ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলার মাটিতে কোনো অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না।

তাদের সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। সারা বছর, প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকবে। জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধিরা।

দলীয় নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ ছাড়বেন না, শহর ছাড়বেন না, সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পালটাপালটি কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে, মাঠে আছি, থাকব। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করা একমাত্র দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগে নিয়ম অনুযায়ী সব হয়। এর মধ্যে তিনটি জাতীয় সম্মেলন হয়ে গেছে সময়ের আগেই। ফখরুল সাহেব, কবে মহাসচিব হয়েছেন মনে আছে? বিএনপির কোনো সম্মেলন হয় না।

তিনি বলেন, বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? তাদের ঘরই তো গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে আনবে? তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। তারা নিজেরাই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখানে শেখ হাসিনা কাউকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করেননি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তারা সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে টিম গঠন করতে হবে। লোক নিয়োগ করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে। কমিটিতে ত্যাগী, দুঃসময়ের কর্মী, সুখে-দুঃখে যারা থাকে, তাদের কমিটিতে প্রাধান্য দিতে হবে। আত্মীয়স্বজন ও মুখ দেখে নেতা বানাবেন না। কর্ম দেখে নেতা বানাবেন।

রমজানের আগেই শেষ করতে হবে উপজেলার সম্মেলন : সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সব উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বায়োডাটাসহ কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের কাছে জমা দিতে হবে।

জেলা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম যাচাই-বাছাই করে কমিটি অনুমোদন দেবে। সব জেলা-মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতা, কারানির্যাতিত, দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের সমন্বয় করে সবার বায়োডাটা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে হবে।

সভায় জেলা বর্ধিত সভার সম্ভাব্য তারিখ ১, ২, ৩, ৪, ৫ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। যেসব উপজেলায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমকে অবগত না করে জেলা আগের তারিখে অবৈধভাবে কমিটি সম্পন্ন করেছে, সেসব কমিটি বাতিল বলে গণ্য হবে। জেলায় বর্ধিত সভা সম্পন্ন হওয়ার পর মার্চে বিভাগীয় সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। যে উপজেলা সম্মেলন সম্পন্ন হয়নি, সেগুলো রমজানের আগে সম্পন্ন করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

সাম্প্রদায়িকতা আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু-ওবায়দুল কাদের : ঢাবি প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু সাম্প্রদায়িকতা। সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে আমি বলব, আমাদের এখন প্রধানতম লক্ষ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদকে রুখতে হবে।

এই ক্যাম্পাসকে শান্তিময় ক্যাম্পাসে রূপ দিতে হবে। এখানে এখন শেখ হাসিনার আমলে আর অস্ত্রের ঝনঝনানি হবে না, যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। এই ক্যাম্পাস এখন শান্তিপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজার মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নিজের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।

এ সময় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৪:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলার মাটিতে কোনো অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না।

তাদের সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। সারা বছর, প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকবে। জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধিরা।

দলীয় নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ ছাড়বেন না, শহর ছাড়বেন না, সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পালটাপালটি কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে, মাঠে আছি, থাকব। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করা একমাত্র দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগে নিয়ম অনুযায়ী সব হয়। এর মধ্যে তিনটি জাতীয় সম্মেলন হয়ে গেছে সময়ের আগেই। ফখরুল সাহেব, কবে মহাসচিব হয়েছেন মনে আছে? বিএনপির কোনো সম্মেলন হয় না।

তিনি বলেন, বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? তাদের ঘরই তো গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে আনবে? তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। তারা নিজেরাই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখানে শেখ হাসিনা কাউকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করেননি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তারা সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে টিম গঠন করতে হবে। লোক নিয়োগ করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে। কমিটিতে ত্যাগী, দুঃসময়ের কর্মী, সুখে-দুঃখে যারা থাকে, তাদের কমিটিতে প্রাধান্য দিতে হবে। আত্মীয়স্বজন ও মুখ দেখে নেতা বানাবেন না। কর্ম দেখে নেতা বানাবেন।

রমজানের আগেই শেষ করতে হবে উপজেলার সম্মেলন : সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সব উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বায়োডাটাসহ কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের কাছে জমা দিতে হবে।

জেলা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম যাচাই-বাছাই করে কমিটি অনুমোদন দেবে। সব জেলা-মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতা, কারানির্যাতিত, দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের সমন্বয় করে সবার বায়োডাটা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে হবে।

সভায় জেলা বর্ধিত সভার সম্ভাব্য তারিখ ১, ২, ৩, ৪, ৫ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। যেসব উপজেলায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমকে অবগত না করে জেলা আগের তারিখে অবৈধভাবে কমিটি সম্পন্ন করেছে, সেসব কমিটি বাতিল বলে গণ্য হবে। জেলায় বর্ধিত সভা সম্পন্ন হওয়ার পর মার্চে বিভাগীয় সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। যে উপজেলা সম্মেলন সম্পন্ন হয়নি, সেগুলো রমজানের আগে সম্পন্ন করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

সাম্প্রদায়িকতা আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু-ওবায়দুল কাদের : ঢাবি প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু সাম্প্রদায়িকতা। সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে আমি বলব, আমাদের এখন প্রধানতম লক্ষ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদকে রুখতে হবে।

এই ক্যাম্পাসকে শান্তিময় ক্যাম্পাসে রূপ দিতে হবে। এখানে এখন শেখ হাসিনার আমলে আর অস্ত্রের ঝনঝনানি হবে না, যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। এই ক্যাম্পাস এখন শান্তিপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজার মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নিজের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।

এ সময় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত উপস্থিত ছিলেন।