ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের ছুটির পরেও সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড়

বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আবহাওয়া সুন্দরবন ভ্রমনের অনুকূলে থাকে না। এই পাঁচ মাস একদিকে যেমন প্রচন্ড গরম অন্যদিকে উপকূলীয় নদনদী ও সাগরে থাকে প্রচুর স্রোত। এবার এপ্রিলের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। খুলনা ও আশেপাশের এলাকায় যারা পরিবার পরিজন নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে ঈদ করতে এসেছিলেন তাদের অনেকেই সুন্দরবন ভ্রমন করেছেন। ঈদের দিন সুন্দরবনে ভিড় দেখা না গেলেও তার পরদিন রোববার থেকে ভিড় বেড়ে যায়। ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হয়ে গেলেও এই অসময়ে সুন্দরবনে এখনো রয়েছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসছেন। ঘুরে দেখছেন সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য। ঈদের দিন করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ৩ থেকে ৪শ’ পর্যটক এসেছিলেন। এখন এ সংখ্যা প্রায় তিনগুন হয়ে গেছে। সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একই অবস্থা। করমজলে পর্যটকেরা হরিণ, বানর, কুমিরসহ নানা প্রজাতির প্রাণীসহ বনের সৌন্দর্য্য অবলোকন করেছেন। মুগ্ধ হচ্ছেন জীব-বৈচিত্র্য দেখে।
তিনি আরও জানান, মোংলাবন্দর থেকে সবচেয়ে কাছে হওয়ায় অর্থাৎ নৌপথে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্ব হওয়ায় করমজলেই বেশি পর্যপকরা আসেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে করমজলে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মতো আকর্ষণীয় করে সুন্দরবনের স্পটগুলোকে সাজানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুন্দরবনের ট্যুর গাইড শফিকুল ইসলাম হিরণ বলেন, মার্চে পর্যটন মৌসুম শেষ হয়েছে। এবার ঈদের কারণে এপ্রিলেও পর্যটকরা সুন্দরবনে ভিড় করছেন। ঈদের ছুটি কাটাতে দূর-দূরান্ত থেকে সুন্দরবনে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিকে স্মরণীয় রাখতে কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধব আর কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি আরো জানান, সুন্দরবনের কটকা, হিরণপয়েন্ট, কচিখালি, জামতলা সী বিচ, ডিমের চর, দূবলার চর প্রভৃতি স্থানে পর্যটকরা যাচ্ছেন। ভ্রমণ-পিপাসুদের জন্য কচিখালী হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এরপর কটকা ও হিরণপয়েন্ট। এ তিনটি পয়েন্টে মোংলা থেকে ট্রলারে করে পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। বনের কটকাতে রয়েছে হরিণের অভয়ারণ্য। আছে ওয়াচ টাওয়ার। এ টাওয়ারে উঠে একনজরে দেখা যাবে যায় অপূর্ব সুন্দরে সুন্দর সুন্দরবন। আর করমজলে আসা পর্যটকদের মন কাড়ছে সেখানকার সৌন্দর্য।
মোংলা ট্যুরিস্ট পুলিশ সুন্দরবন জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন পর্যটকরা খুব বেশি না আসলেও পরদিন থেকেই পর্যটকদের ঢল নামে। দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মোংলা থেকে ছোট নৌযানে করে সুন্দরবনে ভ্রমনে রওনা হন। তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, যেকোনো পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান সুন্দরবন। বিশেষ ছুটিতে তারা এখানে ছুটে আসেন। এবারও ব্যাতিক্রম হয়নি। ঈদের ছুটিতে ঠিক কতজন পর্যটক এসেছে তা এ মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে এ সংখ্যা ১০ সহস্রাধিক হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদের ছুটির পরেও সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড়

আপডেট সময় ০৩:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আবহাওয়া সুন্দরবন ভ্রমনের অনুকূলে থাকে না। এই পাঁচ মাস একদিকে যেমন প্রচন্ড গরম অন্যদিকে উপকূলীয় নদনদী ও সাগরে থাকে প্রচুর স্রোত। এবার এপ্রিলের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। খুলনা ও আশেপাশের এলাকায় যারা পরিবার পরিজন নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে ঈদ করতে এসেছিলেন তাদের অনেকেই সুন্দরবন ভ্রমন করেছেন। ঈদের দিন সুন্দরবনে ভিড় দেখা না গেলেও তার পরদিন রোববার থেকে ভিড় বেড়ে যায়। ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হয়ে গেলেও এই অসময়ে সুন্দরবনে এখনো রয়েছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসছেন। ঘুরে দেখছেন সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য। ঈদের দিন করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ৩ থেকে ৪শ’ পর্যটক এসেছিলেন। এখন এ সংখ্যা প্রায় তিনগুন হয়ে গেছে। সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একই অবস্থা। করমজলে পর্যটকেরা হরিণ, বানর, কুমিরসহ নানা প্রজাতির প্রাণীসহ বনের সৌন্দর্য্য অবলোকন করেছেন। মুগ্ধ হচ্ছেন জীব-বৈচিত্র্য দেখে।
তিনি আরও জানান, মোংলাবন্দর থেকে সবচেয়ে কাছে হওয়ায় অর্থাৎ নৌপথে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্ব হওয়ায় করমজলেই বেশি পর্যপকরা আসেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে করমজলে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মতো আকর্ষণীয় করে সুন্দরবনের স্পটগুলোকে সাজানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুন্দরবনের ট্যুর গাইড শফিকুল ইসলাম হিরণ বলেন, মার্চে পর্যটন মৌসুম শেষ হয়েছে। এবার ঈদের কারণে এপ্রিলেও পর্যটকরা সুন্দরবনে ভিড় করছেন। ঈদের ছুটি কাটাতে দূর-দূরান্ত থেকে সুন্দরবনে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিকে স্মরণীয় রাখতে কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধব আর কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি আরো জানান, সুন্দরবনের কটকা, হিরণপয়েন্ট, কচিখালি, জামতলা সী বিচ, ডিমের চর, দূবলার চর প্রভৃতি স্থানে পর্যটকরা যাচ্ছেন। ভ্রমণ-পিপাসুদের জন্য কচিখালী হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এরপর কটকা ও হিরণপয়েন্ট। এ তিনটি পয়েন্টে মোংলা থেকে ট্রলারে করে পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। বনের কটকাতে রয়েছে হরিণের অভয়ারণ্য। আছে ওয়াচ টাওয়ার। এ টাওয়ারে উঠে একনজরে দেখা যাবে যায় অপূর্ব সুন্দরে সুন্দর সুন্দরবন। আর করমজলে আসা পর্যটকদের মন কাড়ছে সেখানকার সৌন্দর্য।
মোংলা ট্যুরিস্ট পুলিশ সুন্দরবন জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন পর্যটকরা খুব বেশি না আসলেও পরদিন থেকেই পর্যটকদের ঢল নামে। দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা মোংলা থেকে ছোট নৌযানে করে সুন্দরবনে ভ্রমনে রওনা হন। তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, যেকোনো পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান সুন্দরবন। বিশেষ ছুটিতে তারা এখানে ছুটে আসেন। এবারও ব্যাতিক্রম হয়নি। ঈদের ছুটিতে ঠিক কতজন পর্যটক এসেছে তা এ মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে এ সংখ্যা ১০ সহস্রাধিক হবে।