ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের সলেদারে তুমুল লড়াই

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সলেদার শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত। বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। পুরো ডনবাস অঞ্চলের লক্ষ্যে মস্কো শহরটি দখল করতে চাইছে। যদিও মঙ্গলবার রাশিয়ার আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার দাবি করেছিল, তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে কিছু কিছু স্থানে ইউক্রেনীয়রা প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে।

বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বিমানবাহিনী সলেদারকে উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তবে ইউক্রেন রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছে, শহরটির দখল নিতে পারেনি রুশবাহিনী।

ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী টেলিগ্রামে লিখেছেন, সলেদারে তুমুল লড়াই চলছে। শত্রু পক্ষ আবারও তাদের ইউনিট পাল্টেছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর। ওয়াগনার গোষ্ঠী নিজেদের যোদ্ধার সংখ্যা বাড়িয়েছে। তারা চেষ্টা করছে আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা গুড়িয়ে দিতে এবং শহরের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে। কিন্তু তারা কোনও সাফল্য পাচ্ছে না।

ক্রেমলিনও সলেদারে রুশ বাহিনীর বিজয় দাবি করা থেকে বিরত থেকেছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তাড়াহুড়ো করার দরকার নাই। সরকারি বক্তব্যের অপেক্ষায় থাকুন। সেখানে ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ স্বতন্ত্রভাবে সলেদারের পরিস্থিতি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে রয়টার্সের এক আলোকচিত্রী কিছুদিন আগে শহরটির কাছাকাছি গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি অনেক বাসিন্দাকে শহর ছাড়তে দেখেছেন। শহরের বিভিন্ন দিক থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন তিনি।

বাখমুত শহরের দখল নিতে লড়াই করতে থাকা রাশিয়ার জন্য সলেদার দখল সুবিধা এনে দেবে। বাখমুতে উভয়পক্ষের সংঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি রণক্ষেত্রে ব্যর্থতার পর শহরটি দখল রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনের সলেদারে তুমুল লড়াই

আপডেট সময় ০৪:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সলেদার শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত। বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। পুরো ডনবাস অঞ্চলের লক্ষ্যে মস্কো শহরটি দখল করতে চাইছে। যদিও মঙ্গলবার রাশিয়ার আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার দাবি করেছিল, তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে কিছু কিছু স্থানে ইউক্রেনীয়রা প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে।

বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বিমানবাহিনী সলেদারকে উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তবে ইউক্রেন রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছে, শহরটির দখল নিতে পারেনি রুশবাহিনী।

ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী টেলিগ্রামে লিখেছেন, সলেদারে তুমুল লড়াই চলছে। শত্রু পক্ষ আবারও তাদের ইউনিট পাল্টেছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর। ওয়াগনার গোষ্ঠী নিজেদের যোদ্ধার সংখ্যা বাড়িয়েছে। তারা চেষ্টা করছে আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা গুড়িয়ে দিতে এবং শহরের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে। কিন্তু তারা কোনও সাফল্য পাচ্ছে না।

ক্রেমলিনও সলেদারে রুশ বাহিনীর বিজয় দাবি করা থেকে বিরত থেকেছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তাড়াহুড়ো করার দরকার নাই। সরকারি বক্তব্যের অপেক্ষায় থাকুন। সেখানে ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ স্বতন্ত্রভাবে সলেদারের পরিস্থিতি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে রয়টার্সের এক আলোকচিত্রী কিছুদিন আগে শহরটির কাছাকাছি গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি অনেক বাসিন্দাকে শহর ছাড়তে দেখেছেন। শহরের বিভিন্ন দিক থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন তিনি।

বাখমুত শহরের দখল নিতে লড়াই করতে থাকা রাশিয়ার জন্য সলেদার দখল সুবিধা এনে দেবে। বাখমুতে উভয়পক্ষের সংঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি রণক্ষেত্রে ব্যর্থতার পর শহরটি দখল রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হতে পারে।