ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালত ফটক থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক শিখা নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার

রাজধানীর পুরান ঢাকার আদালত ফটকের সামনে থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাই ঘটনার মূল সমন্বয়ক পলাতক জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী শিখা ও তার আশ্রয়দাতাকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

শুক্রবার রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

 

ওই বার্তায় জানানো হয়েছে, আদালতের ফটক থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক জেল পলাতক জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী শিখা ও তাঁর আশ্রয়দাতাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

 

তবে নারায়ণগঞ্জের কোথা থেকে, কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাঁদের নিয়ে পলাতক জঙ্গি গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

সিটিটিসি’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানও এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।

ছিনিয়ে নেয়া দুজন হলো- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের হাজির করা হয়েছিল।

এসময় আরও দুই আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে দুটি মোটরসাইকেলে আনসার আল ইসলামের পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগ এলাকার আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে ফয়সল আরেফিন দীপনকে ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আদালত ফটক থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক শিখা নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৪:১৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

রাজধানীর পুরান ঢাকার আদালত ফটকের সামনে থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাই ঘটনার মূল সমন্বয়ক পলাতক জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী শিখা ও তার আশ্রয়দাতাকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

শুক্রবার রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

 

ওই বার্তায় জানানো হয়েছে, আদালতের ফটক থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক জেল পলাতক জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী শিখা ও তাঁর আশ্রয়দাতাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

 

তবে নারায়ণগঞ্জের কোথা থেকে, কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাঁদের নিয়ে পলাতক জঙ্গি গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

সিটিটিসি’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানও এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।

ছিনিয়ে নেয়া দুজন হলো- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের হাজির করা হয়েছিল।

এসময় আরও দুই আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে দুটি মোটরসাইকেলে আনসার আল ইসলামের পাঁচ থেকে ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগ এলাকার আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে ফয়সল আরেফিন দীপনকে ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।