ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিইউ ভরে গেছে, হাসপাতাল উপচে পড়ছে : চীনা চিকিৎসক

চীনে করোনার চলমান নতুন ঢেউ সম্পর্কে বেইজিংভিত্তিক এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত তিন দশকের জরুরি চিকিৎসা সেবায় আছেন। কিন্তু চীনে এমন পরিস্থিতি আর কখনো দেখেননি।
হাওয়ার্ড বার্নস্টাইন নামের এ চিকিৎসক বলেন, ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় রোগীরা হাসপাতালে আসছেন এবং এদের অধিকাংশই বয়স্ক। যাদের বেশিরভাগই কোভিড ও নিউমোনিয়ায় অবস্থা খুবই খারাপ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বার্নস্টাইনের এই বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটে চীনজুড়ে কাজ করা অসংখ্য স্বাস্থ্য কর্মীদের কথায়ও। যারা দেশটির কঠোর শূন্য কোভিড নীতি তুলে নেওয়ার পর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনায় সংক্রমিত রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন এখন।
তিন বছর আগে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উহান প্রদেশে এই মহামারি শুরুর পর এটাই সবচেয়ে বড় করোনার প্রাদুর্ভাব। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর লাফিয়ে বাড়তে থাকা কোভিডের ঝাপটায় চীনের সরকারি হাসপাতাল ও শবাগারগুলোকে এখন ব্যাপক চাপের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।
সম্প্রতি বার্নস্টাইনকে বেসরকারি বেইজিং ইউনাইটেড ফেমিলি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বার্নস্টাইন এই হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, উপর থেকে নিচর পর্যন্ত পুরো হাসপাতালটিতে রোগী স্রেফ উপচে পড়ছে। আইসিইউও ভরে গেছে। জরুরি বিভাগ, ফিভার ক্লিনিক এবং অন্যান্য ওয়ার্ডের অবস্থাও একই।
তিনি বলেন, হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তারা এক/দুই দিনে ভালো হচ্ছেন না। তাই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার কোনো রাস্তা তৈরি হচ্ছে না। আবার কেউ কেউ রক্তে প্রোটিন পরীক্ষা করাতে আসছেন। কিন্তু তারা উপরের তলায় গিয়ে তা পরীক্ষা করাতে পারছেন না। প্রোটিন পরীক্ষা করাতে গিয়েই তারা আটকে যাচ্ছেন দিনের পর দিন।
বার্নস্টাইন বলেন, আমি মনে করি এসব মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা আসলে এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আইসিইউ ভরে গেছে, হাসপাতাল উপচে পড়ছে : চীনা চিকিৎসক

আপডেট সময় ০৪:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

চীনে করোনার চলমান নতুন ঢেউ সম্পর্কে বেইজিংভিত্তিক এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত তিন দশকের জরুরি চিকিৎসা সেবায় আছেন। কিন্তু চীনে এমন পরিস্থিতি আর কখনো দেখেননি।
হাওয়ার্ড বার্নস্টাইন নামের এ চিকিৎসক বলেন, ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় রোগীরা হাসপাতালে আসছেন এবং এদের অধিকাংশই বয়স্ক। যাদের বেশিরভাগই কোভিড ও নিউমোনিয়ায় অবস্থা খুবই খারাপ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বার্নস্টাইনের এই বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটে চীনজুড়ে কাজ করা অসংখ্য স্বাস্থ্য কর্মীদের কথায়ও। যারা দেশটির কঠোর শূন্য কোভিড নীতি তুলে নেওয়ার পর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনায় সংক্রমিত রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন এখন।
তিন বছর আগে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উহান প্রদেশে এই মহামারি শুরুর পর এটাই সবচেয়ে বড় করোনার প্রাদুর্ভাব। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর লাফিয়ে বাড়তে থাকা কোভিডের ঝাপটায় চীনের সরকারি হাসপাতাল ও শবাগারগুলোকে এখন ব্যাপক চাপের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।
সম্প্রতি বার্নস্টাইনকে বেসরকারি বেইজিং ইউনাইটেড ফেমিলি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বার্নস্টাইন এই হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলেন, উপর থেকে নিচর পর্যন্ত পুরো হাসপাতালটিতে রোগী স্রেফ উপচে পড়ছে। আইসিইউও ভরে গেছে। জরুরি বিভাগ, ফিভার ক্লিনিক এবং অন্যান্য ওয়ার্ডের অবস্থাও একই।
তিনি বলেন, হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তারা এক/দুই দিনে ভালো হচ্ছেন না। তাই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার কোনো রাস্তা তৈরি হচ্ছে না। আবার কেউ কেউ রক্তে প্রোটিন পরীক্ষা করাতে আসছেন। কিন্তু তারা উপরের তলায় গিয়ে তা পরীক্ষা করাতে পারছেন না। প্রোটিন পরীক্ষা করাতে গিয়েই তারা আটকে যাচ্ছেন দিনের পর দিন।
বার্নস্টাইন বলেন, আমি মনে করি এসব মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা আসলে এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।