলী থেকে এবারের ঈদ যাত্রায় পোহাতে হয়নি কোনো ভোগান্তি। এবারের ঈদ যাত্রা ছিল স্বস্তির। দেখা যায়, তুলনামূলক অনেক কম মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারে যাত্রীদের চাপ তেমন নেই আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। প্রায় পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর পর আসছে দূরপাল্লার বাস। সেসব বাস থেকে দুই-চার জন করে যাত্রী নামতে দেখা যায়।

ছুটি শেষ করে গাবতলী এসেছে মো. আরিফ। নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে কোনো জ্যাম পাইনি। এবার ঈদের ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফেরত যাওয়া। এবারও তেমন কোনো জ্যাম পাইনি। রাজশাহী থেকে এসেছেন আরেক যাত্রী। তিনি বলেন, ঈদ যাত্রায় আমি সড়কে তেমন কোনো জ্যাম পাইনি। ছুটি শেষে আবারও রাজধানীতে ফিরে আসলাম। রাজশাহী থেকে আসার পথেও জ্যাম ছিল না। বিগত দিনগুলো থেকে এবারের ঈদ যাত্রা ছিল অনেক স্বস্তিদায়ক।

একটি পরিবহনের কন্ডাকটর রাসেল বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে গাবতলীতে বাস যাত্রী অনেক কমে গেছে। এখন যাত্রীদের চাপ হয় সায়দাবাদে। দেখতেই পাচ্ছেন প্রায় খালি বাস নিয়ে আসছি। ৪-৫ জন যাত্রী ছিল এই ট্রিপে।

এদিকে, পদ্মা সেতু চালুর কারণে বছরের অন্য সময়ের মতো নৌপথে ঈদে যাত্রী কম ছিল। ঈদের আগের মতো ফেরার পথেও তুলনামূলক যাত্রী কম। তারপরও নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া রাজধানীর বাসিন্দারা এখনো যারা পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরছেন তারা বেশ স্বস্তি নিয়ে আসছেন। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ না থাকলেও ঢাকায় ফেরা মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সদরঘাটে নেমে।

কারণ সকালে যারা বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে লঞ্চে এসে নামেন তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া হাঁকান ঘাটে থাকা সিএনজি চালকরা। বিশেষ করে খুব সকালে ঘাটে পৌঁছা বরিশালের লঞ্চের যাত্রীদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ায় যেতে হয় গন্তব্যে।

বিশেষ করে স্ত্রী, সন্তানসহ যারা ঢাকায় নামেন তাদের টার্গেট করেই বাড়তি ভাড়া হাঁকান সিএনজি চালকরা। যাত্রীদের অভিযোগ, অনেকটা সিন্ডিকেট করে একই রকম ভাড়া চান সিএনজি চালকরা।
বৃহস্পতিবার দেখা গেছে রাজধানীর সদরঘাটে কোনো লঞ্চে ঘাটে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় এখানকার ব্যস্ততা ও মানুষের আনাগোনা। বাকি সময় অনেকটা নিরুত্তাপ। তবে ভোর আর বেলা যতই হোক লঞ্চ থেকে নামা যাত্রীদের সিএনজি চালকদের বাড়তি ভাড়ার খপ্পরে পড়তেই হবে।

চাঁদপুর থেকে আসা ময়‚র লঞ্চ ঘাটে পৌঁছার পর দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক যাত্রী নামছেন। একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেও লঞ্চে অনেক ভিড়ের কথা জানা গেছে। ঘাটের সামনে সিএনজি স্ট্যান্ডে দেখা গেছে, অনেকেই বাড়তি ভাড়া চাওয়া নিয়ে চালকদের সঙ্গে বাকবিতÐায় জড়িয়ে পড়ছেন।

সদরঘাট টার্মিনালে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্ব পালন করা একজন বলেন, ঈদে এখনও মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। তবে তুলনামূলক কম। যাওয়ার সংখ্যা আরও কম। তবে সামনে মে দিবসসহ বন্ধ আছে, তখন আবার চাপ বাড়বে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-পরিচালক মো. আলমগীর কবীর বলেন, ঈদের আগে-পরে এখন পর্যন্ত নির্বিঘেœ নৌপথে যাত্রীরা আসা যাওয়া করেছে। আমাদের জায়গা থেকে সব ধরনের চেষ্টা ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার কথা জানতে পারিনি। এখন ঘাটের বাইরে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে সেখানে আমাদের নজর দেওয়া কষ্টকর।