ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ ইটভাটায় উচ্ছেদের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইওয়াস

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট । এসকল ভাটাগুলোর মাধ্যমে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ ও স্থানীয়দের ফেলছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ৭ই ফেব্রুয়ারি বন্দর উপজেলার ফুনকুল, বারপাড়া, দাসেরগাঁও ও লক্ষণখোলা এলাকায় অর্ধ শতাধিক ইট ভাটার মধ্যে মাত্র উনিশটি ইট ভাটাকে অর্থ দণ্ড করা হয়। এর মধ্যে মাত্র চারটি ইটভাটায় পরিদর্শন করেন তারা। বাকি ১৫টি ইটভাটার মালিকদের ডেকে এনে দেন দরবার করে নামমাত্র আর্থিক জরিমানা করেন যা দেখে স্থানীদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বলতে শোনা গেছে পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্টের নামে আইওয়াশ করছে। তাদের মুখে আরো শোনা গেছে পারিবেশ অধিদপ্তর কি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে এসেছেন নাকি দেন দরদাম করতে এসেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল ১১ টায় লক্ষণ খোলা এলাকায় হাজী অটো ব্রিক ব্রিক্স এ অভিযানের নামে ভাটির কয়েকটি ইট বেকু দিয়ে ভাঙ্গে। পরে মালিকপক্ষ চলে আসলে তাদের সাথে দেন দরবার করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে পরপর আরো তিনটি ইটভাটায় একই রকম অর্থদণ্ড করেন।সবশেষে আল মদিনা ব্রিকস এ গিয়ে পুরো মোবাইল টিম দুপুরের লাঞ্চ করেন এবং অন্যান্য ১৫ টি ইট ভাটির মালিক কে ডেকে এনে দরকষাকষি করে আর্থিক দণ্ড করেন। সব মিলিয়ে ১৯ টি ইট ভাটার মালিক কে সর্বমোট ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে থাকা ভাই ভাই ইট ভাটা সহ আরো ডজন খানেক ইটভাটা থাকলেও সেখানে তারা অভিযান পরিচালনা করেননি।
অথচ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ ও সংশোধনী আইন ২০১৯ অনুযায় লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল করন: জেলা প্রশাসন লাইসেন্সের কোন শর্ত লংঘন, এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ সংগঠন কিংবা স্থগিত, ইট ভাটার কারনে তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হলে জেলা প্রশাসন উপরোক্ত কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের কার্যকারিতা অনধিক বা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে বা অভিযুক্ত ইট ভাটার মালিক কে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যথাযথ শুনানির পূর্বক লাইসেন্স বাতিল বা ইটভাটা কার্যক্রম বন্ধ করিবার জন্য আদেশ জারি করতে পারবেন।
উল্লেখিত আইনের প্রয়োগ নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি।

সচেতন মহলের প্রশ্ন ? পরিবেশ দূষণের মতো দূষণের মত একটা মারাত্মক অপরাধের জন্য আর্থিক দন্ড নিয়ে কিভাবে কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন ।

তারা আরও জানান, ওই সকল এলাকায় মোবাইল কোর্ট উপস্থিত থাকাকালীন সময় সকল ইট ভাটার কার্জক্রম চালাতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে কয়েকজন ইট ভাটের মালিকের সাথে কথা বরল জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর এভাবে বছরে একবার এসে মোবাইল কোর্টের নামে নগদ অর্থ জরিমানা করেন। এতে মালিকরা বিচলিত নয়, কেন না তাদের ইটের ব্যবসা চলমান রয়েছে।

অভিযান শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজিদ জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯ টি ভাটার মালিক কে ৭০লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোন ইটভাটাকে ভেঙ্গে দিতে পারিনা। তবে তাদেরকে শুধু সতর্ক ও আর্থিক জরিমানা করতে পারি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ইটভাটায় উচ্ছেদের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আইওয়াস

আপডেট সময় ০২:৩৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট । এসকল ভাটাগুলোর মাধ্যমে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ ও স্থানীয়দের ফেলছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ৭ই ফেব্রুয়ারি বন্দর উপজেলার ফুনকুল, বারপাড়া, দাসেরগাঁও ও লক্ষণখোলা এলাকায় অর্ধ শতাধিক ইট ভাটার মধ্যে মাত্র উনিশটি ইট ভাটাকে অর্থ দণ্ড করা হয়। এর মধ্যে মাত্র চারটি ইটভাটায় পরিদর্শন করেন তারা। বাকি ১৫টি ইটভাটার মালিকদের ডেকে এনে দেন দরবার করে নামমাত্র আর্থিক জরিমানা করেন যা দেখে স্থানীদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বলতে শোনা গেছে পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্টের নামে আইওয়াশ করছে। তাদের মুখে আরো শোনা গেছে পারিবেশ অধিদপ্তর কি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে এসেছেন নাকি দেন দরদাম করতে এসেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল ১১ টায় লক্ষণ খোলা এলাকায় হাজী অটো ব্রিক ব্রিক্স এ অভিযানের নামে ভাটির কয়েকটি ইট বেকু দিয়ে ভাঙ্গে। পরে মালিকপক্ষ চলে আসলে তাদের সাথে দেন দরবার করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে পরপর আরো তিনটি ইটভাটায় একই রকম অর্থদণ্ড করেন।সবশেষে আল মদিনা ব্রিকস এ গিয়ে পুরো মোবাইল টিম দুপুরের লাঞ্চ করেন এবং অন্যান্য ১৫ টি ইট ভাটির মালিক কে ডেকে এনে দরকষাকষি করে আর্থিক দণ্ড করেন। সব মিলিয়ে ১৯ টি ইট ভাটার মালিক কে সর্বমোট ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে থাকা ভাই ভাই ইট ভাটা সহ আরো ডজন খানেক ইটভাটা থাকলেও সেখানে তারা অভিযান পরিচালনা করেননি।
অথচ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ ও সংশোধনী আইন ২০১৯ অনুযায় লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল করন: জেলা প্রশাসন লাইসেন্সের কোন শর্ত লংঘন, এই আইনের অধীনে কোন অপরাধ সংগঠন কিংবা স্থগিত, ইট ভাটার কারনে তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হলে জেলা প্রশাসন উপরোক্ত কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের কার্যকারিতা অনধিক বা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে বা অভিযুক্ত ইট ভাটার মালিক কে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যথাযথ শুনানির পূর্বক লাইসেন্স বাতিল বা ইটভাটা কার্যক্রম বন্ধ করিবার জন্য আদেশ জারি করতে পারবেন।
উল্লেখিত আইনের প্রয়োগ নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি।

সচেতন মহলের প্রশ্ন ? পরিবেশ দূষণের মতো দূষণের মত একটা মারাত্মক অপরাধের জন্য আর্থিক দন্ড নিয়ে কিভাবে কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারেন ।

তারা আরও জানান, ওই সকল এলাকায় মোবাইল কোর্ট উপস্থিত থাকাকালীন সময় সকল ইট ভাটার কার্জক্রম চালাতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে কয়েকজন ইট ভাটের মালিকের সাথে কথা বরল জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর এভাবে বছরে একবার এসে মোবাইল কোর্টের নামে নগদ অর্থ জরিমানা করেন। এতে মালিকরা বিচলিত নয়, কেন না তাদের ইটের ব্যবসা চলমান রয়েছে।

অভিযান শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজিদ জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯ টি ভাটার মালিক কে ৭০লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোন ইটভাটাকে ভেঙ্গে দিতে পারিনা। তবে তাদেরকে শুধু সতর্ক ও আর্থিক জরিমানা করতে পারি।