ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

আজ রবিবার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এবারের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাকে নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর মাওলানা সাদ এবারেও ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশে আসেননি। তবে তার তিন ছেলে ও জামাতা ইতোমধ্যে জামায়াত নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। এ পর্বের ইজতেমার শেষদিনে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোনাজাতের আগে তিনি হেদায়েতি বয়ানও করবেন। রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার শেষ দফায় মাওলানা সা’দ অনুসারী দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা ৮৫ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।

যারা বয়ান করলেন

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারী দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। দুদিন ধরে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রয়েছেন মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ইমান, আমল, আখলাক ও দ্বিনের পথে মেহনতের ওপর বয়ান অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বাদ ফজর ভারতের হযরত মাওলানা ইয়াকুব জিলানীর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম। তিনি তাবলীগের ৬ উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর বয়ান করেন। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। এরপর বাদ জোহর বয়ান করেন তুর্কির মাওলানা ওমর। বাদ আসর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর তৃতীয় ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী বয়ান করেন। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার, এসময় তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

যা বয়ান করলেন

গত দু’দিন ধরে ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রয়েছেন আগত মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত এজতেমা মাঠে ইমান, আমল, আখলাক ও দ্বিনের পথে মেহনতের ওপর বয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশি আগত মুরুব্বিরা তাবলিগের ছয় উসুলের মধ্যে দাওয়াতে দ্বিনের মেহনতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বয়ান করেন।

বয়ানে তাবলিগ মুরুব্বিরা বলেন, আল্লাহ-তায়ালা আপনাকে আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহ-তায়ালা এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দুনিয়াতে যে একবার আসবে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। আল্লাহপাকের এ সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হবে না। দুনিয়া হচ্ছে ধোকার ঘর, এ দুনিয়া হচ্ছে ধোকার জীবন। মিছে এই দুনিয়ার আরাম-আয়েসের কথা ভুলে গিয়ে আখিরাতের কথা চিন্তা করো। দুনিয়ার জিন্দেগি ক্ষণস্থায়ী, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের দিল থেকে আসবাবের (সম্পদের) এক্বিন বের না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার দিলে কুদরতি এক্বিন পয়দা হবে না। সকলকে দ্বিনের জন্য মেহনত করতে হবে। আল্লাহর কাছে আমল ছাড়া এ দুনিয়ার জিন্দেগির কোনও মূল্য নেই। বয়ানে আরও বলা হয়, দ্বিনের দাওয়াতের মাধ্যমে ইমান মজবুত হয়। ইমান মজবুত হলে আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এ সম্পর্ক গড়ে ওঠলে দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবি হাসিল হয়।

আখেরি মোনাজাত রবিবার সকালে

বিশ্ব ইজতেমার এ পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের সময়ও এগিয়ে আনা হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের পরামর্শে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিআইপিরা মোনাজাতে অংশ নেবেন

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

দ্বিতীয় পর্বেও যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত

বিশ্ব ইজতেমার আরও একটি আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে। তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ আসর ইজতেমা ময়দানে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। কনের সম্মতিতে ও তার অনুপস্থিতিতে বর এবং কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমি’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানার পরিমাণ ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রূপা বা তার সমমূল্য অর্থ। বিয়ের পর নব-দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া করা হয়। এসময় মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা, খেজুর ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের মতবিরোধের কারণে ২০১৬ সাল হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি।

শেষ দিনে যারা বয়ান করবেন

রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার শেষদিনে ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা মুরসালিন। এরপর হেদায়তি বয়ান ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। এসময় তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

বিদেশি মুসল্লি

শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রায় ৬ হাজার জন বিদেশি মুসল্লি অংশ নেন। তাছাড়া এ পর্বে দেশের ৬৪টি জেলার কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।

এবারের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় গত ১৩ জানুয়ারি। ওই পর্বে মাওলানা যোবায়েরের অনুসারী দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা অংশ নেন। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্ব। প্রথম পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

আপডেট সময় ০৪:২৮:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

আজ রবিবার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এবারের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাকে নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর মাওলানা সাদ এবারেও ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশে আসেননি। তবে তার তিন ছেলে ও জামাতা ইতোমধ্যে জামায়াত নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। এ পর্বের ইজতেমার শেষদিনে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোনাজাতের আগে তিনি হেদায়েতি বয়ানও করবেন। রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার শেষ দফায় মাওলানা সা’দ অনুসারী দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা ৮৫ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।

যারা বয়ান করলেন

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারী দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। দুদিন ধরে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রয়েছেন মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ইমান, আমল, আখলাক ও দ্বিনের পথে মেহনতের ওপর বয়ান অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বাদ ফজর ভারতের হযরত মাওলানা ইয়াকুব জিলানীর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম। তিনি তাবলীগের ৬ উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর বয়ান করেন। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। এরপর বাদ জোহর বয়ান করেন তুর্কির মাওলানা ওমর। বাদ আসর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর তৃতীয় ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী বয়ান করেন। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার, এসময় তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

যা বয়ান করলেন

গত দু’দিন ধরে ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রয়েছেন আগত মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত এজতেমা মাঠে ইমান, আমল, আখলাক ও দ্বিনের পথে মেহনতের ওপর বয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশি আগত মুরুব্বিরা তাবলিগের ছয় উসুলের মধ্যে দাওয়াতে দ্বিনের মেহনতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বয়ান করেন।

বয়ানে তাবলিগ মুরুব্বিরা বলেন, আল্লাহ-তায়ালা আপনাকে আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহ-তায়ালা এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দুনিয়াতে যে একবার আসবে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। আল্লাহপাকের এ সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হবে না। দুনিয়া হচ্ছে ধোকার ঘর, এ দুনিয়া হচ্ছে ধোকার জীবন। মিছে এই দুনিয়ার আরাম-আয়েসের কথা ভুলে গিয়ে আখিরাতের কথা চিন্তা করো। দুনিয়ার জিন্দেগি ক্ষণস্থায়ী, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের দিল থেকে আসবাবের (সম্পদের) এক্বিন বের না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার দিলে কুদরতি এক্বিন পয়দা হবে না। সকলকে দ্বিনের জন্য মেহনত করতে হবে। আল্লাহর কাছে আমল ছাড়া এ দুনিয়ার জিন্দেগির কোনও মূল্য নেই। বয়ানে আরও বলা হয়, দ্বিনের দাওয়াতের মাধ্যমে ইমান মজবুত হয়। ইমান মজবুত হলে আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এ সম্পর্ক গড়ে ওঠলে দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবি হাসিল হয়।

আখেরি মোনাজাত রবিবার সকালে

বিশ্ব ইজতেমার এ পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের সময়ও এগিয়ে আনা হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের পরামর্শে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিআইপিরা মোনাজাতে অংশ নেবেন

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

দ্বিতীয় পর্বেও যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত

বিশ্ব ইজতেমার আরও একটি আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে। তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ আসর ইজতেমা ময়দানে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। কনের সম্মতিতে ও তার অনুপস্থিতিতে বর এবং কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমি’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানার পরিমাণ ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রূপা বা তার সমমূল্য অর্থ। বিয়ের পর নব-দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া করা হয়। এসময় মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা, খেজুর ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের মতবিরোধের কারণে ২০১৬ সাল হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি।

শেষ দিনে যারা বয়ান করবেন

রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার শেষদিনে ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা মুরসালিন। এরপর হেদায়তি বয়ান ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। এসময় তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

বিদেশি মুসল্লি

শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রায় ৬ হাজার জন বিদেশি মুসল্লি অংশ নেন। তাছাড়া এ পর্বে দেশের ৬৪টি জেলার কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।

এবারের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় গত ১৩ জানুয়ারি। ওই পর্বে মাওলানা যোবায়েরের অনুসারী দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা অংশ নেন। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্ব। প্রথম পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা।