ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি, সুবিধাভোগীকে সাজা

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বগুড়া সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছিলেন জামরুল শেখ (৫২) নামে এক হতদরিদ্র। কিন্তু ঘরে না উঠে তিনি সেটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলার এরুরিয়া ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সুবিধাভোগীকে বিচারক একমাসের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ঘরের দলিল ও যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করেন।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযোগের সত্যতা মেলায় অভিযুক্তকে সাজা ও তার ঘরের কাগজপত্র জব্দ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন।

জামরুল শেখ বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঘর পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে না থেকে অন্য স্থানে বসবাস করছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে জামরুল শেখ ২১০৮ দাগে জমিসহ দুই কক্ষের একটি সেমিপাকা ঘর উপহার পান। কিন্তু দুই মাস আগে একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ইদ্রিস আলী আকন্দের কাছে ৭০ হাজার টাকায় ঘরটি বিক্রি করে দেন। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘর বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এর দায়ে জামরুল শেখকে এক মাসের জেল দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘরের দলিল ও যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করা হয়। জামরুল শেখকে আর ঘর দেওয়া হবে না। তার স্থানে অন্য একজন ভূমিহীনকে ঘরটি দেওয়া হবে।

উপহারের ঘর বিক্রি করে অন্য স্থানে জায়গা কিনেছেন জামরুল শেখ। এখন সেখানেই থাকেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

জামরুলের কাছ থেকে ঘর কেনা ইদ্রিস আলী আকন্দ বলেন, আমার বাড়িঘর কিছুই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘর উপহার দিয়েছেন। আমার পাশেই জামরুল শেখের ঘর। অভাবের কথা বলে দুই মাস আগে তার উপহারের ঘর আমার কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। আমি কিস্তির টাকা দিয়ে ওই ঘর কিনেছি।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি সাথে কোনো চক্র বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই ঘরগুলো প্রাপ্য মানুষদের হাতে তুলে দিতে উপেজাল প্রশাসন কাজ করছে।

ঘর কেনায় ইদ্রিসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, যিনি ঘর কিনেছেন তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি, সুবিধাভোগীকে সাজা

আপডেট সময় ০৩:১৯:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বগুড়া সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছিলেন জামরুল শেখ (৫২) নামে এক হতদরিদ্র। কিন্তু ঘরে না উঠে তিনি সেটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলার এরুরিয়া ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সুবিধাভোগীকে বিচারক একমাসের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ঘরের দলিল ও যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করেন।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযোগের সত্যতা মেলায় অভিযুক্তকে সাজা ও তার ঘরের কাগজপত্র জব্দ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন।

জামরুল শেখ বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঘর পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে না থেকে অন্য স্থানে বসবাস করছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে জামরুল শেখ ২১০৮ দাগে জমিসহ দুই কক্ষের একটি সেমিপাকা ঘর উপহার পান। কিন্তু দুই মাস আগে একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ইদ্রিস আলী আকন্দের কাছে ৭০ হাজার টাকায় ঘরটি বিক্রি করে দেন। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘর বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এর দায়ে জামরুল শেখকে এক মাসের জেল দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘরের দলিল ও যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করা হয়। জামরুল শেখকে আর ঘর দেওয়া হবে না। তার স্থানে অন্য একজন ভূমিহীনকে ঘরটি দেওয়া হবে।

উপহারের ঘর বিক্রি করে অন্য স্থানে জায়গা কিনেছেন জামরুল শেখ। এখন সেখানেই থাকেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

জামরুলের কাছ থেকে ঘর কেনা ইদ্রিস আলী আকন্দ বলেন, আমার বাড়িঘর কিছুই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘর উপহার দিয়েছেন। আমার পাশেই জামরুল শেখের ঘর। অভাবের কথা বলে দুই মাস আগে তার উপহারের ঘর আমার কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। আমি কিস্তির টাকা দিয়ে ওই ঘর কিনেছি।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি সাথে কোনো চক্র বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই ঘরগুলো প্রাপ্য মানুষদের হাতে তুলে দিতে উপেজাল প্রশাসন কাজ করছে।

ঘর কেনায় ইদ্রিসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, যিনি ঘর কিনেছেন তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।