ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতে ফিরছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা, জানালেন আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারকদের যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল, তা সুষ্ঠুভাবে সমাধান হয়েছে বলে জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে আইনজীবীরা সোমবার থেকে আদালতে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সার্কিট হাউসে জেলা জজসহ একাধিক বিচারক, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠক শেষে আইনজীবী সমিতির নেতারা জানান, রবি ও সোমবার তাদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি চলবে। সোমবার আইনজীবী সমিতির সভা আছে, সভায় আদালতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। মঙ্গলবার থেকে আদালতে ফিরবেন তারা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইনসচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম ও নাজমুল হোসেন ও আইনজীবী মাহবুব আলম প্রমুখ। সকালে সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে বৈঠক। এতে আদালতের অচলাবস্থা দ্রুত নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের একটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আজ আমরা তাদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। সোমবার থেকে আদালত বর্জনের বিষয়টি আর থাকবে না। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আইনজীবীরা আদালত বর্জন প্রত্যাহার করবেন। সোমবার থেকে আদালতে যাবেন।’

বৈঠক শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা বলেন, ‘বৈঠকে আইনমন্ত্রী আমাদের প্রস্তাব দিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারকের বিষয়টি ওনারা দেখবেন। অচিরেই তার বিষয়টি সুরাহা করবেন। পাশাপাশি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন। সোমবার আমাদের সাধারণ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সভার পর মঙ্গলবার থেকে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছি আমরা। কারণ বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তিতে আছেন। তাই সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি। আদালতে ফেরার মধ্য দিয়ে সমস্যা কেটে যাবে।’

গত বছরের ১ ডিসেম্বর আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে তিনটি মামলা গ্রহণ করা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারকের বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে কয়েক দফায় আদালত বর্জন করে কর্মবিরতি দেন আইনজীবীরা।

এরই মধ্যে জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে বদলি এবং নাজিরের শাস্তির দাবি তোলেন তারা। এই দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে দুই আদালত বর্জন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। গত বুধবার থেকে দুটি আদালতসহ জেলার সব আদালত বর্জন করে আসছেন তারা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আদালতে ফিরছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা, জানালেন আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারকদের যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল, তা সুষ্ঠুভাবে সমাধান হয়েছে বলে জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে আইনজীবীরা সোমবার থেকে আদালতে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান আইনমন্ত্রী। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সার্কিট হাউসে জেলা জজসহ একাধিক বিচারক, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠক শেষে আইনজীবী সমিতির নেতারা জানান, রবি ও সোমবার তাদের পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি চলবে। সোমবার আইনজীবী সমিতির সভা আছে, সভায় আদালতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। মঙ্গলবার থেকে আদালতে ফিরবেন তারা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইনসচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম ও নাজমুল হোসেন ও আইনজীবী মাহবুব আলম প্রমুখ। সকালে সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে বৈঠক। এতে আদালতের অচলাবস্থা দ্রুত নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের একটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আজ আমরা তাদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। সোমবার থেকে আদালত বর্জনের বিষয়টি আর থাকবে না। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আইনজীবীরা আদালত বর্জন প্রত্যাহার করবেন। সোমবার থেকে আদালতে যাবেন।’

বৈঠক শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা বলেন, ‘বৈঠকে আইনমন্ত্রী আমাদের প্রস্তাব দিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারকের বিষয়টি ওনারা দেখবেন। অচিরেই তার বিষয়টি সুরাহা করবেন। পাশাপাশি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন। সোমবার আমাদের সাধারণ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সভার পর মঙ্গলবার থেকে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছি আমরা। কারণ বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তিতে আছেন। তাই সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি। আদালতে ফেরার মধ্য দিয়ে সমস্যা কেটে যাবে।’

গত বছরের ১ ডিসেম্বর আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্তে তিনটি মামলা গ্রহণ করা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বিচারকের বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে কয়েক দফায় আদালত বর্জন করে কর্মবিরতি দেন আইনজীবীরা।

এরই মধ্যে জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে বদলি এবং নাজিরের শাস্তির দাবি তোলেন তারা। এই দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে দুই আদালত বর্জন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। গত বুধবার থেকে দুটি আদালতসহ জেলার সব আদালত বর্জন করে আসছেন তারা।